যে গোপন কারনে বর্তমান সরকার তাদেরই এক সময়ের প্রবর্তিত ফর্মূলা তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন Deshe ২২ মে, ২০১৩, ১১:৩৮:৩৩ সকাল
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে বা কার অধীনে হবে। বর্তমান সরকার চাচ্ছে তাদের অধীনে অর্থ্যাৎ তারা ক্ষমতায় থেকে আগামী নির্বাচন করতে। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দলসহ প্রায় সকল দলের দাবী নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন মানেই বিরোধী দলের ক্ষমতায় যাবার নিশ্চয়তা নয়, এটা সত্বেও বর্তমান সরকার কেন তাদের অধীনে নির্বাচন করতে চাচ্ছে? বর্তমান সরকার যে সকল কারনে আগামী নির্বাচন তাদের অধীনে করতে চাচ্ছে তা জনগনের বুঝতে আর বাকি নেই । আগামী সংসদ নির্বাচর বর্তমান সরকার যে সকল গোপন কারনে তাদের অধীনে করতে চাচ্ছে সে সকল কারন বর্তমান সরকার কাউকে বলতে পারছে না এই জন্য যে, ঐ সকল গোপন কারন গুলো মোটেও জনবান্ধব তো নয়ই বরং জনকল্যানের বিরোধী। ঐ সকল গোপন কারন গুলো হল বর্তমান সরকারের দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বাঁচানোর কারন। অর্থ্যাৎ বর্তমান সরকার যদি তাদের ক্ষমতা নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের কাছে হস্তান্তর করে তাহলে তাদের নিশ্চিত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে। নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নিলেই বিএনপি সহ সকল বিরোধী দল দাবি করবে যে,বর্তমান সরকারের সকল দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বিচারের আওতায় আনা হোক। প্রধানত বিএনপি একথা অবশ্যই বলবে যে, আমরা ক্ষমতা ছাড়ার পর পূর্বের ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন তত্বাবধায়ক সরকার আমাদের শীর্ষ নেতাদের বিচার করেছিল ঠিক একই ভাবে বর্তমান সরকারের সকল দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পূর্বের ফখরুদ্দিন-মইনউদ্দিন তত্বাবধায়ক সরকার যদি আমাদের নেতাদের বিচার করতে পারে তাহলে বর্তমান সরকারের সকল দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বিচারের আওতায় আনা হবে না? অার দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বিচার মানেই বর্তমান সরকারের পরবর্তীতে ক্ষমতা অাসার পথ রুদ্ধ হওয়া।
সবচেয়ে বড় কথা হল-জনগনের তরফ থেকে বিরোধী দলের এই যোক্তিক দাবীর পক্ষে তখন ব্যাপক সমর্থন পাওয়া যাবে। এই দাবী জনগনের মনের দাবী এই কারনে যে, জনগন তাদের টাকা কেউ লুন্ঠন করুক এটা কখনো সহ্য করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তার উজ্বল উদাহরন হল-ব্যাপক উন্নয়ন,অাইনশূঙ্খলা উন্নয়ন সহ ইত্যাদি কারনে ক্ষমতায় যাবার উজ্বল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও বিএনপির ক্ষমতায় থেকে বিদায় নেওয়া। আওয়ামী লীগও এই আশংকায় রয়েছে যে, তাদের বিচার করেই ইলেকশন করবে পরবর্তী হবু তত্ববধায়ক সরকার। তাদের এই ধরনের আশংকার কথা তারা ইতিমধ্যে পরোক্ষভাবে প্রকাশও করছে। যেমন সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী একথা বার বার বলেছেন যে,তত্বাবধায়ক সরকার আসলে বিরোধী দলীয় নেত্রী জেলে যেতে পারেন। আমরা জনগন কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই কথা ঠিকই বুঝতে পারি। বিরোধীদলীয় নেত্রীর জন্য প্রধানমন্ত্রী দরদ যেন শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে উতলিয়ে পড়ছে। অথচ ঈদের একদিন আগে বিরোধীদলীয় নেত্রীকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে বিতারিত করেছেন ইত্যাদি। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূনং প্রবর্তন করা হলে বর্তমান সরকারের দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের (শেয়রবাজার,হলমার্ক,ডেসটিনি,পদ্মা সেতু,কুইক রেন্টাল,গনহত্যা,গুম ইত্যাদি) জেলে অবশ্যই যেতে হবে এই আশংকায় বর্তমান সরকার আতংকে আছে। তাই বর্তমান সরকার তাদেরই এক সময়ের ফর্মূলা তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাদ দিয়ে বিচার বিভাগকে কাজে লাগিয়ে সমূলে বিনাশ করার মিশনে নেমেছে। আমরা জনগন বর্তমান সরকারের দূর্নীতিবাজ এমপি,মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীদের বিচার অবশ্যই চাই। কারন তারা আমাদের টাকা লুন্ঠন করেছে, তারা বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করেছে........... এর বিচার অবশ্যই হতে হবে। তাই দেশ প্রেমিক জনগন অবশ্যই তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা দেখতে চায়। [img]www.photo.com.bd/kh_mamun_j[/b]/BD_%2Bparlament__.jpg.html[/img]
বিষয়: রাজনীতি
১০০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন