বিবেক কি জাগ্রত হবে না?
লিখেছেন লিখেছেন জলপরী ২৮ মে, ২০১৩, ১২:২৩:০১ রাত
পত্রিকার পাতা খুললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমাদের সমাজ চিত্র।কি অমানবিক,কি জঘন্য,কি হিংস্র.।ছিঃ ছিঃ করার ভাষা পর্যন্ত হারিয়ে যায়।ভাবি সভ্যতার কোন স্তরে আছি আমরা?আমি একজন নারী তাই স্বভাব সুলভ কারণে নারী অধিকার লংঘিত বা বৈষম্যর শিকার হলেই আঘাতটা সরাসরি আত্মাতে লাগে ।।।।।।যে ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্ষন ।সেটা থেকে শিশু পর্যন্ত বাদ যায় না.।।কিন্তু কেন?মা, বোন এগুলো না হয় বাদ ই দিলাম কিন্ত একটা চার-পাঁচ বছরের শিশুকে দেখলে তো তাকে আদর করতে ইচ্ছা করে খেলতে ইচ্ছা করে কিন্তু তাই বলে ধর্ষন করতে ইচ্ছা করবে?সুন্দরভাবে বিকশিত হবার সকল পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয় তার শৈশবকালেই।যারা ঘটনাগুলো ঘটায় তারা অধিকাংশই প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ।।।।।আরেকটা হলো শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী লাঞ্চিত হওয়া।একজন শিক্ষক দ্বারা যদি ছাত্রী লাঞ্চিত হয় তাহলে এই লজ্জা কোথায় রাখি!!!!!!!!!বাবার বয়সী একজন শিক্ষক পর্যন্ত এরকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকে।অপমানে ,লজ্জায়,লোক জানাজানির আশি শতাংশ ঘটনা পর্দার আড়ালেই থেকে যায়।রক্ষকই হয়ে যায় ভক্ষক।কিন্তু আমি শিক্ষক এর মতো মহান পেশাটাকে কেউ কলংকিত করুক তা মানতে পারিনা।আমি বলতে চাই অপরাধী অপরাধীই,তার কোন জাত নাই ,ধর্ম নাই,তার কোন পেশা ও নাই। শিক্ষক না হয়ে অন্য কিছু হলেও সে তাই করতো।তবে এতটুকু বলতে চাই শিক্ষা মানুষকে শিক্ষিত ,ভদ্র , নম্র ও শালীন করে।ন্যায় অন্যায় বোধ শিখায়।মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে শিক্ষা যা আমরা একজন শিক্ষকের কাছ থেকেই পেয়ে থাকি।তাই শিক্ষকদের কাছ থেকে এরকম কোন ঘটনা আমাদের কাম্য নয়। ।।।।।।আরেকটা হলো গৃহকর্তার হাতে কাজের মেয়ে ধর্ষণ।স্ত্রীর উপস্হিতি বা অনুপস্হিতিতে এটা ঘটে থাকে,কিন্ত কেন?এইরকম হাজারো ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে চলছে কিন্তু সবতো আর খবরে আসেনা ।প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছে ঘর,ভাঙ্গছে মন ।কিন্তু পরিত্রাণের উপায় কি? আমি কিছু উপায়ের কথা বলতে পারি -----------------জানিনা ফলপ্রসু হবে!!!!!!!! ।।।প্রথমত শিশুকাল থেকেই বাবা-মা কে সচেতন হতে হবে।শিশুর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।নিজেদের অনুপস্হিতিতে বিশেষ করে মেয়ে শিশুদেরকে কোনো ছেলে বা পুরুষদের সাথে মিশতে দেয়া ঠিক হবেনা,হোকনা সে ঘণিষ্ট কেউ । শিশুরা যেন সবকিছছু বাবা মা র সাথে শেয়ার করে সে শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই দিতে হবে। । দ্বিতীয়ত যেসব মেয়েরা স্কুলে বা কলেজে যায় তারা যদি কোন শিক্ষক,ছাত্র বা অন্য কারো দ্বারা লাঞ্চণার শিকার হয় বা হওয়ার আশংকায় থাকে তাহলে তা বাবা মা কে অবশ্যই জানানো উচিত ।সম্ভব হলে পর্দা করা যেতে পারে ।প্রত্যেকটা মেয়ে যদি শালীন ,ভদ্র এবং।মার্জিত হয় তাহলে এধরনের অপরাধ তুলনামূলক কম হবে । তৃতীয়ত ছেলে বন্ধু সম্পর্কটা আড্ডা ও গল্পে সীমাবদ্ধ থাকলে ভাল ।এটাকে প্রেমের পর্যায়ে নেয়া যায় যদি মনে হয় একে অপরের যোগ্য কিন্তু শারিরীক সম্পর্ককে কখনও বিয়ের আগে প্রাধাণ্য দেয়া উচিত নয়।প্রেম সুন্দর ,প্রেম শ্বাশত কিন্তু নোংরামী সবসময় বর্জিত। । চতুর্থত বাসায় কাজের মেয়ে না রাখলেই ভাল,যদি রাখতেই হয় তাহলে কাজের ছেলে বা মধ্য বয়সী মহিলা রাখা যেতে পারে সম্ভব হলে শাশুড়ী ,ননদ বা মা কে এনে রাখা যেতে পারে কিন্তু কোন বোন কে নয় যা শালী -দুলাভাই দিয়ে শুরু হয় কিন্তু শেষ হয় কি দিয়ে এটা নাই বা বললাম।সবার ক্ষেত্রেই যে তা হয় বা হবে তা কিন্তু না।এটা আমাদের সমাজ চিত্র।কখনও কাউকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করা উচিত না সেটা হোক স্বামী।হোক বোন আপনি।চাকুরীজীবী না হলে কাজের মানুষ রাখার একেবারেই প্রয়োজন নেই।কারন নিজের কাজ নিজে করার মানসিকতা ও চেষ্টা থাকা উচিত।যেমন আমি দেশের বাইরে থাকি আমার প্রত্যেকটা কাজ আমি নিজে করি ঘর এবং বাহির দুটোই সামলাই ,তাহলে বাংলাদেশের মেয়েগুলো কেন পারবেনা? ।সবশেষে এতটুকুই বলবো জাগ্রত হোক আমাদের বিবেক ,নারী অধিকার হোক সুরক্ষিত ।।।।।।
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন