সূরা হামীম-আস সাজদার নিম্নোক্ত এ আয়াতগুলি তেলাওয়াত করতে গিয়েই ইমাম সাহেব কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

লিখেছেন লিখেছেন আকরাম রানা ২২ জুলাই, ২০১৩, ০৯:০২:৫৬ রাত

(৪১:১৯) আর সেই সময়ের কথাও একটু চিন্তা করো যখন আল্লাহর এসব দুশমনকে দোযখের দিকে যাওয়ার জন্য পরিবেষ্টিত করা হবে ৷ তাদের অগ্রবর্তীদেরকে পশ্চাদবতীদের আগমন করা পর্যন্ত থামিয়ে রাখা হবে৷

(৪১:২০) পরে যখন সবাই সেখানে পৌঁছে যাবে তখন তাদের কান, তাদের চোখ এবং তাদের দেহের চামড়া তারা পৃথিবীতে কি করতো সে সম্পর্কে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে৷

(৪১:২১) তারা তাদের শরীরের চামড়াসমূহকে বলবে, তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে কেন ? তারা জবাব দেবে, সেই আল্লাহই আমাদের বাকশক্তি দান করেছেন যিনি প্রতিটি বস্তুকে বাকশক্তি দান করেছেন৷ তিনিই তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলেন ৷ আর এখন তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷

(৪১:২২) পৃথিবীতে অপরাধ করার সময় তোমরা গোপন করতে তখন তোমরা চিন্তাও করোনি যে, তোমাদের নিজেদের কান, তোমাদের চোখ এবং তোমাদের দেহের চামড়া কোন সময় তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে৷ তোমরা তো বরং মনে করেছিলে, তোমাদের বহু সংখ্যক কাজকর্মের খবর আল্লাহও রাখেন না৷

(৪১:২৩) তোমাদের এই ধারণা যা তোমরা তোমাদের রব সম্পর্কে করেছিলে তোমাদের সর্বনাশ করেছে এবং এর বদৌলতেই তোমরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছো৷

(৪১:২৪) এ অবস্থায় তারা ধৈর্য ধারণ করুক (বা না করুক ) আগুনই হবে তাদের ঠিকানা৷ তারা যদি প্রত্যাবর্তনের সুযোগ চায় তাহলে কোন সুযোগ দেয়া হবে না৷

(৪১:২৫) আমি তাদের ওপর এমন সব সঙ্গী চাপিয়ে দিয়েছিলাম যারা তাদেরকে সামনের ও পেছনের প্রতিটি জিনিস সুদৃশ্য করে দেখাতো৷ অবশেষে তাদের ওপরও আযাবের সেই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হলো যা তাদের পূর্ববতী জিন ও মানব দলসমূহের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়েছিলো৷ নিশ্চিতভাবেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো৷

(৪১:২৬) এসব কাফেররা বলে, এ কুরআন তোমরা কখনো শুনবে না৷ আর যখন তা শুনানো হবে তখন হট্রগোল বাধিয়ে দেবে৷ হয়তো এভাবে তোমরা বিজয়ী হবে৷

(৪১:২৭) আমি এসব কাফেরদের কঠিন শাস্তির মজা চাখাবো এবং যে জঘন্যতম তৎপরতা তারা চালিয়ে যাচ্ছে তার পুরো বদলা তাদের দেবো৷

(৪১:২৮) প্রতিদানে আল্লাহর দুশমনরা যা লাভ করবে তা হচ্ছে দোযখ৷ সেখানেই হবে তাদের চির দিনের বাসস্থান৷ তারা আমার আয়াতসমূহ অস্বীকার করতো৷ এটা তাদের সেই অপরাধের শাস্তি৷

(৪১:২৯) সেখানে এসব কাফের বলবে, ‘হে আমাদের রব, সেই সব জিন ও মানুষ আমাদের দেখিয়ে দাও যারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিলো৷ আমরা তাদের পদদলিত করবো, যাতে তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়’৷

(৪১:৩০) যারা ঘোষণা করেছে , আল্লাহ আমাদের রব, অতপর তার ওপরে দৃঢ় ও স্থির থেকেছে নিশ্চিত তাদের কাছে ফেরেশতারা আসে এবং তাদের বলে, ভীত হয়ো না, দুঃখ করো না এবং সেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনে খুশি হও তোমাদেরকে যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে৷

(৪১:৩১) আমরা এই দুনিয়ার জীবনেও তোমাদের বন্ধু এবং আখেরাতেও ৷ সেখানে তোমরা যা চাবে তাই পাবে৷ আর যে জিনিসেরই আকাংখা করবে তাই লাভ করবে৷

(৪১:৩২) এটা সেই মহান সত্তার পক্ষ থেকে মেহমানদারীর আয়োজন যিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান৷

(৪১:৩৩) সেই ব্যক্তির কথার চেয়ে আর কার কথা উত্তম হবে যে আল্লাহর দিকে ডাকলো, সৎ কাজ করলো এবং ঘোষণা করলো আমি মুসলমান ৷

(৪১:৩৪) হে নবী, সৎ কাজ ও অসৎ কাজ সমান নয়৷ তুমি অসৎ কাজকে সেই নেকী দ্বারা নিবৃত্ত করো যা সবচেয়ে ভাল৷ তাহলে দেখবে যার সাথে তোমার শত্রুতা ছিল সে অন্তরঙ্গ বন্ধু হয়ে গিয়েছে ৷

(৪১:৩৫) ধৈর্যশীল ছাড়া এ গুণ আর কারো ভাগ্যে জোটে না ৷ এবং অতি ভাগ্যবান ছাড়া এ মর্যাদা আর কেউ লাভ করতে পারে না৷

(৪১:৩৬) যদি তোমরা শয়তানের পক্ষ থেকে কোন প্ররোচনা আঁচ করতে পার তাহলে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো তিনি সব কিছু শোনেন এবং জানেন৷

বিষয়: বিবিধ

১৩০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File