বাবা মেঝেতে মূত্র বিসর্জনে আরাম পান!!!
লিখেছেন লিখেছেন আবাবিল পাখি ০৬ জুন, ২০১৩, ১২:২১:৫৬ দুপুর
তখন খুব সম্ভবত ক্লাশ সিক্স অথবা সেভেনে পড়তাম নানাবাড়ি থেকে। পাশের ঘরের একজন মামা এক আজিব টাইপ পীরের মুরিদ ছিলেন। পীর সাহাবের আবার যেনতেন নাম ছিলনা-নেংটা বাবা! এই নামের যথেষ্ট স্বার্থকতাও ছিলো কারণ তিনি যে পরিমাণ কাপড় গায়ে রাখতেন তাতে বিপাশা বশুরাও দেখলে নির্ঘাত টাস্কি খাইতেন। তো একদিন সেই নেংটা বাবা মামার আমন্ত্রণে বাড়িতে আসেন। নেংটা বাবার গায়ে সেকি দুর্গন্ধ! তার চেয়ে পাবলিক টয়লেটের দুর্গন্ধ যথেষ্ট সহনীয়। এই দুর্গন্ধের রহস্য জানতে গিয়ে আমি পুরাই টাস্কিত। বাবা নাকি দেড়-দুই মাস পর পর গোসল করেন। তাইলে বাবা নামাজ-কালাম পড়েননা? না, নেংটা বাবার এই সব করতে হয়না! তিনি দুই দিন রাত যাপন করলেন মামার ঘরে। প্রথম দিন সকালে মামা তার ঘরে এক অদ্ভুত কাণ্ড দেখলেন। মামার সারা মেঝে পানিতে সয়লাভ! কিছু বুঝা যাচ্ছেনা ব্যাপার কি, বৃষ্টিও হয়নি, কেউ জগের পানিও ঢালেনি। হঠাৎ মামা দেখলেন নেংটা বাবা ঘুম থেকে উঠেই এদিক-সেদিক না থাকিয়েই মূত্র বিসর্জন শুরু করেন, পানি ব্যবহারের কোনো খবর নেই। মামা তাকে বলেন বাবা পাশে বাথরুম আছে সেখানে চলুন। নেংটা বাবা যা শুধাইলেন তাতেতো সবাই ব্যাপক টাস্কিত। উনি নাকি উনার বাড়িতে হোক আর অন্যের বাড়িতে হোক, রাত্রে মেঝেতেই মূত্র বিসর্জনে আরাম পান!!! এসব বাথরুম-টাথরুমে যেতে তার মোটেও মন চায়না। আমার তখন মনে হচ্ছিল মামা সহ ওই নেংটা বাবারে পাছায় লাথি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেই।
নেংটা বাবা অবশ্য প্রায় তিন বছর হলো ডাইবরণ করেছেন। মরার পরও তার কবরকে মাজার বানিয়ে ব্যবসা চলছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের ভণ্ড পীর, খানকা বাবাদের অবস্থা। এরা যে পরিমাণ শিরক, বিদআত সৃষ্ট করছে তা কল্পনারো বাইরে। কাফির, নাস্তিকরা ইসলামের যতটুকু ক্ষতি করছে এই নেংটা বাবা, খানকা বাবা, আটরশ্নি-পেটরশ্নি, চরমোনাইরা ইসলামের আরো বেশী ক্ষতি করছে। এবং এই মাজার ব্যবসা, কবর ব্যবসা, নেংটা বাবা, খানকা বাবা ব্যবসার সবচেয়ে বড় মক্কেল হচ্ছে মহিলারা। এদেরকে সচেতন মানুষরা এসব ভণ্ডদের ভণ্ডামী সম্পর্কে শত বুঝানোর পরও বুঝতে চায়না। আরো ক্ষতি হওয়ার আগে এসব ভণ্ডদের ভণ্ডামী সম্পর্কে মানুষকে আরো বেশী সচেতন করে তুলতে হবে। এই ব্যবসার শিকড় তুলে ফেলতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
২০৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন