জামাত কি নারী নেতৃত্বে পজেটিভ?? আমি যদি প্রমান করে দিতে পারি, জামাত নয়, বরং জামাত বিএনপি জোট নিয়ে যাদের চুলকানি আছে তারাই নারী নেত্রীত্বে পজেটিভ...
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আলী বিন সুলতান ২৫ মে, ২০১৩, ০১:০৯:১৫ দুপুর
জামাত-শিবির-বিএনপি জোট নিয়ে এখনো দেখছি অনেকের চুলকানি আছে। জামাত নারী নেত্রীত্বে পজেটিভ।
কিন্তু আমি যদি প্রমান করে দিতে পারি, জামাত নয়, বরং জামাত বিএনপি জোট নীয়ে যাদের চুলকানি আছে তারাই নারী নেত্রীত্বে পজেটিভ।
ইসলাম নারী নেত্রীত্ব সমর্থন করেনা, তাহলে কেন জামাত বিএনপির সাথে জোট গঠন করেছে। এটাইতো চুলকানির প্রধান কারন।
এখন দেখুন, জামাত জোট গঠন করেছে বিএনপির সাথে, খালেদা জিয়ার সাথে নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান যে নারী নয় তা আশা করি চুলকানি ওলাদের অজানা নয়।
খালেদা জিয়া রাজনীতি থেকে অবসর নিলে হয়তো তারেক রহমান বা অন্য কেউ তার স্থান পূরন করবে। কিন্তু তখন তো জামাত-বিএনপি জোট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে না। অর্থাৎ জামাতের জোট খালেদা জিয়ার সাথে নয়।
বিএনপির মার্কা ধানের শীষ, কিন্তু জামাতের মার্কা দাঁড়ি পাল্লা।
জামাত. বিএনপি দুইটাই আলাদা ভাবে নিবন্ধিত দল।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন।
দুইটা দলেরই আলাদা আলাদা সাংগঠনিক কাঠামো।
সুন্দরবনে তো অনেক প্রকারের গাছ আছে। আমরা কি সব গাছকে সুন্দরি গাছ বলতে পারি?
যদি না পারি তাহলে দেখুন। বিএনপি বলতে জামাতের সম্পৃক্ততা বুঝায় না, কিন্তু ১৮ দলীয় জোট বলতে জামাতের সম্পৃক্তা বুঝায়।
১৮ দল বলতে একটা দল বোঝায়নি, ১৮টা দলের জোট বুঝানো হয়েছে। ১৮ দলের প্রধান খালেদা জিয়া, তার মানে কেউ যদি বলে ১৮টা দলই খালেদা জিয়ার নেত্রীত্বে চলে. তাহলে আমি বলতে পারি সুন্দরবনের সব গাছের নাম সুন্দরি এবং সব গাছ একই বৈশিষ্ট্যের এবং সব গাছে একই প্রকার ফল ধরে।
কিন্তু আমরা জানি সুন্দর বনের সব গাছের নাম সুন্দরি নয়, একই বৈশিষ্ট্যের নয় এবং সব গাছে একই প্রকার ফল ধরে না। সুতরাং আমার ধারনা ভুল। তাহলে ১৮ দলের সব দল খালেদা জিয়ার নেত্রীত্বে চলে এটাও ভুল।
অর্থাৎ জামাত খালেদা জিয়ার নেত্রীত্বে চলে, এ ধারনাও সম্পুর্ন ভুল।
সুতরাং জামাত নারী নেত্রীত্বে পজেটিভ নয়, এটাই সত্য।
আচ্ছা বুঝলাম জামাত নারী নেত্রিত্বে পজেটিভ নয়, কিন্তু ঐ যে আপনি বললেন ''জামাত শিবির জোট নিয়ে যাদের চুলকানি আছে তারাই নারী নেত্রীত্বে পজেটিভ'' এটা তো প্রমান করলেন না।
হ্যাঁ, আমি এবার এটাই প্রমান করছি।
-আচ্ছা আপনি তো জামাত পছন্দ করেন না। তাই না?
- হ্যাঁ অবশ্যই।
- তার মানে আপনি জামাতকে ভোট দিবেন না। অর্থাৎ দাঁড়ি পাল্লায় ভোট দিবেন না।
-হাঁ
- আপনি তো দেশের নাগরিক, কাউকে না কাউকে ভোট দিতেই হবে। দাঁড়ি পাল্লায় দিবেন না, জামাতকে ভোট দিবেন না। তাহলে আওয়ামীলীগ বা বিএনপিকে দিতে হবে। হাসিনা ও খালেদা জিয়া নারী এটাও আপনার জানা আছে। আবার যেহেতু আপনি মুসলিম সেহেতু আওয়ামীলীগকে দিবেন না। বাকি আছে বিএনপি।
এখন তাহলে আপনার ভোটটা বিএনপিকেই দিতে হবে।
-নিদিষ্ট করে বিএনপিকে কেন দিতে হবে?
- কারন জামাত ছাড়া একমাত্র বিএনপির সংবিদানের মূলনীতিতে'' আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস সংযুক্ত আছে। যেহেতু আপনি মুসলিম এবং জামাতের ব্যাপারে চুলকানি আছে, সেহেতু ভোটটা বিএনপিকেই দিতে হবে।
এবার দেখুন, আমি প্রমান করলাম আপনি জামাত পছন্দ না করলে বিএনপিকেই ভোট দিতে হবে।
অর্থাৎ জামাত ভোট দেয় দাঁড়িপাল্লায়। আর আপনার জামাত বিএনপি জোট নিয়ে ব্যাপক চুলকানি আছে, কিন্তু ভোট দেন ধানের শীষে।
তাহলে নারীনেত্রীত্বে পজেটিভ কে?
-জামাত তো ৯৬ সালে আওয়ামীলীগের সাথে জোট গঠন করে আন্দোলন করেছিলো। হেহেহে এবার কি বলবেন?
-দাঁত কেলানোর দরকার নাই। ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। ৯৬ সালে সংবিদানের মুলনীতি ছিল আল্লাহর উপর পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস। এটা পরিবর্তন করে ধর্মনিরপেক্ষতা যুক্ত করার চিন্তাও করা যেতো না।
জামাত তখনও তত্তাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছিল এখনও বিএনপির সাথে জোট গঠন করে সে আন্দোলন করছে এই আন্দোলনটা শুধু দলীয়ভাবে নয়, কারন দেশের ৯০ ভাগ মানুষ তত্তাবধায়ক সরকার চায়( প্রথম আলো জরিপ)।
এখন কেউ যদি বলে আওয়ামীলীগ তো ইসলাম বিরোধি, তার পরও কেন জামাত তার সাথে জোট গঠন করেছিল?
একজন মুসলিমের কাছে এরকম প্রশ্ন একেবারে ভিত্তিহীন। কারন যে মুসলমান, সে অবশ্যই মহানবী(স) জীবনী জানে। সুতরাং এটাও জানে মহানবী(স) মক্কার কাফিরদের সাথে কি সন্ধি করেছিলেন। এবং কেন কাফিররা তাদের ধন সম্পদ মহানবী(স) এর কাছে আমানত রাখতো।
আচ্ছা, জামাত বিএনপি জোট নিয়ে যদি একটুও চুলকানি থাকে এটাও দূর করে দিচ্ছি।
জামাত বলে মহানবী(স) এর আদর্শের কথা।
বিএনপি বলে শহীদ জিয়ার আদর্শের কথা।
আর আওয়ামীলীগ বলে শেখ মুজিবের আদর্শের কথা।
শেখ মুজিব ৭২ সালে সংবিধানের মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা সংযুক্ত করেছে।
সুতরাং মহানবী(স) এর আদর্শের সাথে শেখ মুজিবের আদর্শের মিল নেই।
এখন দেখি শহীদ জিয়ার আদর্শ কি?
শহীদ জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২ নং সেক্টরের কমান্ডার। আমরা জানি দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।
৭৭ সালে শহীদ জিয়া সংবিধান থেকে শেখ মুজিবের ধর্ম নিরপেক্ষতা কেটে '' আল্লাহর উপর পুর্ন আস্থা ও বিশ্বাস'' সংযুক্ত করেছিলেন।
সুতরাং শহীদ জিয়ার আদর্শ মহানবী(স) এর আদর্শের বিপরীত নয়।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এই আদর্শবান ব্যাক্তি।
সুতরাং জামাত বিএনপি জোট নিয়ে আর চুলকানি থাকার কথা নয়।
লাস্ট একটা কথা। ১০০% পজেটিভ কেউ নেই। আমি কাউকে ১০০% পজেটিভ বলিনি।
মানুষ মাত্রেই ভুল করে। যে ভুল করেনা সে মানুষ নয়। যে এ কথাটা বুঝতে পারেনা তার চুলকানি কমবেনা আরো বাড়বে।
মোহাম্মদ আলী
হাতিয়া-বাংলাদেশ
বিষয়: রাজনীতি
২৯৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন