ইভ টিসীং এবং এর ইসলামিক সমাধাণ
লিখেছেন লিখেছেন ফারাবী সোহান ২৩ মে, ২০১৩, ১২:০৯:০১ রাত
অনেকেই বলে ছেলেদের দৃষ্টি ঠিক না হলে মেয়েদের পর্দা করে কনো লাভ নেই কিংবা যে ছেলের দৃষ্টি খারাপ সে এমনেই খারাপ,মেয়েরা পর্দা করলেই কি আর না করলেই কি…।
আসুন দেখি কথাটা কতটা লজিক্যাল ?
অনেকের মতে “//ইসলাম কি শুধু মেয়েদের পর্দা করার ব্যাপারেই নির্দেশনা দিয়েছে? ছেলেদের চোখের পর্দার ব্যাপারে কিছু বলেনি? ছেলেদের আচরণ সংযত করতে বলেনি?”// ……হ্যাঁ,কথা সত্য,আমিও মানি,কিন্তু এই আইনটা শুধুমাত্র তখনই প্রযোজ্য হবে যখন মেয়েদের পর্দাটা ঠিকভাবে করা হবে……… Such as example.........
Law 1: প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যাক্তিকেই যাকাত দিতে হবে অর্থাৎ যাদের সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী যাকাত ফরয।
Law 2: চুরীর শাস্তী চোরের হাত কেটে দেয়া।
এখন দেখা যাচ্ছে ১ম আইন যদি চালু না থাকে তাহলে ২য় টা কিভাবে চালু করা হবে কিংবা চালু রাখা কতটা যুক্তিসঙ্গত……উভয়টাই গুরুত্বপূর্ণ,কিন্তু এখানে ২য়টা ১মটার উপর নির্ভরশীল,কারণ যে সমাজে মানুষ কে সাহায্য করা হবেনা সেই সমাজে চুরী হবেই,তখন চোরের হাত কাটলেও কোনো সমাধাণ আসবেনা অথবা হাত কাটাটা হবে নেহায়েত বোকামী।ইসলামের আইনগুলো interconnected.তাই বিশেষ করে যেইসব আইন গুলো একটা আরেকটার সাথে interconnected. সেখানে ১মটাই আগে চালু করতে হবে…………………
#এবার আমরা আমাদের আলোচ্য বিষয়ে আসি……
Law 1: মেয়েদের পর্দা করা ফরয্
Law 2: ছেলেদের দৃষ্টি সংযত রাখা
খুব ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখা জায় ২য় আইনটা ১ম আইনের উপর নির্ভরশীল,কারণ মেয়েরা যদি পরদাই করে তাহলে সু-দৃষ্্টি সম্পন্ন ছেলেরা তো দুরের কথা কূ-দৃষ্টি সম্পন্ন ছেলেরাই বা দেখবে কি !!!? আপনাআপনিই ২য় আইনটা মানা হয়ে যাচ্ছে……এছাড়াও পর্দা করলে অধীকাংশ কূ-দৃষ্টি সম্পন্ন ছেলেরাও মেয়েদের এমন ভালো জিনিষ দেখে,ভালো স্বভাবের জন্য শ্রদ্ধা করবে এবং খারাপ কিছু কমেন্ট ও করতে পারবেনা,আর এভাবেই ছেলেদের দৃষ্টি মেয়েদের আকর্ষণীয় কিছু না দেখতে পারার জন্য কোনো না কোনো সময় সংযত হতে বাধ্য (যদিও এই ব্যাখ্যার exceptional দিক থাকতেই পারে)
এখন যদি বলি উভয়ই দুই ক্ষেত্রে অপরাধী তারপরেও কিন্তু একটা কথা থেকে যায়……আমরা ছেলেরাত অন্তত বলতে পারব যে মেয়েদের বেপর্দার কারণে আমরা দৃষ্টি সংযত রাখতে পারিনাই,কিন্তু মেয়েদের পর্দা না করার কারণ কি থাকতে পারে !!? সুতরাং ছেলেদের অপরাধের একটা কারণ থাকলেও কিন্তু মেয়েদের অপরাধের কোনো কারণ নেই (তার মানে এই না যে ছেলেদের অপরাধকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে),অন্যথায় আমদেরকে এটা বলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকেনা যে আসলে মেয়েরা নিজেদের দেখানোর জন্যই পর্দা করছেনা (অপর্দাশীল বোনরা আমি আপনাদেরকে আক্রমণ করছি না)
আরেকটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পুরোই স্পষ্ট হয়ে যাবে………………
Event 1: আমি ঘরে ঢুকার জন্য ঘরের কারো দরজা খোলা।
Event 2: আমার ঘরে ঢোকা।
এখন দেখা যাচ্ছে যে একটা ঘটনা আরেকটা ঘটনার উপর নির্ভরশীল্……কেউ যদি ঘরের দরজা না খুলে আমি কীভাবে ঘরে ঢুকব !!!?......তাই আমার বাসার কেউ যদি আমাকে ধমক দিয়ে বলে যে,”আমার না হয় ভুল হয়েছে আমি দরজা খুলিনাই,কিন্তু তোমার তো ঘরে ঢুকা উচিৎ ছিলো !!!!! তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়াবে !!!!?......কথটা হাস্যকরই বটে…
ইসলামে এইরকম আরো অনেক আইনই আছে যেখানে একটা না প্রয়োগ হলে এর উপর নির্ভরশীল আইনটাও প্রয়োগ করা So tough or impossible……….
>>>তাই বোনদেরকে বলছি আপনার যারা পর্দা করেন না কিংবা একে অপছন্দ করেন তারা কেনো ইভ টিসিংকে অপছন্দ করেন কিংবা এর বিরুদ্ধে রুখে দারান !!!! ...... আপনি কি নিজেকে ঢেকে রাখবেন নাকি ছেলেদের চোখকে ঢাকবেন!!!!?
বিষয়: বিবিধ
১১৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন