স্বাধীনতাকে কুক্ষিগত না করে দেশের সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিন

লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন কন্ঠ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৪১:৫৭ রাত

স্বাধীনতা আমাদের গর্ব। এদেশের ১৬ কোটি মানুষের অহংকার। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হয়েছিল বাংলার আকাশে। দীর্ঘ দিন নিষ্পেষিত থাকার পর মুক্ত বাতাশে মানুষ নিয়েছিল স্বস্তির নিঃশ্বাস। সবাই ভেবেছিল এবার সোনার বাংলা গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্ত না , সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ৪২ বছর পরেও স্বপ্নই রয়ে গেছে। ১৬ কোটি মানুষের স্বাধীনতা কে ছিনতাই করে একটি দলের পৈত্তিক সম্পত্তিতে পরিনত করা হয়েছে । এই দলটি শুরু থেকেই স্বাধীনতার পক্ষ - বিপক্ষ নামে দুটি কাল্পনিক শক্তি দাড় করিয়ে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে রেখেছে। দলীয় স্বার্থে স্বাধীনতা কে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিগত ৪২ বছর ধরে । স্বাধীনতার ইতিহাস কে করা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। সরকার বদলের সাথে সাথে বদলে গেছে স্বাধীনতার ইতিহাস। ইতিহাসবিদরা ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক বলয়ের বাহিরে গিয়ে কতটুকু নিরপেক্ষ ভাবে ইতিহাস রচনা করেছেন তা আজ গবেষণার বিষয়। তবে তার কিঞ্ছিত নমুনা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানির ১৯৮৩ সালের ২৪ নভেম্বর , সপ্তাহিক বিচিত্রা প্রকাশিত তার সাক্ষাৎকারে থেকে '' এই যে এতো স্বাধীনতা যুদ্ধের বই বাজারে -আমি তার অনেকগুলিই দেখেছি। পাবলিক লাইব্রেরীতে গেছি -দেখেছি সব মুক্তিযুদ্ধের রুপকথা ''-----।

কারো তোষামুদী না করা স্পষ্টবাদী মানুষ হওয়ার কারনে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হয়েও ইতিহাসে তিনি আজ উপেক্ষিত। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে একটাই অনরুধ শুধু বক্তিতা আর বিবৃতিতে নয় দেশকে ভালবাসুন হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে। হিংসা - বিদ্বেষ ছড়িয়ে জাতিকে বিভক্ত না করে নির্ভেজাল ভালবাসা দিয়ে ১৬ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন। আর স্বাধীনতাকে কুক্ষিগত না করে দেশের সব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিন। তবেই গড়ে উঠবে প্রকৃত সোনার বাংলা।

বিষয়: বিবিধ

১১১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File