জনগন আওয়ামী লীগের যুদ্ধপরাধ যুদ্ধপরাধ খেলা প্রছন্দ করছে না। তাইতো ফলাফল, ৫ গোল:০ গোল । আগামীতে ৩০০:?
লিখেছেন লিখেছেন Deshe ০৯ জুলাই, ২০১৩, ০২:২১:৪৫ দুপুর
অমুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন। তমুকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা। অমুক নেতার জামিন না মঞ্জুর। অমুক নেতার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্বাক্ষী উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য আছে। তমুন নেতার আগামী কাল যুক্তি তর্কের জন্য দিন ধার্য আছে। টেলিভিশন চ্যানেল গুলো খুললেই এসব প্রতিদিনই শুনতে হয়। গত সাড়ে চার বছর এসব শুনে এসেছি। জনগন শুনেছে। অনেক ভাওতাবাজি কল্প কাহিনী তো এসময়ে অনেক শুনলাম। আর কত শুনাবেন? মানুষ এসব প্রছন্দ করছে কিনা তা তো একবার দেখতে হবে। জনগন এসব প্রছন্দ করছে কিনা তার মাপকাঠি কি? আমি এর উত্তরে বলব--
আওয়ামী লীগের দাবী অনুযায়ী যেহেতু বিএনপি হল যুদ্ধাপরাধী প্রশ্রয় দেয়া একটি দল। তাই তারাও যুদ্ধাপরাধীর দোযর। বিএনপি নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বাচাঁতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগ এও বলছে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না।
অতএব বিএনপিকে তথা ১৮ দলকে জনগন জেনে শুনে কেন ভোট দিল্? কেন তারা ১৮ দলকে প্রছন্দ করছে? কেন?
জনগন আওয়ামী লীগের এই সকল কর্মকান্ড প্রছন্দ করছে না। বিশ্বাসও করছে না। জাতীয় নেতাদের শুধু মাত্র রাজনৈতিক কারনে বিচার করছেন।
বিচার করলে বিচারের মত বিচার করেন। জাতিসংঘের অধীনে করেন। আপনার নিজেদের অধীনে ইলেকশন করে যেমন যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চান । ঠিক তেমনি নিজেদের মনের মত ট্রাইবুনাল বানিয়ে নিজেদের চাহিদা মত মনের মত বিচার করতে চান। আপনাদের মনের মত রায় না আসলে আইন পরিবর্তন করছেন। কিভাবে মনের মত বিচার চান তা তো আমরা নিজামূল হক সাহেবের স্কাইপে তে শুনলাম। তারপরও কি বলবেন সব ঠিক আছে?
জনগন কি বলছে গত সাড়ে চার বছর শুনলেন না। এবার সরাসরি শুনুন।
কানে হাত দিয়ে রাখলেও শুনবেন। বাসায় বসে লাইভ শুনতে বাধ্য হচ্ছেন।
জনগন আর কয়বার বলবে তাদের মনের কথা -
জনগন বলেছে চট্টগ্রামের সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে রাজশাহী সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে কুমিল্লা সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে রংপুর সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে বরিশাল সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে খুলনা সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে সিলেট সিটি ইলেকশনে
জনগন বলেছে গাজীপুর সিটি ইলেকশনে
আর কত বলবে?
বলবেন এ আর তেমন কি?
বলবেন চট্টগ্রামের,রাজশাহীর,বরিশাল ইত্যাদির কয় জন মানুষ ভোট দিলেই কি এমন হল?
কিন্তু মোটেও ব্যাপারটা হালকা নয় । সিটিগুলোতে যারা বসবাস করে তারাই সবচেয়ে শিক্ষিত,সচেতন এবং সরকারী সুবিধাভোগি। তারাই যদি আপনাদের প্রছন্দ না করে, ৬৫ হাজার গ্রামের মানুষ আপনাদের প্রছন্দ করবে? ৬৫ হাজার গ্রামের মানুষ এর কথা চিন্তা করে লাভ নাই কারন গ্রামের মানুষ গুলো পরিচালিত হয় শহরের মানুষগুলো দ্বারা যারা আপনাদের হলুদ কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে ইতিমধ্যে, তাছাড়া গ্রামের সহজ সরল মানুষ গুলো কখনও রাজনীতি বুঝে না। গ্রামের মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বুঝে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বুঝে শহরের মানুষ। তাই তারাই যখন ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিল এই সরকার আর নয়। তখন এই সব রাজনীতিক জাতীয় নেতাদের হত্যার নামে ভাওতাবাজি বাদ দেন। জনগন বলছে এসব থামাও। অনেক হয়েছে। আমরা তোমাদের বিশ্বাস করি না।
আওয়ামী লীগ যেহেতু বলছে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় এলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে না।
এটার পরও কেন বিএনপিকে মানুষ ভোট দিল?
কারন জনগন এই সাজানো বিচার চায় না। তারা চায় দেশের অন্য সমস্যা গুলো মিটমাট করা হউক। বেকারত্ব দূর করা হউক। দূর্নীতি দূর করা হউক।
আওয়ামী লীগ যদি বলে জনগন আমাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার। এই কথা যদি সত্য হয় তাহলে বিচার করার পরও কেন মানুষ তাদের প্রছন্দ করছে না। বাস্তক কথা হল জনগন এই বিচার করার জন্য তাদের ক্ষমতায় বসায় নি।
যদি তাদের কথা সত্যি হয় যে, জনগন আমাদের ম্যান্ডেট দিয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ,তাহলে বিএনপিও তো এখন বলতে পারে, জনগন আমাদের বার বার ম্যান্ডেট দিচ্ছে এই বিচার না করার পক্ষে। যেহেতু আওয়ামী লীগ জনগনকে বার বার বার পরও বিএনপি জামাত জোটকে ভোট দিচ্ছে।
বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ বুঝবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
বিষয়: বিবিধ
১২০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন