যে কারনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হল সেই ধরনের একই কারনে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগও নিষিদ্ধ হবে।

লিখেছেন লিখেছেন Deshe ০৩ আগস্ট, ২০১৩, ১০:১২:০০ সকাল





বাংলদেশ সংবিধানের ২(এ) তে উল্লেথ রয়েছে যে,

2A. The state religion of the Republic is Islam[/u]

অথচ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে যে,

The fundamental principles of the Bangladesh Awami Leagues shall be Bengali Nationalism, Democracy, [u]Secularism
or in other words ensuring freedom of all religions as well as non-communal politics and Socialism, that is to say-the establishment of an exploitation-free society and social Justice.



যেহেতু বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী

লীগের মৌলিক নীতিই হল বাংলাদেশ সংবিধানের ২এর (এ) এর পরিপন্থি। কারন ইসলাম যদি রাষ্ট্র ধর্ম হয় তাহলে ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিটি গ্রহন করা পরষ্পর বিরোধী। বিশ্বের অন্যন্য দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ হল ধর্ম হীনতা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম যদি আল্লাহকে সকল ক্ষমতার মালিক করার কারনে নিবন্ধন বাতিল করা হয় তাহলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না।

বাস্তবতা হল -জামায়াত কাগজে কলমে আল্লাহকে সকল ক্ষমতার মালিক মনে করলেও জনগনের কাছেই সব সময় ভোটের জন্য গিয়েছে এবং জনগনের ভোট নিয়েই তারা বার বার নির্বাচিত হয়েছে।

একজন মুসলমান হিসেবে আপনি কি মনে করেন -

আমরা যখন আমার বাবার আয়ের টাকায় বা নিজের আয়ের টাকায় আহার করি তখন মুসলমান হিসেবে আমরা কখনই বলিনা যে, আমি আমার বাবার টাকায় বা আমার টাকায় আহার করেছি । আমরা বলি মহান আল্লাহ অঅমার আহারের ব্যবস্থা করেছেন। এটাই তো মুসলমানদের কথা এবং বিশ্বাস।

জামায়াতের সংবিধানে আল্লাহকে সর্বশক্তিমান মনে করা তো উপরে উল্লেখ করা উদাহরনটির মতই।

আওয়ামী লীগের তাদের নিজস্ব সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতার অর্থ আওয়ামী লীগ নিজের মত দিয়েই যদি রেহাই পায় তাহলে জামায়াতে ইসলামী কেন তাদের সংবিধানে আল্লাহকে সর্বশক্তিমান কি অর্থে ব্যবহার করেছে তা ব্যাখ্য করে রেহাই পাবে না?

আল্লাহকে সকল ক্ষমতার মালিক মনে করা কোনর অন্যায় নয়। জামায়াত ইসলামীকে সরকার যেভাবে অত্যাচার করছে তা ইতিহাসে নজিরবীহিন।

জামায়াত তাদের সংবিধানে আল্লাহকে সকল ক্ষমতার উৎস মনে করে কোন দোষ করেনি। বরং এই একটি কাজে তারা অটল থেকে তারা যে সত্যিকারের ইসলামী দল তার প্রমান রেখেছে। হযরত বেলালকে কাফেররা যখন তপ্ত বালির উপর শুইয়ে তার বুকের উপর বিশাল পাথর খন্ড রেখে আল্লাহকে অস্বীকার করতে বলা হল। তখন হযরত বেলাল কাফেরের মুখে থুথু নিক্ষেপ করে বলেছিলেন - ‌'আহাদ আহাদ আহাদ লা ইলাহা ইল্লাললাহ"। অর্থ্যাৎ আল্লাহ মহান।আল্লাহ মহান।

আজকে একই ভূমিকায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী। বাংলাদেশের সকল ধর্মপ্রান মুসলমান জামায়াতের এই একটি কাজের জন্য তাদের মনে রাখবে, সমর্থন দিবে।

বাংলাদেশের যে সকল বিচারক এই রায় দিয়েছেন তারাও মুসলমান। তাদের জনম দাতা তাদের পিতা মাতা হলেও প্রকৃত জনম দাতা মহান আল্লাহ । তারা যে খাদ্য খান,তাদের যে ইনকাম,তাদের যে হায়াত,তাদের জ্ঞান,তাদের ছেলে মেয়ে সবই তো মহান আল্লাহর দান। এটা তারা কি মনে করেন না? যদি তাই মনে না করেন তাহলে তাহলে তারা কেন মুসলমান নাম ধারন করছেন।

আপনাদের যে ক্ষমতা তা অবশ্যই অবশ্যই আল্লাহর ছেয়ে বেশি নয়। আপনারা আল্লাহকে বড় ক্ষমতাবান মনে করাকে কোন যুক্তিতে দোষ মনে করলেন?

আওয়ামী লীগ,ঘাদানিক/গনজাগরন ধর্মী প্রসিকিউটর এবং আদালত কখনও একাকার হতে পারে না।

বিষয়: বিবিধ

১৬২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File