পবিত্র রমযান মাসে কেন এই রায় ?
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন কন্ঠ ১৪ জুলাই, ২০১৩, ০৩:৫৬:৩৫ দুপুর
রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমূল্য সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আমাদের মাঝে এসেছে পবিত্র মাহে রমযান। মুমিন মাত্রই এই মাসের জন্য অপেক্ষা করে চতক পাখির মত। এই মাসে মুমিনরা যাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ সহজে করতে পারে তার জন্য শৃঙ্খলিত করা হয় মানবতার চরম শত্রু শয়তানকে। কিন্তু শয়তানকে বন্দী করলেই কি তার অশুভ তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায় ?
তাইতো শয়তানের চেলা চামচারা হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে ষড়যন্ত্র পাকাতে থাকে একের পর এক। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশের শান্তি বিনষ্ট করতে ইসলামী আন্দোলনের প্রান পুরুষ, কেয়ারটেকার সরকারের রূপকার মজলুম জননেতা ভাষাসৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আগামী কাল ৫ রমযান সোমবার সাজানো মামলার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দিতে যাচ্ছে। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে যে আবস্তার সৃষ্টি হবে তাতে বিগ্নিত হবে জননিরাপত্তা, উত্তপ্ত হয়ে উঠবে দেশের সার্বিক পরিস্তিতি, ঘটবে আনেক অপ্রীতিকর অনাকাংখিত ঘটনা। আর এই সকল কিছুর দায়বার নিতে হবে ক্ষমতাসীন সরকারকেই।
দীর্ঘদিন অপেক্ষায়মান রেখে রমজান মাস কে কেন বেছে নেয়া হল রায়ের জন্য ?
এর উত্তর যদি হয় রমযান মাসের দোহাই দিয়ে এই ষড়যন্ত্রমূলক রায়ের প্রতিবাদ করা থেকে জনগণকে বিরত রাখা তবে তা হবে বড্ড বোকামি ।
ক্ষুদা , তৃষ্ণা কিংবা প্রতিকুল পরিবেশ ইসলামি আন্দোলনের কর্মীদের অগ্রযাত্রা থামাতে পারে না। বরং রমযান মাস হল ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য প্রেরণার মাস। এই মাসেই ইসলামের প্রথম যুদ্ধে বিপুল সংখ্যক অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে মুষ্টিমেয় ইমানদার মুসলমানদের বিজয় হয়েছিল। যারা হৃদয়ে লালন করে বদরের চেতনা ,কোন ষড়যন্ত্রই তাদের স্তব্ধ করতে পারে না। ইসলামী আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে যদি কোন ষড়যন্ত্রমূলক অন্যায় রায় দেয়া হয় তাহলে আগামীকাল থেকে যে আন্দোলন শুরু হবে এই জালিম সরকারের পতন নিশ্চিত করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্ত না করা পর্যন্ত জামায়াত-শিবির ও তাওহীদি জনতা ঘরে ফিরে যাবে না।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন