গণতন্ত্র কখনো ইসলামের উপস্থিতি সহ্য করেনা
লিখেছেন লিখেছেন আবাবিল পাখি ০২ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৪৮:১৮ দুপুর
গণতন্ত্র আর ইসলাম এক সাথে যায়না। আপনি একসাথে কামাল হোসেনদের বানানো গণতন্ত্রের সংবিধানকে পবিত্র বলবেন আবার ইসলামকেও পবিত্র বলবেন তা হতে পারেনা। হয় আপনি ইসলামকে পবিত্র বলবেন অথবা এই জগাখিচুড়ি সংবিধানকে পবিত্র বলবেন। জগাখিচুড়ি বললাম এই কারণে যে, সংবিধান সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিতের কথা বলে আবার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা গুটি কয়েক লোককে দিয়ে দেয়। যদি আপনি মানেন ‘Islam is a complete code of life’ তাই ইসলামই পবিত্র, তাহলে তথাকথিত গণতন্ত্র ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ তত্ত্ব মেনে নেবেনা। সে জন্যই তানিয়া আমিররা ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ উঠিয়ে দেয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলো এবং তারা আপাতত সফল।
এই গণতন্ত্রই মানুষকে দিয়েছে বাক-স্বাধীনতা নামক বল্গাহীন শক্তি যার সুযোগ নিয়ে মানুষ আল্লাহ ও তার রাসূলকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে পারে, পবিত্র কুরআন জ্বালানোর দুঃসাহস দেখাতে পারে, বলতে পারে আল্লাহ আমার খাটের নিচে বসে গাঞ্জা খায় (নাউযুবিল্লাহ)। এর প্রতিকার চাইলে গণতান্ত্রিক সংবিধান বলে তাদের বিরোদ্বে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবেনা, ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হয়ে যাবে।
গণতান্ত্রিক সংবিধান নাগরিকের যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ দেয়, তাইতো আমাদের মুসলিম দোকানদার ভাইয়েরা ৯০% মুসলমানের দেশে কুখ্যাত সানী লিয়নের ড্রেস দিয়ে দোকান ভরে ফেলে আর আমাদের তথাকথিত মুসলিম আপুরা ৫২০০০ টাকা দিয়ে সেই ড্রেস কেনে।
আর যারা ভাবেন ইসলামি বিধান কায়েম হলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার খর্ব হয়, তাদেরকে বলবো আব্রাহাম লিংকন, ইনুদের আঁচল থেকে বের হয়ে ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং দেখুন সেই সময় গুলোতে অমুসলিমরা কিভাবে সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা, নিরাপত্তা পেয়েছে। জানুন, হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এক মুসলিম এবং এক অমুসলিমের মধ্যে বিচার করে ন্যায্য রায় অমুসলিমের পক্ষে দিয়েছেন এবং ঐ মুসলিমটি এ ব্যাপারে হযরত উমরের কাছে নালিশ করায় তিনি তলোয়ার দিয়ে তার মস্তক ছিন্ন করেন। জানুন, বাদশাহ আলমগীরের কাছে হিন্দু সুন্দরী মহিলা তার উজিরের বিরোদ্বে নালিশ করলে তিনি ঐ উজিরের বিরোদ্বে কি চরম সিদ্বান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ কি আপনাদের এই গণতন্ত্র সেই মহিলাকে রক্ষা করতে পারতো?? এরকম হাজারটি উদাহরণ দেয়া যায়। বরঞ্চ যখন থেকে ইসলামতন্ত্র ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে মুসলিমদের যাত্রা শুরু হয় তখন থেকে মুসলিম সীমানায় অমুসলিমরা নিজেদেরকে সবচেয়ে অনিরাপদ ভাবতে শুরু করে। মুসলিম ইতিহাস ঘেটে দেখুন। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যে এলাকায় ইসলামীক মাইন্ডের লোক বেশী সে এলাকার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা নিজেদেরকে সবচেয়ে নিরাপদ ভাবে আর যে এলাকায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নামধারী সেঞ্চুরী মানিক, তারেকরা থাকে সে এলাকার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সব সময় তটস্থ থাকে এই বুঝি মা-মেয়ের ইজ্জত গেলো, সহায় সম্পত্তি লুট হয়ে গেলো।
এখনই সময় সব ভেদাভেদ ভুলে আমাদেরকে এক কাতারে থাকার। মুসলিমদের ঐক্যবদ্য শক্তিই পারে তাগুতের ভিত নাড়িয়ে দিতে। আমাদের অনৈক্যের কারণেই আজ আমেরিকা মুসলিম দেশ পাকিস্থান থেকে আমাদেরই বোন ডঃ আফিয়াকে ধরে নিয়ে জেলে পুরে দিনে তিন-চার বার ধর্ষণ করে, নির্মম নির্যাতন করে কিডনি বের করে দেয়। এক ইহুদি বলেছিলো- যেদিন থেকে ফজরের জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা জুম্মার জামাতের সমান হবে সেদিন থেকে ইহুদি-খ্রিস্টান্দের কোনো কূট-কৌশলেই আর কাজ হবেনা, কারণ কাতারবদ্ব একত্রিত মুসলিমদের সাথে পেরে উঠা যাবেনা।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন