শেকড়ের সন্ধানে

লিখেছেন লিখেছেন বৃত্তের বাইরে ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১১:৪১:২৮ রাত



এ বছর অয়নদের বাংলা স্কুলে ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাচ্চাদের গল্প বলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। অয়ন গতবার দেশে গিয়ে তার দাদুভাইয়ের কাছে একটা গল্প শিখেছিল। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার সময় সে দাদুভাইয়ের কাছে শুনতো গল্পটা। অয়ন অর্থগুলো ঠিকমত বুঝতে পারতোনা কিন্তু দাদুভাই এত আগ্রহ নিয়ে মজা করে বলতেন যে অয়ন কিছু জিজ্ঞাসা না করে চুপ করে শুনতো। অয়ন এবার স্কুলে গল্প বলা প্রতিযোগিতায় এই গল্পটা বলবে ঠিক করেছে। কি যেন ছিল গল্পটা! ওয়ান্স আপন এ টাইম দেয়ার ওয়াজ এ গার্ল_ অনেকদিন আগে একগুয়া ফুরি আছিল...তারপরে যেন কি...নাহ ঠিক মনে করতে পারছেনা! ইংরেজিতে হলে অনর্গল বলতে পারতো কিন্তু বাংলা অনেক কঠিন লাগে অয়নের। আম্মু তো সারাক্ষণই বকে। আহ অয়ন! দেশে গিয়ে কি সব ভাষা শিখে এসেছো! শুদ্ধ করে কথা বলতে পারোনা। কিন্তু দাদুভাই তো এভাবেই কথা বলে। আমি কি জানি কোনটা ভুল আর কোনটা শুদ্ধ! আম্মু যে কি, সারাক্ষণই বকে। এইতো গতকালও যখন পাশের বাসার আন্টি ফোন করেছিলেন আম্মু তখন নামাজ পড়ছিল। অয়ন আন্টিকে বলেছে, ‘আম্মু ইজ নামাজিং। আর সেটা শুনেও আব্বু, আম্মু দু'জনই হাসছিল। অয়নের বাংলা শুনে সবাই রাগ করে আর হাসে এ জন্যই বাংলা বলতে চায়না অয়ন।

এই সমস্যা শুধু প্রবাসে বেড়ে উঠা অয়নের নয়, দেশেও একই অবস্থা। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া বাচ্চাদের অভিভাবকরা গর্ব করে বলেন, ‘আমার ছেলে/মেয়েটা কেবল ইংরেজি বলে। বাংলা একদম বলতে চায় না। বাসাবাড়িতে সারাদিন চলছে হিন্দী সিরিয়াল। বাসার ছোট বাচ্চাটাও এই সিরিয়াল দেখতে দেখতে হিন্দীতে কথা বলে। নিজের নামের বানানটা ঠিকমত শেখার আগে হিন্দীতে কথা বলা শিখে যায়। উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য ইংরেজী তবু মেনে নেয়া যায় কিন্তু হিন্দী কেন! অনেক বাবা-মা ছোটবেলা থেকে বাচ্চাদের ইংরেজিতে এক্সপার্ট করার জন্য বাংলা গল্পের বই পড়তে দেন না। ইদানিং স্কুল, ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে-মেয়েরা নিজেদের স্মার্টনেস দেখানোর জন্য আড্ডায় বাংলার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটা ইংরেজী শব্দ জুড়ে দিয়ে কথা বলাটাকে ফ্যাশন মনে করে। ফেসবুকে, মোবাইলের ম্যাসেজ সহ সামাজিক সাইট গুলোতে বাংলা-ইংরেজী মেশানো বিচিত্র সব বাংলিশ ভাষা ব্যবহার করে। কেন দুই লাইন বাংলা লিখতে কি খুব বেশী কষ্ট হয়! সবচেয়ে বড় কথা তাদের এটা নিয়ে মনে কোন মাথাব্যাথা নেই। অথচ এরাই একুশ এলে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘটা করে দিবস পালনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ইংরেজী অবশ্যই দরকার কিন্তু নিজের মাতৃভাষাকে ভুলে গিয়ে নয়। বরং যে দেশ যত বেশী উন্নত সে তার মাতৃভাষার প্রতি তত বেশী মনোযোগী। প্রবাসে জার্মান, রাশিয়া, চীন সহ বিভিন্ন দেশ থেকে যারা পড়তে আসে তারা নিজের ভাষাটাকে আগে ভালভাবে রপ্ত করে পরে ইংরেজী শিখে। কিন্তু যত আদিখ্যেতা শুধু বাঙ্গালীদের। এখন এমন হয়েছে যে সাধারন একটা বাংলা বানান লিখতে গেলেও মাথা ঘামাতে হয়। প্রবাসে যারা বড় হচ্ছে তাদের কথা না হয় মেনে নেয়া যায় কিন্তু যারা দেশে আছে তাদের এই অবস্থা হবে কেন? ইংরেজী মিডিয়ামে পড়লেই কি বাংলা ভুলে যেতে হবে! ইংরেজী থাকুক ইংরেজীর জায়গায়, মাতৃভাষা থাকুক মায়ের মত। সমস্যা তো নেই।

অয়নের বাবা রফিক সাহেব প্রবাসে এসেছেন অনেক বছর হলো। ছেলেমেয়েদের জন্ম, বেড়ে উঠা সবই দেশের বাইরে। ছুটি পেলে দেশে বেড়াতে যান। তিনি প্রবাসে সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত বলে একুশ এলে তার ব্যস্ততা বাড়ে। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ছেলেমেয়েদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাংলা শেখার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা সহ নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। উনি নিজে এখনও সময় পেলে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল চর্চা করেন। তাঁর ঘরের ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে দেশের বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিকদের বই শোভা পায়। কিন্তু জীবন জীবিকার জন্য ডলারের পিছনে এতটাই ব্যস্ত সময় কাটান যে ছেলেমেয়েদের কাছে পূর্ব পুরুষদের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে কথা বলার সময় খুব একটা পান না। ছেলেমেয়েরা জানেনা কিভাবে বাংলা পড়তে বা লিখতে হয়। তারা কথা বলে ইংরেজিতে, স্বপ্নও দেখে ইংরেজিতে। তিনি জানেন, তিনি যখন থাকবেন না পাঠকের অভাবে অযত্ন-অবহেলায় তার এই শখের লাইব্রেরীর বইগুলোর উপর ধুলো জমবে। রফিক সাহেব মনে করেন স্বদেশে বসবাসকারী একজন মানুষের ভাষা বা সংস্কৃতির প্রতি যতটা ভালবাসা বা মমত্ববোধ কাজ করে, তার চাইতেও অনেকাংশে বেশী ভালবাসা বা মমত্ববোধ কাজ করে প্রবাসের অভিবাসী বাঙালীদের ভেতর। জন্মভুমি থেকে দূরে থাকা হয় বলেই হয়তো এতটা অনুভব করে তারা। কিন্তু একই ছাদের নীচে থেকেও পারিবারিক ঐতিহ্য এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, ব্যক্তিগত আচার-আচরণ, খাদ্যাভাস সব কিছুতে নিজের দেশের মত চলার চেষ্টা করলেও ছেলে-মেয়েরা বেড়ে উঠছে সম্পূর্ণ ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে। নিজেরা বাংলা গান শুনা, বাংলা টিভি চ্যানেল দেখা, কমিউনিটিতে বাংলাদেশী কেউ আছে কিনা, কোথায় দেশী দোকান আছে খুঁজে বের করে বাজার করা সব কিছুতে নিজের দেশের প্রতি যে টান অনুভব করেন তা থেকে প্রবাসে বেড়ে উঠা সন্তানরা অনেক দূরে। তাদের চিন্তাভাবনা বার্গার, পিৎজা, আইফোন, আইপ্যাড, কম্পিউটার গেমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই কারন, ঘরের বাইরে শিক্ষক-বন্ধু সবার সাথেই সে কথা বলছে ইংরেজীতে। পাশ্চাত্যের আর দশজনের মতই সে বেড়ে উঠছে। সঙ্গত কারনেই ইংরেজী বলছে কারন, ইংরেজী তাদের ভাষা। তারা বুঝতে পারছেনা নিজের দেশে নিজের ভাষায় কথা বলায় মানসিক কি প্রশান্তি! তারা জানতে পারছেনা বৃষ্টি কাদায় মাখামাখি হয়ে গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে ঘুরে বেড়ানোর কি আনন্দ!

