মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী অনেক হয়েছে এবার থামুন!!!!!পুরা বাংলাদেশটা আপনার পূর্বের সেই অভাসগত মিথ্যা সাবমিশন পরিবেশনের নিরাপদ কোন জায়গা না................
লিখেছেন লিখেছেন Deshe ২৯ মে, ২০১৩, ১২:৩৭:৫৭ দুপুর
বর্তমান সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী একজন আইনজীবি এটা আমরা সকলেই জানি। আর একজন আইনজীবির কাজ সর্ম্পকে আমরা সকলে কম বেশি ওয়াকিবহাল।উদাহরন স্বরুপ বলা যায়- যে কোন হত্যা মামলায় আদালতে খুনির পক্ষে একজন আইনজীবি থাকে আবার অন্যদিকে খুনির বিপক্ষেও একজন আইনজীবি থাকে। নিশ্চিত ভাবে আমরা বলতে পারি যে, কোন এক পক্ষের সাবমিশন ডাহা মিথ্যা। কারন খুন হয় করেছে বা করেনি। দুই পক্ষের এক পক্ষ সত্য এবং অন্য পক্ষ যে মিথ্যা তাতে কোন সন্দেহ নাই। অর্থ্যাৎ মিথ্যার পক্ষেও একজন আইনজীবি জেনে শুনে বুঝে সাবমিশন(বক্তব্য) দেয় এইজন্য যে, ঐ আইনজীবি তার মক্কেল থেকে টাকা নিয়েছে তাকে বাঁচানোর জন্য। একজন খুনিও খুন করার পর বাঁচতে চায়। এজন্য ঐ খুনির পক্ষে কিছু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয় । আর এই ধরনের কর্ম হচ্ছে কোর্টের স্বাভাবিক বিষয়।
আমাদের বর্তমান আইন প্রতিমন্ত্রী ১/১১ এর সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসেন। তখন তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবি হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি তৃন মুল আওয়ামী লীগের কোন নেতা ছিলেন না। অর্থ্যাৎ বর্তমান আইন প্রতিমন্ত্রী একজন ভাল আইনজীবি হিসেবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মামলা পরিচালনা করে আস্থাভাজন হয়েছেন। সুতারং দীর্ঘ কর্ম জীবনে বর্তমান আইন প্রতিমন্ত্রী কোন খুনের মামলায় খুনির পক্ষ নিয়ে কি ওকালতি করেননি? কিংবা কোন ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে কি ওকালতি করেননি? কিংবা কোন সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে কি ওকালতি করেননি? কিংবা কোন দূনীর্তি বাজের পক্ষ নিয়ে কি ওকালতি করেননি? অবশ্যই তিনি তা করেছেন। অর্থ্যাৎ তিনি জেনে শুনে বুঝে খুনি,ধর্ষক,চেরাকারবারি,সন্ত্রাসী,সন্ত্রসীর পক্ষে অনেক বার আদালতে মিথ্যা মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে ওকালতি করেছেন। আর এটা ওনি করেছেন তার মক্কেলকে বাচাঁনোর জন্য। মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রীর পূর্বের ওসব কর্মকান্ড সম্পর্কে আমার কোন মন্তব্য নাই। আমার বক্তব্য হল মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী ভূলে গেছেন যে, ওনার এখন কার যে সকল বক্তব্য(সাবমিশন) ওনি দিচ্ছেন তা তিনি পূর্বের ন্যায় কোন আদালতে দিচ্ছেন না । ওনার মিথ্যা বলার পূর্বের অভ্যাসটা ওনি ছাড়তে পারছেন না। গায়ের জোরে, রাতকে দিন বানিয়ে অনুমান নির্ভর যেন তেন একটা মন্তব্য করা ওনার অভ্যাতস পরিনত হয়েছে। এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য ওনি বটতলার উকিল হিসেবে উপাধিও পেছেন। ওনি মনে রাখা দরকার পুরো বাংলাদেশ টা কোন আদালত নয়। কোন আদালতে মাত্র একজন কি দুই বিচারক থাকে,সেখানে রাতকে দিন বানিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিলে বিচারকের সত্য উদঘাটন করা একটু কষ্ঠ হয়। কারন একজন বিচারক হয়ে ওনি সব কিছু সর্ম্প কে ওয়াকিবহাল নাও হতে পারেন।
কিন্তু মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রী একথা বুঝা উচিত ওনার বর্তমানে প্রকাশ্যে দেওয়া এসব বক্তবের বিচারক বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ,তার দেওয়া প্রকাশ্যে এসব বক্তবের স্বাক্ষীও ১৬ কোটি মানুষ। ওনি কিভাবে বলেন জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা না? জিয়াউর রহমান প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কিনা তার স্বাক্ষী বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ। সুতারং মাননীয় আইন প্রতিমন্ত্রীকে বলছি অনেক হয়েছে এবার থামুন। বিভিন্ন কাল্পনিক কথা বলে আপনি আমাদের মত জনগনকে দীর্ঘ প্রায় পাঁচটি বছর মনে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। এবার আপনি প্লিজ থামুন । ক্ষমতার দাপটে যা তা আর বলবেন না। পুরা বাংলাদেশটা আপনার পূর্বের সেই মিথ্যা সাবমিশনের পরিবেশনের নিরাপদ কোন জায়গা না। তাই আল্লাহর ওয়াস্তে আপনি থামুন। এবার আমরা জনগন আপনাকে বলব আপনি শুনবের। অপনার এ ধরনের মিথ্যা সাবমিশন পুরো আইনজীবি পেশাকে জনগন ছি: ছি: করছে। জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া আপনার বিভিন্ন মিথ্যা সাবমিশন শুনে আইনজীবি সমাজের মাথা নিচু হয়ে যায়। আপনার কারনে অনেক আইজীবি নিজেকে পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। কিভাবে এক জন আইনজীবি এত মিথ্যা বলতে পারে এটাই প্রশ্ন করছে জনগন ............. কান পেতে তা শুনুন।
বিষয়: বিবিধ
১৪২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন