শাহবাগীরা কে? সন্দেহ নাই যে,তারা আমার প্রিয় বাংলাদেশকে নিয়ে ভয়ংকর খেলায় মেতেছে।

লিখেছেন লিখেছেন Deshe ১০ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৫০:১৭ সকাল



শাহবাগে যারা যায় তারা অবশ্যই--------

(১) বাম পন্থিদের সমর্থন করবেই।

(২) সে নামাজ-রোজা পছন্দ করবে না।

(৩) সে যদি ছেলে হয় মুখে ছাগু মার্কা দাঁড়ি থাকবে। (বেশিরভাগের)

(৪) সে যদি মেয়ে হয় পরনে জিন্সের প্যান্ট আর ফতুয়া থাকবে।(বেশিরভাগের)

(৫) সে অবশ্যই আওয়ামী লীগের বৈধ কি অবৈধ যে কোন কর্মকান্ডকে সমর্থন করবেই।

(৬) সাম্প্রদায়িকতার বিরোধীতার আঁড়ালে ইসলাম ধর্মের অবশ্যই অবশ্যই বিরোধীতা করবেই। অথচ অন্য ধর্মের সাম্প্রদায়িকতা/গোঁমড়ানি নিয়ে টু-শব্দটি করবে না তারা।

(৭) ইসলামকে জঙ্গিবাদ,গোঁমড়া ধর্ম,বেকডেটেড ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষায়িত করবেন।

(৮) বাংলাদেশ থেকেও ভারত তাদের অত্যান্ত প্রিয় রাষ্ট্র। এজন্য ভারতীয় কালচার তাদের প্রিয় কালচার।

(৯) ভারত-–বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলায় তারা বাংলাদেশকে সমর্থন না করে ভারতকেই সমর্থন করেন।

(১০) জয় বাংলা শ্লোগান দিবে। তারা বলবে এটা বাঙ্গালীর শ্লোগান। এটা আওয়ামী লীগের শ্লোগান নয় বলে তারা প্রচার করবে।

(১১) আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি,যে ছেলে-মেয়ে গুলো শাহবাগে শ্লোগান ধরে তারা শতভাগই জাসদ-কমিউনিষ্ট পার্টি কিংবা ওয়াকার্স পার্টিও নেতা-কর্মী।

(১২) ইসলাম ধর্মের কোন সুখবর তাদের গা জ্বালা দেয়।

(১৩) বিশ্বের ইসলামী রাষ্ট্র গুলো তাদের প্রছন্দের তালিকায় থাকবে না।

(১৪) ইসলামের জন্য কল্যানকর এমন কোন আইন তারা সমর্থন করবেই না বরং চরম বিরোধীতা করবেই। ইত্যাদি।

শাহবাগীরা তাদের উপরোক্ত এই চরিত্রকে আঁড়াল করার জন্য--

(১) কিছু দাঁড়ি টুপি আওয়ালা লেবাসধারী মুসলিম নামধারীকে স্যাম্পল হিসেবে শাহবাগে হাজির করে ,ভাবখানা এমন যে তাদের সাথে ধার্মিকরাও আছে।

(২) মাঝে মাঝে ইমরান এইচ সরকাররা মাথায় টুপি নেয়। জীবনে না পড়লে শাহবাগে জানাজা পড়ে।

(৩) মাঝে মাঝে মাথায় খোমটা দেওয়া কিছু মহিলাকে টাকা দিয়ে হাজির করায়।

(৪) আওয়ামী লীগ এর প্রতি সমর্থনকে আঁড়াল করার জন্য জয় বঙ্গবন্ধু বলবে না।

(৫) শাহবাগের আন্দোলনকে তারা বলবে এটা বাঙালীর অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। তারা বলবে শাহবাগ হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ।

(৬) তারা আরো বলবে শাহবাগ হল অরাজনীতিক আন্দোলন। এটাকে বাম কিংবা আওয়ামী সমর্থকদের সমাবেশ তারা বলবে না ,বলবে এটা হল গনজাগরন।

শাহবাগীদের আসল উদ্দেশ্য হল:-

প্রথমে তারা শুধু জামায়াতের বিরোধীতা করবে । কারন জামায়াত হল বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির জন্য ভানগার্ড। এই জামায়াতকে দূর্বল করতে পারলেই বাকী ইসলামী দলগুলো এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। জামায়াত নিষিদ্ধের পর তারা পরবর্তীতে বলবে ইসলামী অর্থ্যাৎ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষ্দ্ধি করা হউক। জামায়াত বা ইসলামী দল গুলো বেহায়াপনা,মধ্যপপান,ওপেনসেক্্র ইত্যাদির চরমবিরোধী। শাহবাগীদের তথাকথিত এইসব আধুনিকতার চর্চার প্রধান বাধা হল জামায়াত বা ইসলামী দলগুলো।

তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীর উচিলা হল জামায়াত খতমের উত্তম হাতিয়ার । তাদের এই কাজ গুলোর অর্থের মুল জোগানদার হল ভারত। কারন ভারত আগেই ঘোষনা দিয়ে রেখেছে যে:- বাংলাদেশে ভারতের প্রধান শত্র“ হল জামায়াত। ১৯৭১ সালে জামায়াত ভারতের সহযোতিায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এজন্য যে ভারত বাংলাদেশকে তাদের অংঙ্গ হিন্দু রাষ্ট্র বানাবে। সেই একই ভারতবিরোধী নীতি জামায়াত এখনো ধারন করে। ভারতও এই বিষয়টি ভাল করে বুঝে।

প্রিয় পাঠক,এই জন্যই জামায়াত বিরোধীতায় একটি মিল আপনি অবশ্যই পাবেন।

সেটি হল, যে ব্যাক্তি জামায়াত বিরোধী সেই ব্যাক্তির প্রিয় রাষ্ট্র অবশ্যই ভারত। মিল দেখুন বাস্তবে এই ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে - শাহরিয়ার কবির,মুনতাসির মামুন,আব্দুল গাফ্ফার,নাসির উদ্দিন বাচ্চু, প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত,তুরিন আফরোজ প্রমূখ।

আর এই ভারতপ্রেমী বুদ্ধিজীবিরা দীর্ঘদিন যাবৎ ভারতের এজেন্ডা নিজেরা বাস্তবায়ন এর চেষ্টা করেও তা করতে না পেরে সর্বশেষ এখন শাহবাগীদের দিয়ে করানোর চেষ্টা করছেন।

এই নাস্তিকরা আর শাহবাগ এখন একাকার।

অবশেষে দৃঢ়তার সহিত বলতে চাই শাহবাগ কোন গনজাগরন মঞ্চ নয়। শাহবাগ কোন সাধারন মানুষের সমাবেশ নয়। শাহবাগ কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয় নয়। এটা হল ভারতের চেতনা তথা আধিপত্যবাদের আপডেট ভার্সন। শাহবাগ হল নাস্তিকতাবাদের জলন্ত উদাহরন।

অতএব সাবধান দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীরা। সাবধান প্রিয় বাংলাদেশ। প্রান দিয়ে ভালবাসি বাংলাদেশকে ।

বিষয়: বিবিধ

২০৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File