সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনগন আবারো চৌদ্দ দলকে রায় রায় দিয়েছে।

লিখেছেন লিখেছেন Deshe ২০ জুন, ২০১৩, ১১:৫৮:২৪ সকাল

সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জনগন আবারো চৌদ্দ দলকে রায় দিয়েছে।

কথাটি আওয়ামী লীগ অবশ্যই বলত যদি তারা সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করত।

এখন কি তারা বিপরীত কথাটি বলবেন বা স্বীকার করবেন।

জনগন তাদের বর্তমানে কৃত কাজকে সমর্থন করেনি।

জনগন চলমান অস্বচ্ছ ভাবে পরিচালিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজটি প্রছন্দ করেনি। আওয়ামী লীগ এত এত অপপ্রচার করল,সকল মিডিয়া তাদের,সকল পত্রিকা তাদের,তারপরও এমন কেন হল? তারা বললেন যে, বিএনপি হল জামায়াতের দোসর। সুতারং তারাও রাজাকার। আওয়ামী লীগ এর দাবী অনুযায়ী তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমাদের দেশটা স্বাধীন রইল কিভাবে? বিএনপি,জামায়াতের সবাই যদি রাজাকার হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তো এখন সংখ্যা লঘু। তারা দাবি করে তারাই নাকি একমাত্র দেশের কল্যান চায়,তারাই দেশপ্রেমিক,বাকিরা সবাই রাজাকার এবং স্বাধীনতা বিরোধী।

বাম পন্থি ইনু,মেনন,নাহিদ,মতিয়া,ইমরান এইচরা আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি করছে সিটি নির্বাচনে ৪-০ তে হারার পরও তা কি এখনো আওয়ামী লীগ বুঝছেন না?

আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায়ই যেতে না পারে তাহলে বর্তমানে যা করছে তা করে কি লাভ? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যেতে না পারলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে।

বাম পন্থি ইনু,মেনন,নাহিদরা তো ক্ষমতায় যাবার প্রয়োজন নাই। তারা জীবনেও ক্ষমতার স্বাধ পায় নাই। নৌকায় ভর করে এই প্রথম তার এমপি এবং মন্ত্রী। সেজন্য তারা মনে করছে তাদের এটাই প্রথম এবং এটাই শেষ। কিন্তু আওয়ামী লীগকে তাদের তৃনমূল নেতাকর্মীদের দিকে তাকিয়ে এবার না হলেও পরের বার আবার ক্ষমতায় যাবার অবশ্যই অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।

তাই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে বলব- জনগন কি চাইছে তার দিকে নজর দিন। এখনোও সময় আছে। রাজনীতিক ময়দানে বিরোধী দল বা বিরোধীরা আপনাদের শত্রু নয় বরং আপনাদের প্রতিদন্ধী মাত্র্। এর জন্য বিচারের নামে বেনামে নিরঅপরাধ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের হত্যার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে জনগন কি চাইছে তার দিকে নজর দিন।

বিষয়: বিবিধ

১৩০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File