রফিক সাহেব জানেন তাদের দুই প্রজন্মের মধ্যে চিন্তার ব্যবধান অনেক বেশী। আজ তারা আছেন বলে ভাষাটা টিকে আছে। কিন্তু আর কয়েক বছর পর তারা যখন থাকবেন না তখন প্রবাসে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তৃতীয় প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষাটা হয়তো চিরতরে হারিয়ে যাবে। তিনি মনে করেন বাচ্চাদের জন্য ঘরে অন্তত বাবা-মায়ের সাথে বাংলায় কথা বলাটা বাধ্যতামুলক করা উচিত। ছুটিতে তাদের নিয়ে দেশে যাওয়া, যে যেখানে আছেন নিজেদের দেশের লোকজনের সাথে পরিচিত হওয়া যাতে বাচ্চারা নিজের সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা পায়। স্কুলে বা বন্ধুদের সাথে কি করছে তা বাংলায় অল্প করে হলেও শেয়ার করা। বাংলা বলার জড়তা কাটানোর জন্য যেখানে বাংলা স্কুল আছে সপ্তাহে একদিন হলেও সাথে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত চর্চা করানোর জন্য প্রতিদিন বাংলা পেপারের অন্ততএকটা হেডলাইন হলেও পড়ানোর চেষ্টা করা ইত্যাদি। সর্বোপরি মাতৃভাষার চর্চাটা নিজের ঘর থেকেই শুরু হোক। এ ব্যাপারে দেশে এবং প্রবাসে অভিভাবকরা আরেকটু সচেতন হোক, আরও যত্নশীল হয়ে এগিয়ে আসুক। কেননা আমরা যতই বিদেশের অপসংস্কৃতি আঁকড়ে থাকিনা কেন একদিন নাড়ীর টানে আমাদেরকে আমাদের মূল শিকড় বাংলাদেশের কাছেই ফিরে যেতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭৪৪ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

174023
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪৯
সকাল সন্ধ্যা লিখেছেন : বাংলার যে অপসংকিৃতি শুরু হয়েছে এর থেকে আমরা আসলে কিভাবে বের হব এটা ভাবনার বিষয় -- আপনার সচেতন মূলক পোষ্ট টির জন্য ধন্যবাদ -
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:১৮
127451
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : অপসংস্কৃতি দূর করার জন্য আরও বেশী বেশী নিজের ভাষার প্রতি মনযোগী হওয়া প্রয়োজন। রাশিয়া,ইউরোপ এ গিয়ে আমরা কিন্তু তাদের ভাষাতেই পড়ি। তারা যদি তাদের ভাষাকে এত গুরুত্ব দেয় তাহলে আমাদের অসুবিধা কোথায়! এর কারন তাদের ভাষায় অর্থনৈতিক আধিপত্য বেশী। প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি অন্য ভাষার সাথে বাংলা ভাষায়ও দক্ষ হয়ে উঠেন তাহলে প্রবাসীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগ, ব্যবসা,চাকরীর দিগন্ত আরও খুলে যাবে বলে আমার মনে হয়। আমি যতদূর দেখেছি বেশী ভাষা জানা থাকলে Interpreter/দোভাষী হিসেবেও ভাল চাকরী পাওয়া যায়।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck RoseHappy
174025
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৫৫
আলোর আভা লিখেছেন : আমরা যতই বিদেশের অপসংস্কৃতি আঁকড়ে থাকিনা কেন একদিন নাড়ীর টানে আমাদেরকে আমাদের মূল শিকড় বাংলাদেশের কাছেই ফিরে যেতে হবে। আপু আমিও আপনার মত করে চিন্তা করি ।আমার সন্তানেরা কি যাবে !

ধন্যবাদ আপু সুন্দর লেখার জন্য ।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:১৫
127450
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারেনা। সব কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকা ভালো। মধ্যপ্রাচ্যে সিটিজেনশিপ দেয়না। যারা ফ্যামিলি নিয়ে থাকেন তাদের ছেলেমেয়েরা উচ্চতর ডিগ্রীর জন্য কানাডা/আমেরিকায় চান্স না পেলে কিন্তু দেশেই ফিরে যেতে হয়।

পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদGood Luck RoseHappy
174086
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:০৮
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার কিছু সত্য তুলে ধরেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৫৩
127720
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সম্ভবত প্রথম আমার ব্লগে বেড়াতে এলেন। প্রবাসের সব জায়গায় এই চিত্রগুলো মনে হয় এক। নিজের দেখা প্রবাস জীবন এবং আমার প্রফেশনের বাইরে সপ্তাহে একদিন বাংলা স্কুলে বাচ্চাদের ক্লাস নেয়ার অভিজ্ঞতা থেকে লেখাটা দেয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার এবং মন্তব্য করার জন্যGood Luck Rose Happy
174128
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:১০
আলোকিত ভোর লিখেছেন : চমৎকার পোস্ট Thumbs Up Rose

ধন্যবাদ Rose Rose Rose
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৫৬
127722
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদHappy Good Luck Love Struck
174210
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বেশ ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ Star Rose Rose Rose
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০২:৫৭
127723
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : অনেক শুকরিয়া আপু সবসময় উৎসাহ দেয়ার জন্য। ভাল থাকবেনLove Struck Good Luck Rose
174462
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৪
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : আপু এখনতো ইংরেজী পাশাপাশি হিন্দি যোগ হয়েছে । ইংরেজি না হয় আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে দরকার আছে তবে অবশ্যই নিজের ভাষা বাদ দিয়ে নয় কিন্তু হিন্দি কোন দুঃখে Thinking
সুন্দর লিখেছেন আপুনি । অনেক ধন্যবাদ Love Struck
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৪
128507
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : ঠিক বলেছো আপুমনি। অনেক ধন্যবাদ তোমাকেওLove Struck Love Struck
174950
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২২
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : এই মিম তোমার ভাইয়া কোথায়?
উত্তরঃ ভাইয়া ঘাড় পাড় নেহিহে ডোরেমন কনসেপ্ট।
এই পুচকাটা ডোরেমন না দেখলে ওর পেটে ভাত যাওয়া কষ্টকর হয়ে যায়।
এর জন্য পুঁচকাগুলোর মা আর বাবাকে মাথায় দুইটা ব্যাম্বোর বাড়ি দিতে পারলে মনটা ভালো হতো।
ভাষার সাথে সাথে ওভার স্মার্ট হয়ে যাচ্ছে যাকে বলে ইঁচরে পাঁকা।
বয়স ছয় বছর। ক্লাস টু এর একটি মেয়ে খাতায় লিখেছে "লাভ মানে ছলনা ইউ আমায় ভুলনা" "এলাহী ভরসা তুমি করো কার আসা? আমি করি তুমার আশা তুমি আমার ভালোবাসা" টমেটো নিয়ে আরেকটা ছন্দ লিখেছিলো বাট সেটা লিখলাম না। নিজের চোখে না দেখলে আমি জিন্দেগীতে বিশ্বাষ করতাম না। কিন্তু নিজের চোখে দেখা।
হায় আল্লাহ আপনি আমাদেরকে পানাহ দান করুন।
আর সিরিয়াল হিন্দী সিরিয়াল অভিশপ্ত কুটনী সিরিয়ালকে না বলি।
Good Luck লুকিং ফর শত্রুজ
Good Luck দিস ইজ বেয়াদবি একদম বেয়াদবি
হাসি পায় খুব।
Good Luck পিলাচ পিলাচ আপনার পোষ্টটিকে।
Good Luck আমি আমার ঘড় থেকে আলহামদুলিল্লাহ টিভিকে বিদায় দিয়েছি।
Good Luck এবং অনেক উত্তম নিয়ত করেছি আল্লাহ কবুুল করুন।
Good Luck সুন্দর পোষ্ট শুকরিয়া।
আজকে আফসোস নেই এই এখন মিস্টি খেয়ে কমেন্ট করলাম।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৬
128170
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এই এই ....... কার মিষ্টি? কক্ষণ খেয়েছো? কি উপলক্ষে আনা হয়েছে? Crying Crying Surprised Surprised
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫২
128515
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : কিসের মিষ্টি!আমার ভাগ কই!Waiting Frustrated
সুন্দর মন্তব্যের জন্য রাহবার কে ধন্যবাদ। এখনকার বাচ্চাগুলো অনেক চালাক। দেশের বাইরে বড় হওয়া বাচ্চাগুলো একটু বোকা টাইপের তার চেয়ে দেশের বাচ্চারা বেশী ইচড়ে পাকা।Tongue সময় পাইনা,প্রফেশনের সাথেও মিল নেই তাও বাচ্চাদের সাথে কাজ করতে ভালই লাগেGood Luck Rose
১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০০
128523
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আপনার প্রোপিক টা অনেক কিউট। ব্লগে আপনার সমবয়সী অনেকগুলো খেলার সাথী হয়ে গেল। ইকিদি,সকাল-সন্ধ্যা,আকাবাঁকা,লুকোচুরী, বিদ্যালো---@রাহবার:
174975
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৩
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : উফ.... সেই সকালথেকে পড়তেছি এই লিখাটা, এখনও শেষ করতে পারি নাই কেনু? Sad Sad Crying Crying
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
128192
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : পিলাচ

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৮
128201
ইমরান ভাই লিখেছেন : তোমারে পিপড়ার কামড় খাওয়াতে হবে Tongue


০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
128224
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : ইমরান দাদা,, পিপড়াটা হারিকেনের আগুনে মরে যাবে Crying Crying
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৫৭
128520
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সেই সকাল থেকে পড়ছি মানে কিFrustrated Smug এই ছোট্টTongue একটা পোস্ট পড়তে এতক্ষণ লাগে! আপনাকে আর ইমরান দাদাকে -৪০ ডিগ্রিতে বরফের মধ্যে দশ মিনিট দাড় করিয়ে রাখলে বুঝবেন কত গমে কত আটাWaiting

--আচ্ছা ঠিক আছে,এইতো আর একটা লাইন পড়লেই শেষ হয়ে যাবে। টিচার তো মুখস্ত করতে বলেনিLove Struck Good Luck
176154
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:২১
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : বর্তমানে আমাদের তৃতীয় জেনারেশন দেশের বাইরে, তন্মধ্যে প্রথম জেনারেশন ছাড়া বাকীরা বড় হয়েছে দেশের বাইরে। তাই আশা করছি এই বিষয়ে আমি খানিকটা আলোকিত মন্তব্য করতে পারব। আমি বড় হয়েছি মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে বাংলাদেশীদের সংখ্যা, ঘনত্ব এবং কার্যক্রম ছিল অনেক বেশি। আমাদের বাবামায়েরা বিদেশে থেকেও চলনে বলনে ছিল পুরোদস্তুর বাংলাদেশী। বাবারা কাজ করতেন, মায়েরা মূলত গৃহিনী। ফলে পাঠ্যসূচীতে ইংরেজী এবং আরবী থাকলেও আমরা মূলত বাংলা ভাষাই ব্যাবহার করতাম। তাছাড়া দেশ থেকে দুরত্ব কম এবং ঘন ঘন যাতায়াতের সুবিধা থাকায় নানাপ্রকার বাংলা বই আনানো ছিল সহজ। পক্ষান্তরে, আমার সন্তানরা বড় হচ্ছে এমন এক পরিবেশে যেখানে বাংলাদেশীদের সংখ্যা যেমনই হোক, অনেকেই ক্যানাডিয়ান ধাঁচে চলেন এবং তাদের সন্তানরাও স্বাভাবিকভাবেই বাবামায়ের অনুসরন করে। বাবামা উভয়েই ব্যাস্ত থাকার কারণে সন্তানরা মূলত বন্ধুবান্ধবদের সাথেই কথাবার্তা বলে বেশি, অনেক বাবামাও সন্তানদের সাথে ইংরেজী চর্চা করেন যেহেতু তাদের বাংলাদেশী ইংরেজী নিয়ে কাজকর্ম করতে স্বাচ্ছন্দ্যের অভাব হয়। সময়ের তারতম্যের কারণে দেশের সাথে যোগাযোগ হয় কম। দেশে ঘন ঘন যাওয়া আসা যেমন অসম্ভব, তেমনি দেশ থেকে বইপত্র আনাও দুঃসাধ্য ব্যাপার। ফলে সন্তানরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাবামায়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারেনা। এটা কারো চেষ্টার ত্রুটি নয়, কারো ব্যার্থতাও নয় বরং কঠোর বাস্তবতা।
আপনার লেখাটিতে আমাদের সমস্যা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ Rose Rose Rose
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৪:০২
129713
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : দেশের বাইরে বিভিন্ন রকমের ভাষা শিক্ষার ফাঁদে পড়ে বাংলা শিক্ষার গুরুত্বটা এমনিতেই কমে যায়। এখন ইন্টারনেট এ ডাউনলোড করে সহজেই ভাষার চর্চাটা নিজেদের ঘরে চালু রাখা যায় কিন্তু এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। যারা আগ্রহ নিয়ে বাংলা শিখতে আসে তারা আমাদের মত গল্প,উপন্যাস হয়তো কোনদিন পড়তে পারবেনা জানি—এমন আশা করাটাও ঠিকনা কারন এটাই বাস্তব। কিন্তু পড়তে/লিখতে না পারুক নিজেরা বাংলায় কথা বলতে পারবেনা, নিজের দেশের ইতিহাস,ঐতিহ্য সম্পর্কে অভিভাবকদের কাছে কিছু জানবেনা এটা মেনে নিতে কেন জানি কষ্ট হয়। অনেকেই অভিযোগ করেন দেশে হিন্দী সংস্কৃতি চালু হয়েছে। এসব অপসংস্কৃতি রোধে ভারতীয় চ্যানেলের দোষারোপ করে ক্ষান্ত থাকার চেষ্টা করি কিন্তু এসব রোধ করতে বাংলার চর্চা টা যে বেশী করা দরকার সেটা কেউ ভাবিনা। যাই হোক,দেশে অন্তত অভিভাবকগন সচেতন হোক। গঠনমূলক, সুচিন্তিত মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকেLove Struck Love Struck Love Struck Good Luck Good Luck
১০
181017
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৫
শিকারিমন লিখেছেন : অতি চমত্কার একটি লিখা। সব প্রবাসী মানুষদের এরকম ই ভাবা উচিত। প্রত্যেক প্রবাসী পিতা মাতা তার সন্তানদের আপন দেশের ভাষা সংস্কৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলা দরকার।
না হলে ওই পিতা মাতাই একসময় অন্য সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠা তাদের সন্তানগুলোর কাছে অপরিচিত হয়ে উঠবে।
ধন্যবাদ আপনাকে, সচেতন মূলক পোস্ট টির জন্য। Good Luck Good Luck
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৩৯
134769
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমি সবসময় আমার নিজেকে দিয়ে চিন্তা করি তাই আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেHappy Good Luck
১১
181082
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১১
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : খুবই সুন্দর লিখা। বাংলাদেশে ইংলিশ মিডিয়াম মানে হল, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ার জন্য টাকা হল পিতার, আর ছাত্রকে বেয়াদব বানানোর দায়িত্ব স্কুলের।

প্রবাসে প্রতিটি পিতা মাতা বাংলা নিয়ে সমস্যায় আছে। আলহামদু লিল্লাহ আমিও প্রবাসী থাকি, তবে শুরু থেকে সচেতন ছিলাম বলে ছেলেকে বাংলায় চালু রাখতে পেরেছি। সে বাংলা ইংরেজী দুটোতেই ভাল কথা বলতে পারে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৪২
134770
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল সম্পর্কে আমার তেমন ধারনা নেই কিন্তু এখনকার বাচ্চারা কথা শুনতে চায়না। আমরা এখনো আমাদের বাবা-মায়ের অবাধ্য হব এটা ভাবতে পারিনা। অবশ্য এখন বাবা মায়েরা বাচ্চাদের অনেক ছাড় দিয়ে রাখে এটাও কারন হতে পারে। আপনার ছেলের কথা শুনে ভালো লাগলো। দোয়া রইলো ওর জন্য। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকেGood Luck Happy
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
136133
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ছেলে আমি দেশে থাকতে পড়িয়েছি, ইউরূপে দেখেছি, মধ্য প্রাচ্যে দেখে যাচ্ছি। ছাত্র বেয়াড়া হওয়াটা এই মাধ্যমের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File