পোষ্টটি পড়ার পর আপনি অবশ্যই কি বলবেন না? আওয়ামী লীগ এত্ বড় মিথ্যাবাদী!!!!

লিখেছেন লিখেছেন Deshe ৩০ জুন, ২০১৩, ০৩:৩৪:৫২ দুপুর

নোটিশ ছাড়া লেখাটি প্রথম পাতা থেকে উধাও হওয়াতে রিপোষ্ট করলাম।

মিথ্যাচারনামা ১:-

আওয়ামী লীগ বার বার বলছে বিএনপি আমলে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়নি,খাম্বা কোম্পানী করে দূর্নীতি করেছে।

বাস্তবতা১:

দেশের জনসংখ্যা বাড়লেও আওয়ামী লীগ গত সাড়ে চার বছরের মধ্যে তিন বছরই নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে। গত সাড়ে চার বছরই সরকারিভাবে ব্যবসা-বানিজ্য,শিল্প-কারখানায় সার্বক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এসব কলকারখানা/প্রতিষ্ঠান নিজস্ব জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চলছে।

বাস্তবতা২:-

অথচ বিএনপি আমলে একদিনের জন্যও বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ বন্ধ ছিল না। কলকারখানা/ শিল্প-প্রতিষ্ঠান একদিনের জন্যও বিদ্যুৎ সরকারি ভাবে বিদ্যুৎ সরবাহরাহ বন্ধ ছিল না।

জনগনের জিঞ্জাসা:

কুইক রেন্টালের নামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এবং ভারত থেকে অধিক দামে কেনা বিদ্যুৎ কোথায় গেল? হাজার হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ নাকি তারা উৎপাদন করেছেন। কলকারখানা/ শিল্প-প্রতিষ্ঠান এ বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে নতুন সংযোগ বন্ধ রেখে এবং বিএনপির আমলে তৈরি কৃত বিদ্যুৎ ষ্টেশন থেকে উৎপাদিন বিদ্যুৎ দিয়ে আপনারা বাসা-বাড়িতে জোড়াতালি দিয়ে চালাচ্ছেন।

সরকারকে পরামর্শ:

দয়াকরে মিথ্যাচার,ফাঁকাফাঁকি এবং চুদুরবুদুর বন্ধ করুন।

জনগন সব বুঝে।

মিথ্যাচারনামা ২:-

তারেক-কোকো অনেক টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

বাস্তবতা১:

বারিষ্টার মাহবুব গতকাল চ্যালেঞ্জ দিয়ে সংসদে বলেছেন- যে টাকা সিংগাপুর থেকে আনা হয়েছে তা কোকোর টাকা নয়। অন্য খাতের টাকা এনে সরকার প্রচার করছে -এটা কোকোর টাকা। এ সম্পকিত র্কোট যে রায় দিয়েছে তাতেও কোকো কোন টাকা পাচারের তথ্য নাই। পত্র-পত্রিকায় যা প্রচার করা হচ্ছে তা সরকার বিদেশী লবিষ্ট নিয়োগ করে অপপ্রচার করছে। বিদেশে তারেক বা কোকোর কোন বাসা বাড়ি নাই।

বাস্তবতা২:

অথচ সজিব ওয়াজেদ জয়ের চারটি বাড়ি থাকার কথা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন বিএনপি দলীয় এমপিরা। হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

জনগনের জিঞ্জাসা:

সরকার এইসব চ্যালেঞ্জের জবাব দেন না কেন?

সরকারকে পরামর্শ:

মিথ্যাচার ছেড়ে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখুন।

মিথ্যাচারনামা ৩:-

গতকাল শেখ হাসিনা বরেছেন খালেদা জিয়া নাকি চিঠি দিয়ে জিএফসি সুবিধা বাতিল করিয়েছেন।

বাস্তবতা১:

নিন্ম শ্রমমান,ট্রেড ইউনিয়ন চালু ,শ্রমিক নেতা হত্যা ইত্যাদি বিষয়ের ইউপর শুনানির পর আমেরিকা জিএফসি বাতি ল করেছে। আমেরিকা তার ষ্টেটমেন্টেও বলেছে যে কি কি শর্তে তারা তা বাতিল করেছে। আমেরিকা এও বলেছে যে যদি সরকার ঐ সব শর্ত আবার মেনে নেয় তাহলে পুনরায় জিএপনি সুবিধা দেওয়া হবে। অন্যদিকে ঐ ধরনের চিঠি দেবার কথা খালেদা জিয়া অস্বিকার করেছেন।

u] জনগনের প্রশ্ন২: [/u

রানা প্লাজায় হাজারো শ্রমিক হত্যা,তাজরিন হত্যা,আমিনুল হত্যার পর আমেরিকা/বায়াররা কি বসে বসে আঙ্গুল চুসবে? (ম.খার ভাষায়)। খালেদা জিয়ার কথায় যদি জিএফসি বাতিল হয় তাহলে হাসিনা খালেদার পা ছুয়ে মাপ চান না কেন? মাপ চেয়ে হাসিনা বলতে পারেন যে- তিনি (খালেদা) যেন এই সুবিধা আবার দেবার জন্য আমেরিকাকে একটু বলেন।

মিথ্যাচারনামা ৪:-

হাসিনা বলেছেন-হেফাযতের মিটিংয়ে কেউ মারা যায়নি। শিবির-জামাত কোরান পুড়িয়েছে।

বাস্তবতা১:

অনেক লোক মারা গিয়েছে। লক্ষ রাউন্ড গুলি ফুটানো হয়েছে( দৈনিক যুগান্তর)। যারা মারা গেছে তারা তাদের আত্নীয় স্বজন মামলার ভয়ে মিডিয়ার সামনে আসছেন না। বায়তুল মোকারমের যে পাশে আওয়ামী লীগের কার্যালয় অবস্থিত সেই সাইটেই কোরান পুড়ানো হয়েছে। ঐ পাশে হেফাযত সমর্থিত কারো অবস্থান ছিল না। বরং ঐ সাইড ঘেষে মিছিল নিয়ে যাবার সময় হেফাজত কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে আওয়ামী ক্যাডারা(যা ছবি সহ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল)। আওয়ামী লীগের এই প্রতিরোধ টপকিয়ে কেউ কোরান শরীফে আগুন দেওয়ার সুযোগ ছিল না। বরং যুবলীগ ক্যাডার দেবাশিষ আগুন দেওয়ার কথা শুনা গেছে।

u] জনগনের প্রশ্ন২: [/u

যদি মানুষ মারা না যায় তাহলে কেন লাইট বন্ধ করে করে গুলি চালালেন? কেন দিগন্ত টিভি বন্ধ করলেন? কেন হেফাজত কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিডিয়ার সামনে না আসার জন্য এবং আসলে প্রান নাশের/মামলার হুমকি দিচ্ছেন?

সরকার বলছে যারা কোরানে আগুন দিয়েছে তাদের ভিডিও ফুটেজ তাদের কাছে আছে। তাহলে তাদের গ্রেফতার করছেন না কেন? এই ব্যাপারে কোন তদন্ত করছেন না কেন?

সরকারকে পরামর্শ:

এইসব মিথ্যাচার বাদ দেন । শিঘ্রই থলের বিড়াল বের হয়ে যাবে তখন কোথায় যাবেন?

মিথ্যাচারনামা ৫:-

নারায়নগঞ্জের তকি,রাজিব কে হত্যা করেছে শিবির-জামাত ।

তথ্য মন্ত্রীর বাসায় বোমা ফাটিয়েছে শিবির।

বাস্তবতা:

তকির বাবা বলেছে আমার ছেলেকে মেরেছে শামীম ওসমান। রাজিবকে মারার অভিযোগে গ্রেফতারকৃতরা কেউ ই শিবিরের ছিল না। তথ্য মন্ত্রীর বাসায় বোমা ফাটানোর অভিযোগে ছাত্রদলের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সরকারকে পরামর্শ:

লজ্জা শরম যদি থাকে এই ধরনের মিথ্যা আর বলবেন না।

মিথ্যাচারনামা ৬:-

রানা প্লাজার রানা আমাদের লোক না- বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা ছাত্রলেগের কেউ না।

বাস্তবতা:

রানা যুবলীগ নেতা। বিশ্বজিৎ হত্যার জন্য ছাত্রলীগ এর --- জন গ্রেফতার।

u] জনগনের প্রশ্ন: [/u

তাহলে সোনার ছেলেদের কেন তাহলে গ্রেফতার করলেন?

সরকারকে পরামর্শ:

এই সোনার ছেলেদের গেফতার নয় ক্রস ফায়ারে দিলে জনগন আপনাদের বিশ্বাস করবে। তা না হলে- পিপলস মএ থিনক ইটস এ গ্রেট আইওয়াশ।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আর হরতাল করবেন না।

অথচ------------------

----------------------চলবে

বিষয়: বিবিধ

১২৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File