ভালবাসার বাগান
লিখেছেন লিখেছেন বৃত্তের বাইরে ০২ জানুয়ারি, ২০১৫, ১২:০৩:১৪ দুপুর
বৃত্তের বাইরে থেকে সব সময় তো আর আসা যায়না। মাঝে মাঝে ছুটি ছাঁটা পেলে একটু আধটু উঁকি ঝুঁকি দেই। এবার এসে দেখি বাগানের চারদিক কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছে সব। একে তো শীতে জবুথবু অবস্থা তার উপর এমন মন মরা ভাব কি ভালো লাগে! এইতো গেল বছরটায়ও বাগানে ছিল ফুল, পাখি আর তারার মেলা। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফুলের চারা, তাদের যত্নে একসময় ভালবাসার ফুলে ফুলে ভরে গেল পুরো বাগান। সৌরভে মোহিত হলো চারদিক। এখনো কেউ কেউ যত্ন করছে, সার দিচ্ছে ,পানি দিচ্ছে, কাজ হচ্ছে না। সারের মাঝে,পানির মাঝে ,যত্নের মাঝে কোথায় যেন ভেজাল হচ্ছে। একজনের কাছে শুনলাম, ইদানিং নাকি সূর্য্যিরও কথায় কথায় অভিমান হয়। ফুল, পাখি, তারা সবার কথা না হয় বাদ দিলাম, নতুন লাগানো চারা গাছগুলো সেও না হয় রোদ না পেয়ে যাক শুকিয়ে। কিন্তু মালি না থাকলে বাগানটার কি হবে? যত্নের অভাবে প্রায়শই একটি, দুটি করে ভালবাসার ফুল পাতা ঝরছে, গাছও মরে যাচ্ছে আজকাল। উর্বরতা কমছে বাগানের, মাটিতে কীটপতঙ্গের ও আক্রমন বেড়েছে। হয়তো একদিন এভাবেই উজাড় হয়ে যাবে ভালবাসার বাগান।
হুম,বলছিলাম দূরের ওই বিডি বাগানটার কথা। দেখতে দেখতে কেটে গেল আরেকটা বছর। নানা মতের মিলন মেলায় আরেকটু পরিণত হয়েছে, পরিধি বেড়েছে, এসেছে অনেক নতুন মুখ। মুক্তমত প্রকাশের মাধ্যমে অনেকে সুস্থ বিনোদনের পথ খুঁজে পেয়েছে। ব্লগটা কারো কাছে আঠালো, কারো কাছে শেখার ক্ষেত্র, কেউ আসেন শুধুই বিনোদনের জন্য। কারো অভিমান, কেউ প্রেমে পড়েছেন, বন্ধুত্বও হয়েছে অনেকের। বন্ধুত্ব থেকে বিয়ের খবরও শুনেছি কারো কারো। অনেকে খোঁজ খবর রাখার চেষ্টা করেন প্রিয়জনদের। ফুল-পাতা, চা-কফি আদান-প্রদান হয়েছে, হয়েছে পারস্পরিক কুশলাদি, ভাব বিনিময়। মান-অভিমান ভাঙ্গাতেও সারা বছর জুড়ে ছিল নানা আহবান, আয়োজন। সবাইকে হাসিখুশি রাখা, হৃদরোগ থেকে হার্টকে ঝুঁকিমুক্ত রাখায় সাধারণ ব্লগারদের সাথে ডাক্তারদের চেষ্টায়ও কোন কমতি ছিলনা। এর চেয়ে ব্লগারদের আর কি চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে!
এরই মাঝে বৃত্তের বাইরে থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছিল একজন। নারী না পুরুষ, মহাকাশে থাকেন না পৃথিবীতে এমন অনেক মজার মজার স্মৃতি আর মন্তব্যের মধ্য দিয়ে পেয়েছিল অনেক বন্ধুদের যাদের ভালবাসায়, হৃদ্যতায় ঋদ্ধ সেও মিশে গিয়েছিল সবার সাথে। কৃতজ্ঞ সেই শুভাকাঙ্খী বন্ধুটির প্রতি যে বুঝতে পেরেছিল বৃত্তের বাইরে মানে “Think outside the box”. তার উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণায় সবার দেখাদেখি অল্প-স্বল্প সাহস করে এগিয়ে যাওয়া।
যে কোন লেখায় প্রশংসার চেয়ে পাঠকের গঠনমূলক সমালোচনা, গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে এসে যুক্তিপূর্ণ লেখাগুলো আকৃষ্ট করেছে সবসময়। এখানে কারো অবদান খাটো করে দেখার উপায় নেই। সবাই তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা শেয়ার করে থাকেন। কেউ পারিবারিক সমস্যাগুলোকে গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরছেন, কেউ রাজনীতির মত কঠিন বিষয়কেও দক্ষতার সাথে ছন্দের মাধ্যমে তুলে আনছেন। কেউ হয়ত বিজ্ঞান জানে ভাল আরেকজন হয়ত কোন ইতিহাসের কথাই লিখে প্রকাশ করছেন। এভাবেই কি-বোর্ড আর মাউস কে সাথী করে, ভাবনাকে কে পুঁজি করে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নানা রকম পোস্ট। নিজের ভাবনার সাথে মিলিয়ে নিচ্ছেন আরেকজন ব্লগারের লিখা। হয়ত কখনো মতের মিল হয় কখনো বা হয় প্রচন্ড মতের অমিল! কখনো মনে হয় আরে এতো আমারি মনের কথা! এভাবেই চলছে। দেখা যাচ্ছে, মতের মিলটা আমরা যেভাবে সহজে মেনে নিতে পারি অমিল টা কেন যেন সেভাবে গ্রহন করতে পারছিনা। কিন্তু কেন?
প্রত্যেকের মতাদর্শ ভিন্ন। যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক মেধা ও সততা বিদ্যমান, সেখানে মতভেদ খুবই অপরিহার্য। ঐক্যমত্য সেখানেই সম্ভব যেখানে যুক্তি নেই, প্রতিটি মানুষই বোবা। এ ধরনের মানুষ নতুন কিছুই ভাবতে পারেনা। আর কারো মনে অসততা থাকলে সে জেনেশুনে ভুলটাকেই সমর্থন করবে। লেখা মূলতঃ লেখক বা মন্তব্যকারীর দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। চিন্তা যত মুক্ত হবে, তার মধ্যে বৈচিত্র্যও তত বেশি থাকবে। কথায় কথায় তর্ক-বিতর্ক করা, এক দুই কথায় ঝগড়া-কলহের সূচনা করা এবং অশ্লীল ও অশালীন কথাবার্তা শিক্ষিত ভদ্র সমাজের উদাহরণ হতে পারেনা। মুমিনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নম্রতা, ভদ্রতা, শিষ্টাচার, ক্ষমা, উদারতা, খারাপ কথার উত্তরে চুপ থাকা অথবা উত্তমভাবে উত্তর দেয়া। সবার কাছ থেকে আরও শালীনতা, আরও একটু দায়িত্ববোধ আশা করাটা অন্যায় নয় নিশ্চয়।
ব্লগের যে ব্যাপারটা আমার কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক মনে হয় সেটা হল ইসলামবিদ্বেষীদের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে আমরা কেন যেন ডিফেনসিভ হয়ে যাই। তাদের প্রতিটা পোস্ট, মন্তব্যের উত্তর দেয়া কি খুব জরুরী! তাদেরকে ইসলাম শেখানো কি খুব দরকার যেখানে মুসলিম উম্মার মধ্যে ঐক্য নেই! মুসলিম উম্মাহর আজ পিছিয়ে পড়ার বড় কারন এই অহেতুক তর্ক বিতর্ক। এখানে একটা ঘটনা উল্লেখ করতে হয়, বনী ইসরাইলের বদঅভ্যাস ছিল তাদের নবীদেরকে ফালতু বিষয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা আর তর্ক করা! খুলাফায়ে রাশেদীনের পরের ঘটনা, এক লোক এসে আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করল, “ হাজ্জের সময় ইহরাম বাঁধা অবস্থায় মশা মারা কি জায়েয হবে?” উল্লেখ্য, হাজ্জের সময় প্রাণী হত্যা নিষেধ বিধায় তারা এই প্রশ্নটি করেছিল। আবদুল্লাহ ইবনে উমার তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, “তোমরা কোন এলাকার লোক বলতো?”। তারা বলল, “আমরা কুফা থেকে এসেছি”। তিনি বললেন, “সুবহান আল্লাহ! তোমরাই হলে সেই লোক যারা রাসূল (সাঃ) এর দৌহিত্র হুসেইনকে হত্যা করেছ, আর এখন কিনা জানতে চাচ্ছ মশা মারা জায়েয কিনা!!”এ ঘটনা প্রমান করে আমরা কত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাই। মুসলিমদের দ্বীন-জান-মাল সবকিছুই আজ যেখানে হুমকির মুখে, আর আমরা পড়ে আছি সূরা ফাতিহার পর আমীন জোরে বলা হবে কিনা, বেতের নামাজ কয় রাকাত, হিজাব-নিকাবের মাসআলা নিয়ে ! অথচ একটা বড় অংশের মুসলিম কিনা যেখানে শুদ্ধ করে সূরা ফাতিহাই পড়তে পারে না, অর্থও জানেনা। সুতরাং ধর্ম বিষয়ক যে কোন পোস্টে আমাদের বুঝে তর্ক করা উচিত যে আসলেই এ বিষয়ে তর্ক করার প্রয়োজন আছে কিনা। মন্তব্যের ব্যাপারে আবেগী না হয়ে কৌশলী হওয়া প্রয়োজন। সাথে এটাও মাথায় রাখা উচিত যার যার ধর্ম তার কাছে নিখুঁত হতে পারে কিন্তু ধর্ম পালনকারী সবাই নিখুঁত নয়। কাজেই ধর্মাবলম্বীদের সমালোচনা করা মানেই ধর্মকে কটাক্ষ করা নয়। আর এ নিয়ে অহেতুক তর্কে জড়ানোও ঠিক নয়।
সবশেষে বলি, লেখক-লেখিকা বিচার না করে ভালো লেখার মূল্যায়ন করা হোক। গঠনমূলক আলোচনা- সমালোচনায় লেখক-পাঠকের মিলনমেলায় ব্লগ হয়ে উঠুক আরো প্রানবন্ত। ফিরে আসুন সবাই। আবার নিয়মিত পোষ্ট দিন। ব্লগিং হোক আনন্দময়! এ আনন্দ ছড়িয়ে যাক ব্লগ এর প্রতিটি পাতায়। যে ক্রান্তিকাল পেরিয়ে আমাদের এ সহাবস্থান এ বন্ধন যেন চির অটুট থাকে। শত ব্যস্ততার মাঝেও সবার পদচারনায় আবারও সজীব সতেজ হয়ে উঠুক ভালবাসার এই বাগানটি। নতুন বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।
বিষয়: বিবিধ
২৪১০ বার পঠিত, ৫৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
# ইসলামবিদ্বেষী-
আলোচনা-সমালোচনা করুক না । কে নিষধ করছে ? কিন্তু গত কিছুদিন রায়___রহ__যে কয়টা পোস্ট দিয়েছে ওগুলো কি পড়েছেন ? এটা মেনে কিভাবে সম্ভব ।
মুক্তমতের দোহায় দিয়ে এটা তো হতে পারে না ।পারে কি ?
হ্যাঁ । তবে এটাও ঠিক যে ,আমাদের কিছু তাদের সাথে তর্কে যেয়ে মুখের লাগাম হারিয়ে ফেলে ।যা ওদের স্বার্থকতা ।ধন্যবাদ । বাগান ফুলে ফুলে ভরে উঠুক ।মালি গুমিয়ে না পড়ুক ।এ কামনায় করি ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া শুভেচ্ছা রইলো নতুন বছরের
বিদ্যমান দমবদ্ধ অবস্হা থেকে মুক্তি পেতেই অনর্থক বিষয়ে মানুষ জড়িয়ে যায়! নিজের অক্ষমতা কে বেহুদা প্যাচাঁলে আড়াল করতে চায়!
এর বাহিরে আমিও নই! আপনার সুন্দর দরদময় উপস্হাপনা ও প্রত্যাশা উপলব্ধিতে পৌছুক আমার- এই দোয়া চাই!
জাযাকুমুল্লাহু খাইরান......
সব সময় সবার মতের সাথে আমার মতের মিল হবে না তবু একে অপরের মতকে সন্মান করতে হবে ।অনেক ধন্যবাদ ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা আপু ।
অবশ্য ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গিয়েছে আমাদেরও। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য অনেক।
আপপু,
সো নাইস! তাই দেখছি অপলক দৃষ্টিতে
ব্যষ্টিক ও জাতীয় জীবনের মৌসুমী (উভয়ার্থে) (কু/সু)প্রভাব ব্লগ-বাগানে-ও এসে পড়বে এটা-ই স্বাভাবিক । তাই এখানে নিরন্তর ভালোবাসার ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে এমনটি আশা করা-ও বৃথা । অমূলক প্রত্যাশাজনিত হতাশা-কে দূরে রাখতে পারে একমাত্র বাস্তববাদিতা -- ব্লগারদের মানস-নিয়ন্ত্রণ যেখানে আমার-আপনার আয়ত্তের (বৃত্তের ?) বাইরে । ভার্চুয়াল জগতের সাথে একেবারে আষ্টেপৃষ্টে মিশে যাবার চেয়ে কিছুটা নির্মোহ থাকাটা মনে হয় ভাল ।
আপনি দৃষ্টান্ত সহযোগে যে বিষয়গুলো-কে তুচ্ছ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, সেগুলো-ই এক শ্রেণীর ব্লগারের কাছে মারাত্মক বিদ'আত (তার মানে জাহান্নামী), ঈমানের মধ্যে গড়বড়, রাসুলুল্লাহ'র (সাঃ) আবমাননা, আল্লাহ'র আদেশের বিরোধিতা, শিরকের মধ্যে হাবুডুবু খাওয়া বা ইসলাম থেকে খারিজ হওয়া বলে প্রতিভাত হয় । এর ফলে এরা জিহাদী জোশ ও জযবা নিয়ে সীসা-ঢালা ব্যূহ রচনা করে একযোগে তাদের শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে – ক্ষত-বিক্ষত না করে গাজী হয়ে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত তারা ক্ষান্ত হয় না । দরকার হলে তারা অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ বা অনুমানভিত্তিক কাফের, মুরতাদ, মুশরিক, কাদিয়ানী, শিয়া, মুসলমান নামধারী ছদ্মবেশী হিন্দু ইত্যাদি ফতোয়ায় ভূষিত করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করে না । এই সীসা ঢালাওয়ালা ও আক্ষরিক অর্থ গ্রহণকারীদের কাছে ব্লগ-ও জিহাদের ময়দান - ভোটকেন্দ্র-ও যেমন -- প্রচন্ড প্রতিক্রিয়াশীলতা যাদের মজ্জাগত বৈশিষ্ট্য - পরমতসহিষ্ণুতা শব্দটি যাদের অভিধানে অনুপস্থিত ; তাদের সাথে ভিন্নমত পোষণকারীরা মুসলমান নামের-ও অযোগ্য ! এই ব্লগে এই শ্রেণীর ব্লগারদের প্রবল আধিপত্য বিডি ব্লগকে বানিয়েছে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স-বিহীন এক স্বৈরতন্ত্রীয় মল্লভূমি যেখানে একমাত্র 'জয়'-ই তাদের কাছে অভীষ্ট প্রত্যাশা ! এই গ্রুপটি শুধু শুনতে চায় জ্বী-হুজুরীয় টাইপের একমত, সহমত, সহবাস আর ভাল্লাগ্লো জাতীয় আত্মতুষ্টীয় ঢেকুর-গেলা মিষ্ট মন্তব্য - অন্যথায় ব্লগারের লেখা না পড়া, কদাচিৎ পড়লে-ও শুধুমাত্র বিষাক্ত হলাহল উদগীরণ করা, ইসলামবিদ্বেষের জিগির তুলে একট্টা হয়ে ব্লগার-কে অপদস্থ করা অথবা প্রয়োজনে ব্যান করার জন্য মডু-সমীপে 'সব শিয়ালের এক-রা'র মতো তারস্বরে চীৎকার জুড়ে দেয়া । এরা ব্লগ-বাগানে দেখতে চায় শুধু-ই এক প্রকারের ফুল - তাদের সংগঠন বা মুরুব্বীদের বাৎলে দেয়া চিন্তাধারা ! বৃত্তের বাইরে এসে চিন্তা-ভাবনা করা তাদের অধিকাংশের জন্য-ই কষ্টকর - টানেল ভিষন তাদের জন্য সুখকর দৃষ্টসীমা । শুধুমাত্র নিজের মত-ই একমাত্র ও সঠিক মনে করে অনমনীয় অবস্থান গ্রহণ (my way or highway) করলে কখনো মতৈক্য সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয় !
উপরোক্ত অবস্থায় এই ব্লগটিকে সবার পক্ষে ভালবাসার আধার বানানো সম্ভব কিনা তাতে সন্দেহের অবকাশ আছে । আবার মাত্রাতিরিক্ত ভালবাসার প্রাবল্যে মজে থাকা-ও ঠিক কিনা সেটা-ও বিবেচনায় রাখার দরকার আছে -- বিশেষত: জীবন যদি ব্লগকেন্দ্রিক হয়ে ওঠে তথা প্রতিদিন ব্লগে না আসলে বা মন্তব্য না ছুঁড়ে দিতে পারলে ভাত-বার্গার হজমে গন্ডগোল সৃষ্টি হওয়া বা মাঝ রাতে দু:স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যাওয়া -- ফলশ্রুতিতে আশপাশের লোকজনের উপর ঝাল ঝাড়া…
সবাই-কে সব সময় খুশী রাখা সম্ভব নয় । তাই শালীনতার সীমা অতিক্রম না করে মাঝে-মধ্যে কিছুটা কাঁদা ছুড়োছড়ি হতে-ই পারে - কাউকে কাঁটাযুক্ত গোলাপ, কাউকে রজনীগন্ধা আবার কাউকে শুধুমাত্র মেইপল পাতা দেওয়া যেতে পারে ব্লগে 'চেক অ্যান্ড ব্যালান্স' আনার জন্য ।
আমাদের উদারপন্থী ও সহিষ্ণু হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই -- এই সত্যটা আমরা যতো তাড়াতাড়ি উপলদ্ধি করবো ততো-ই মঙ্গল । কিন্তু সে গুণটি আসতে পারে কেবলমাত্র সঠিক শিক্ষা ও মুক্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ।
জীবনে বৈচিত্র্য আনার জন্য মাঝে মাঝে সময় করে অন্যান্য ব্লগ-বাগান থেকে বিভিন্ন জাতের ফুলের সন্ধানে যাওয়ার অভ্যাস করা দরকার । তা না হলে একদর্শীয় চিন্তা-চেতনার আগাছায় মন ছেয়ে যেতে পারে ।
বিঃদ্রঃ ওহে ভালোবাসা-টালোবাসা বাগান-টাগানের ব্লগিনী-মালিনী ! দাঁতে ঠক-ঠক-করা কনকনে শীতে ব্লগ-বাগান কি গ্রীন-হাউসে মুড়ে দিয়ে প্রতিদিন তরতাজা ফুল ফুটানোর ব্যবস্থা করা যায় না ?
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সাথে বসন্তের শুভেচ্ছা। লিখবেন নিয়মিত
আপু সাথে সাথে পড়বো ! ওয়াদা করলাম! ইশা আল্লাহ! প্লিজ তাও লিখুন!
আপনি একটা ওয়েব সাইট জানতে চেয়েছিলেন, অস্থানে হলেও – এখানেই উল্লেখ করলাম ”www.80percentwords.com”
সামারে স্কুলের ছুটিতে বাচ্চাদের শেখানোর উপযোগী আরবী সফটওয়ার এর সন্ধানে ছিলাম। শুকরিয়া জানবেন। আপনার লেখা দেখছিনা অনেকদিন। ব্যাস্ততা কমলে নিয়মিত হবেন আশা করি
প্লিজ, কারো দিকে আর তাকিয়ে থাকা নয়, কেউ আসুক অথবা নাই আসুক, আপনি আসছেন, লিখছেন, ভালো কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টা করছেন, এটাই নিশ্চিত করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন