গোয়ালন্দের ডাল
লিখেছেন লিখেছেন শহীদুল ইসলাম প্রামানিক ০৪ জুন, ২০১৩, ১০:১৪:১৮ রাত
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
শত বছরের অধিক হবে
গোয়ালন্দের ঘাট
চলছে সদাই লঞ্চ স্টীমার
যায়নি চুকে পাট।
মালিক-মহাজন কুলি-মজুর
এপার ওপার যায়
যাওয়ার সময় লাগলে ক্ষুধা
হোটেলগুলোয় খায়।
পদ্মা নদীর ইলিশ ভাঁজা
পাংগাস মাছের পেটি
চিংড়ি মাছের দোপিয়াজি
যার পছন্দ যেটি।
ছোট মাছের চচ্চরি আর
বোয়াল মাছের ঝোল
একবার খেলে আবার যাবেন
ছেড়ে মায়ের কোল।
গরু নামের মহিষ পাবেন
ভেড়া নামের খাসি
টাটকা ঝোলের তরকারীতে
মুরগীর মাংস বাসি।
এমন স্বাদের তরকারী সব
যায়না কভু ভোলা
সাজিয়ে রাখে সব দোকানে
ঢাকনা ছাড়া খোলা।
ভাতের সাথে মাছ মাংস ভাই
ইচ্ছা মতো খাবেন
বিনা পয়সায় শত বছরের
পাতলা ডালও পাবেন।
নতুন ডাল রান্না করে
সেই ডালের সাথে
শত বছরের বাসি ডাল যে
দিচ্ছে ঢেলে তাতে।
এমনি করে প্রত্যেক দিন
চলছে ডালের রান্না
জিগ্যেস করলে বলে দেবে রে
বুড়ো বাবুর্চি পান্না।
চলছে রান্না যুগযুগ ধরে
শেষ হয়না ভাই
শত বছরের পুরানো ডাল
গোয়ালন্দেই পাই।
পরশু তরশু যখনি খান
কিংবা আগামী কাল
কোন দিনই শেষ হবে না
গোয়ালন্দের ডাল।
বিষয়: সাহিত্য
১৪৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন