হাতে কালো ব্যাজ ও এক মিনিট নীরবতা পালন.....আর কতদিন এইসব ??!!!
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবী সোহান ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০৬:৫৮:৫৫ সকাল
গতকালকে আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে একটি ইভেন্টের ইনভাইটেশান পাঠালো যেটির নাম কিনা......
"২৫ শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হাতে কালো ব্যাজ ও এক মিনিট নীরবতা পালন দেখতে চাই।"
আমি দেখার সাথে সাথেই সেটি Decline করে দেই। অনেকেই হয়তো বা আমার আগের লাইন দেখেই আমাকে রাজাকার, দেশোদ্রোহী বলে-টলে বসে আছেন। প্রথম কথা হলো যারা সত্যিই অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে হানাদার বাহিনীর আক্রমণে অন্যায়ভাবে খুন হয়েছিলেন তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা প্রত্যেক মুসলিমেরই নৈ্তিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমার নিজেরও তাদের প্রতি যথেষ্ট শোক আছে, কারণ আমি নিজেও কোনোদিন চাইবোনা যে আমাকে কিংবা আমার কোনো ভাই-বোনকে কিংবা কারো বাবা-মাকে এইভাবে প্রাণ দিতে। কিন্তু কথা হলো মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করতে গিয়ে আমি যদি এক মিনিট নীরবতা পালন করা কিংবা হাতে কালো ব্যজ পরার মত বিদাতি কর্মকান্ড করি যা রাসুল(সাঃ) এর আদর্শ তো নয়ই বরং বিধর্মীদের থেকে নেওয়া মৃত ব্যক্তিকে স্মরণ করার নিয়ম তাহলে সেই দোয়া তো কারো কাজে আসবেইনা মাঝখান থেকে বিশাল পাপের কারবার। বরং রাসুল(সাঃ) যেভাবে মৃত ব্যক্তিকে স্মরণ করে তার আত্মার মাগফেরাতের জন্য নানান দোয়া শিখিয়ে গিয়ছেন সেগুলোই হলো আসলে করণীয়। কিন্তু আমরা তো রসুল(সাঃ) কে আদর্শ মানছিই না বরং উনার দেখানো এবং আল্লাহ সুবহানওয়া তা'আলার হুকুম করা নিয়ম বাদ দিয়ে অন্য নিয়মে নিহতদের স্মরণ এবং তাদের আত্মার মাগফেরাতের কামনা করছি। অথচ আমরা এটা ভাবছিনা যেই আল্লাহর কাছে আমরা নিহতদের জন্য দোয়া করছি আদৌ কি সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করছেন নাকি উলটো আমরা পাপের রাজ্য গরে তুলছি। তাও আবার এমন এক বিদাত কাজ করছি যা Personal তো না ই বরং Collective বিদাত। যার মানে হলো আমিও করছি এবং সামাজিকভাবে উপস্থাপন করছি এবং অন্যান্যদেরকেও উৎসাহিত করছি এবং যারা এর সম্পর্কে তেমন একটা জানেনা তাদেরকে এই সিস্টেমে সমাধান দিচ্ছি। এটা যে আসলে কতটা ভয়ঙ্কর কাজ তা আসলে যারা করছে আদৌ কি একবারো তারা উপলব্ধি করছে !!
তাই আমার বন্ধু...তোকে বলছি তোর ইনভাইটেশন Decline করায় তুই রাগ করিস না। আমি যে নিহতদের মাগফেরাত চাইনা তা না। কিন্তু এই ধরনের বিদাতি কর্মকান্ড অন্তত আমাদের মুসলিমদের দ্বারা আশা করিস না। আমরা যে রাসুল(সাঃ) কেই প্রত্যেক কাজে আমাদের নেতা এবং আদর্শ মানি। আমি যতটুকু জানি তুইও মানিস। সুতরাং যদি পারিস নিহতদের জন্য ২ রাকাত নফল নামায পড়ে দোয়া করিস এবং কোরআন এবং হাদিসের নিয়মভিত্তিক দোয়া পড়ে দোয়া করে দিস। আর যদি তা নাও করিস তাও অন্তত বিদাতি কর্মকান্ডে জড়াস না। খামাখাই এই সিস্টেমে দোয়া আল্লাহ সুবহানওয়া তা'আলা তো কবুল করবেনই না বরং বড় রকমের গুনাহের সম্মুখিন হতে হবে। আর তোর যাদের জন্য শোক লাগলো আসলে তারা কিছুই পেলোনা।
আল্লাহ সুবহানওয়া তা'আলা আমাদের সকলকে বোঝার তৌফিক দান করুক.....................
বিষয়: বিবিধ
১৫১৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নাকি পুলিশের ডান্ডা দেখলে তাদের চেতনার দন্ড খন্ড হয়ে যায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন