রামাদান আলোচনা : সূরা ক্বিয়ামাহ (আয়াত: ১-১৫)
লিখেছেন লিখেছেন বৃত্তের বাইরে ১৯ জুলাই, ২০১৪, ১০:৩০:৪১ রাত
যদি প্রশ্ন করা হয়, এমন একটি বাস্তব বিষয়ের নাম বলুন যা সকলেই সমানভাবে বিশ্বাস করে, তাহলে সবাই এক কন্ঠে বলবে : মৃত্যু। মৃত্যু এমন একটি বাস্তবতা যা অস্বীকার করার ক্ষমতা এখনো কারো হয়নি; কখনো হবে বলে মনে হয় না। প্রত্যেক ব্যক্তিই তার চারপাশে নিয়মিত গড়ে যাচ্ছে একটি নিজস্ব জগৎ যা তার কৃতকর্মেরই সরাসরি ফলাফল। মানুষের সৃষ্ট এ জগৎটির একাংশ পৃথিবীর আলোতে দৃশ্যমান করছে নিজেকে। অপর অংশটি, অর্থাৎ বৈধ-অবৈধ হওয়ার দিকটিও একটা ফলাফল সৃষ্টি করছে যা আড়াল করে রেখেছে নিজেকে পরজগতে প্রকাশের অপেক্ষায়। আমাদের কর্মের দ্বিতীয় অংশটি মূলত কর্মের চারিত্রিক দিক, ধর্মীয় পরিভাষায় যাকে বেহেশত ও দোযখ বলা হয়। আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই প্রতি মুহূর্তে এ বেহেশত অথবা দোজখ নির্মাণ করে যাচ্ছে। আর যেহেতু মানুষকে এ-পৃথিবীতে পরীক্ষার উদ্দেশে রাখা হয়েছে , তাই এ-বেহেশত ও দোযখ মানুষের চোখের অন্তরালে রাখা হয়েছে। পার্থিব জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বহু বিষয়ে মানুষের কোন জ্ঞান নেই, যেমন কে কোথায় জন্মগ্রহণ করবে ও মৃত্যুবরণ করবে, আগামীকাল কি ঘটবে, কে ধনী হবে আর কে হবে দরিদ্র, কে হবে ভাগ্যবান আর কে হতভাগ্য তেমনি বেহেশত-দোজখ নিয়েও কোনো ধারণা নেই। এই বেহেশত ও দোজখের অজানা অধ্যায় নিয়েই এ সূরার আলোচিত বিষয় হলো কিয়ামত ও পরকাল। কিয়ামত ও পরকালে যাদের বিশ্বাস নেই বা এ সম্পর্কে যারা উদাসীন, তাদের সামনে কিয়ামত সংঘটিত হবার প্রমাণ উপস্থাপন করে কিয়ামত কিভাবে হবে, পরকালে অবিশ্বাসীদের পরিণতি কি হবে, এ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে দুনিয়াতেই তো অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে তাহলে আর কেয়ামতের প্রয়োজন কেন? সৎ-অসৎ, কাফের-মুমিন নির্বিশেষে মানুষ মাত্রই প্রকৃতিগতভাবে কোন না কোন বিষয়কে লক্ষ স্থির করে তা অর্জনের জন্য অধ্যবসায় ও শ্রম স্বীকার করতে অভ্যস্ত। একজন সম্ভ্রান্ত ও সৎ লোক যেমন জীবিকা ও জীবনের প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহের জন্য প্রাকৃতিক ও বৈধ উপায় অবলম্বন করে এবং তাতে স্বীয় শ্রম ও শক্তি ব্যয় করে তেমনি দুষ্কর্মী ও অসৎ ব্যক্তিও দৈহিক ও মানসিক শ্রম দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করে এবং সফলকাম হয়। অর্থাৎ প্রত্যেকেই জ্ঞাত এবং অজ্ঞাতসারে তার মঞ্জিলের দিকেই তার সফর অব্যাহত রেখেছে। একজন অসৎ ব্যক্তি মাঝে মাঝে অল্প সময়ে এত ধন সম্পত্তি অর্জন করে যা একজন সৎ মানুষের পক্ষে সারাজীবনেও উপার্জন করা সম্ভব হয়না। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, একজন সৎ লোকের চেয়ে একজন অপরাধী দুনিয়ায় লাভবান হচ্ছে এবং অনেক সময় আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। তাই যুক্তিগতভাবেই এরূপ সময় আসা জরুরী যেখানে সবার হিসাব-নিকাশ হবে, যেখানে অপরাধীর পালানোর কোনো সুযোগ থাকবেনা। যেখানে ন্যায় ও ইনসাফ থাকবে এবং সৎ ও অসতের পার্থক্য দিবালোকের ন্যায় ফুটে উঠবে। এমন বিচার একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষেই সম্ভব এবং সে সম্পর্কে রাসুল (স: এর প্রতি ঠাট্টা বিদ্রুপকারী অবিশ্বাসীদের সমুচিত জবাব দিতেই সূরার ১ম আয়াতে 'আমি শপথ করি কিয়ামত দিবসের’ আল্লাহর এই শপথের মাধ্যমে কিয়ামত এর আগমনকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে কিয়ামতকে দু’ভাবে ভাগ করা যায়-১. সমগ্র বিশ্বের কিয়ামত অর্থাৎ আকাশমন্ডল ও ভুমন্ডলের ধ্বংস প্রাপ্তি। ২. ব্যক্তিবিশেষের কিয়ামত যা কোনো ব্যক্তি যখন মারা যায় তখনই কায়েম হয়ে যায়। দুনিয়া হচ্ছে কোন ব্যক্তির জন্য ওয়েটিংরুম/বিশ্রামাগার। ওয়েটিংরুমে যেমন ফার্স্ট ক্লাস থেকে থার্ড ক্লাস পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য বিভিন্নরূপ হয়ে থাকে তেমনি অপরাধীদের জন্য ওয়েটিংরুম হচ্ছে হাজত ও জেলখানা। এই বিশ্রামাগার থেকেই প্রত্যেক ব্যক্তি তার স্তর ও মর্যাদা নির্ধারণ করতে পারে। তাই মৃত্যুর সাথে সাথেই প্রত্যেকের নিজস্ব কিয়ামত এসে যায়।
মানুষের এই ভাল-মন্দ সব ক্রিয়াকাণ্ড নিয়ন্ত্রনের মূলে রয়েছে তার আত্মা বা নফস । মুমিন ব্যক্তি সর্বদাই তার প্রত্যেক সৎ ও অসৎ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয় এবং নিজেকে ধিক্কার দেয়। খারাপ কাজ বা গোনাহের কারণে সে নিজেকে ধিক্কার দেয় যে, এমন কাজ কেন করলাম? সৎ কাজ করলেও নিজেকে তিরস্কার করে যে, আরও বেশী সৎ কাজ কেন করতে পারলামনা? মূলত: মানুষকে দুনিয়ায় পাঠানোর আসল উদ্দেশ্য হলো পরকালের জন্য সঞ্চয়। আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত মানচিত্র অনুসরণ করা ব্যতিরেকে সেই সাফল্যের স্বর্ণ দুয়ারে পৌঁছা আদৌ সম্ভব নয়। “আমি (কিয়ামত দিবসে) তাদের কৃতকর্মগুলো বিবেচনা করবো, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলি-কণায় পরিণত করবো।” (সূরা ফুরকান: ২৩)
অনুরূপভাবে ইবাদতটি যদি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নির্দেশনা তথা সুন্নত মোতাবেক না হয়, তবুও তা প্রত্যাখ্যাত। তিনি এরশাদ করেন: “যে ব্যক্তি এমন আমল করবে, যার পক্ষে আমার কোন নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত।” (মুসলিম). আবু হুরায়রা (রা: থেকে বর্ণিত রাসুল (স: একবার সাহাবায়ে কিরামকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তোমরা জান, নিঃস্ব কে? সাহাবায়ে কিরাম আরজ করলেন, যার কাছে ধন-সম্পদ নেই, আমরা তাকে নিঃস্ব মনে করি। তিনি বললেন,' আমার উম্মতের মধ্যে সেই ব্যক্তি নিঃস্ব, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা, যাকাত ইত্যাদির পুঁজি নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু সে দুনিয়াতে কাউকে গালি দিয়েছিল, কারও প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছিল, কাউকে প্রহার কিংবা হত্যা করেছিল এবং কারও ধন-সম্পদ আত্মসাত করেছিল, হাশরের মাঠে তারা সবাই উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ দাবী পেশ করবে। কেউ তার নামাজ নিয়ে যাবে, কেউ রোজা, কেউ যাকাত এবং কেউ অন্যান্য সৎ কর্ম নিয়ে যাবে। যখন তার সৎ কর্ম নিঃশেষ হয়ে যাবে, তখন তার হাতে উত্পীড়িত লোকদের গোনাহ তার উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রাপ্য চুকানো হবে। এর পরিণতিতে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। অর্থাৎ মানুষের ভাল-মন্দ প্রত্যেক চেষ্টা ও অধ্যবসায় আল্লাহর দিকে চূড়ান্ত হবে।
মূলতঃ ক্বিয়ামত হ’ল মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলার অলৌকিক শক্তির রূপায়ণ ও নিদর্শন এবং মানবজীবনের শেষ পরীক্ষা কেন্দ্র। ক্বিয়ামতের বিভীষিকাময় পরিবেশের কথা জানার জন্য বিশ্ববাসীর চরম আগ্রহের প্রেক্ষাপটে আল্লাহতা‘আলা এর সময়কাল গোপন রেখেছেন। কোন নবী-রাসূল বা ফেরেশতারাও এর আসন্ন সময়কাল জানেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিশেষ করে উম্মতে মুহাম্মাদীর অনেকে বিষয়টি বার বার জানার আগ্রহ ব্যক্ত করলে আল্লাহ বলেন,‘আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ক্বিয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন, এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা যথাসময়ে প্রকাশ করবেন। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয় হবে। তোমাদের উপর আকস্মিকভাবেই তা এসে যাবে। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ শুধু আল্লাহর নিকটেই রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ লোকই তা জানে না’। (আ‘রাফ ১৮৭)
কাফের ও মুনাফিকদের ক্বিয়ামতে অবিশ্বাস সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা‘আলা তাঁর প্রিয় রাসূল (স: কে প্রত্যাদেশ করেন,
‘কাফেররা বলে, আমাদের উপর ক্বিয়ামত আসবে না। বলুন, আমার পালনকর্তার শপথ! অবশ্যই তোমাদের নিকটে আসবে। তিনি অদৃশ্য সম্পর্কে জ্ঞাত। নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে তাঁর অগোচর নয় অনুপরিমাণ কিছু, না তদপেক্ষা ক্ষুদ্র এবং না বৃহৎ, সমস্তই আছে সুস্পষ্ট কিতাবে’। (সাবা ৩)
যখন প্রমানিত হল যে, কিয়ামতের আগমন ও ক্রিয়াকর্মের প্রতিদান ও শাস্তি নিশ্চিত, তখন অত:পর কিয়ামতের কিছু ভয়াবহ অবস্থা ও অপরাধীদের শাস্তি উল্লেখ করা হয়েছে: 'সেই দিন মানুষ বলবে: পলায়নের জায়গা কোথায়? না, কোথাও আশ্রয়স্হল নেই। আপনার পালনকর্তার কাছেই সেদিন ঠাই হবে। সেদিন মানুষকে অবহিত করা হবে সে যা সামনে প্রেরণ করেছে ও পশ্চাতে ছেড়ে দিয়েছে। বরং মানুষ নিজেই তার নিজের সম্পর্কে চক্ষুষ্মান, যদিও সে অজুহাত পেশ করতে চাইবে।(কিয়ামাহ: আয়াত ১০-১৫)
“সেদিন গোপন অজানা তত্ত্ব ও রহস্য সমূহের যাচাই পরখ করা হবে। তখন মানুষের কাছে না নিজের কোন শক্তি থাকবে না কোন সাহায্যকারী তার জন্য আসবে।” (সূরা আত্-তারিকঃ ৮৬:৯-১০)
যেখানে আল্লাহতায়ালা নিজে কিয়ামত সম্পর্কে শপথ করেছেন, অবিশ্বাসীদের কিয়ামতের আগমন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন, নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কি শাস্তি সে সম্পর্কেও বলে দিয়েছেন সেখানে একজন মুমিন মৃত্যুকে ভয় না পেয়ে পরকাল আছে জেনেও এমন উদাসীন থাকতে পারে কি করে! এ সম্পর্কে আবু যর (রা: থেকে বর্ণিত রাসুল (স: বলেন, আমি সে ব্যক্তির ব্যাপারে বিস্ময়বোধ করি, যে মৃত্যুর দৃঢ় বিশ্বাস রাখে। অত:পর সে কিরূপে আনন্দিত থাকে! আমি সে ব্যক্তির ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করি, যে তাকদ্বীর বিশ্বাস করে, অত:পর সে কিরূপে অপারগ ও চিন্তাযুক্ত হয়! আমি সে ব্যক্তির ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করি, যে দুনিয়া, দুনিয়ার পরিবর্তনাদি ও মানুষের উত্থান-পতন দেখে, সে কিরূপে দুনিয়া নিয়ে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকে! আমি সে ব্যক্তির ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করি, যে পরকালের হিসাব-নিকাশে বিশ্বাসী। অত:পর সে কিরূপে কর্ম পরিত্যাগ করে বসে থাকে?
সুতরাং, বুদ্ধিমানের কাজ হলো নিজের সময়কে তিন ভাগে ভাগ করা। এক ভাগ তার পালনকর্তার ইবাদত ও তার সাথে মুনাজাতের, এক ভাগ আত্মসমালোচনার ও আল্লাহর মহাশক্তি এবং কারিগরী সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার এবং এক ভাগ জীবিকা উপার্জনের ও স্বাভাবিক প্রয়োজন মেটানোর। বুদ্ধিমান ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য এই যে, সে সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকবে, উদ্দিষ্ট কাজে নিয়োজিত থাকবে এবং লোভকে সংবরণ করবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে পরকালের উপর বিশ্বাস স্হাপন করে নফসকে সকল প্রকার কুমন্ত্রনা থেকে রক্ষা করার তৌফিক দিন, আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ দিন এবং দোজখের আজাব থেকে রক্ষা করুন। আমীন
তথ্যসূত্র: মা'আরেফুল কুরআন ।
বিষয়: বিবিধ
২১১৫ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপু অনেক ভাল হয়েছে ।অনেক সহজ সাবলীল আলোচনা ।জাজাকাল্লাহ খাইরান আপু ।
আমরা কিয়ামতের চিন্তা এখন ভুলে গিয়েছি প্রায়। অনেকে মনে করেন ঘুষ,দুর্নিতি যাই করুন কিয়ামতের সময় তার পির তাকে বাচাবেন! সেই পির নিজে আদেী বাচবেন কিনা সেটাই কেউ জানেনা।
“হে পরোয়ারদেগার! সেই জ্বিন ও মানুষদেরকে আমাদের সামনে এনে দাও, যারা আমাদের পথভ্রষ্ট করছিলো। আমরা তাদেরকে আমাদের পায়ের তলায় রেখে দলিত মথিত করবো, যেনো তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়।” (সূরা হা-মীম-আস্ সাজদাহ্/ফুসসিলাতঃ ৪১:২৯)
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে দোয়া করবেন
Jazakillah khoir apu Moni! MASHA Allah heart touching writing!
May Allah make all of us among His dear slaves & protect all of us on the Day of Qiyamah.. Ameen
হে আল্লাহ!
আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারকে জাহন্নাম থেকে বাচাও আর জন্নাত দান করো এই একটাই চাওয়া।
ইমাম আবু হানিফা রাহিঃ এক রাতে কিয়ামমুল লাইলে শুধু একটি আয়াতই তিলাওয়াত করে রাত কাটিয়ে দিয়েছিলেন! আয়াতটি ছিল সূরা ক্বমার ৮৬-
এদের সাথে বুঝাপড়া করার জন্য প্রকৃত প্রতিশ্রুত সময় হচ্ছে কিয়ামত৷ কিয়ামত অত্যন্ত কঠিন ও অতীব তিক্ত সময়৷
আল্লাহ আমাদের সঠিক কথা,কাজ ও আমল করার তৌফিক দান করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইর আপুনি!!!!
জাযাকাল্লাহু খাইরান কাসীরা
অ.ট. (সাঃ) লিখতে গিয়ে হাসির ইমো হয়ে গেছে,যা একটু দৃষ্টি কটু লাগছে। : এর পর ) হলে হাসির ইমো হয়। সুতারং : এর স্থলে বিশর্গঃ ব্যবহার করুন বা শুধু একটি ডট. দিন। ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ। অনেকের পোস্টে এমন দেখি। খারাপ লাগে দেখতে। আমার আসলে উপায়টা জানা ছিলনা। এখনি ঠিক করে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন