অজানা গন্তব্যে বাংলাদেশের যাত্রা
লিখেছেন লিখেছেন স্বাধীন কন্ঠ ২০ মে, ২০১৩, ০৪:০৩:১৩ বিকাল
বাংলাদেশের মানুষ আজ ভালো নেই । এক অজানা আতংকে দিন কাটাচ্ছে দেশের প্রতিটি নাগরিক । স্থলে জলে সমুদ্রে নেই কোথাও জীবনের নিরাপত্তা । সমুদ্রে জলদস্যুর আক্রমণ সীমান্তে বি এস এফ এর গুলি ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বাসা বাড়িতে রাত বিরাতে পুলিশের হানায় গুটা দেশ পরিণত হয়েছে দানবীয় রাষ্ট্রে। বাসায় থাকলে খুন রাস্তায় বেরোলে গুম মিছিল- সমাবেশে গেলে গুলি টিয়ারসেল লাঠি পেটা খাওয়া গ্রেফতার হলে রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতন আজ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চরম বিপর্যস্ত । ডিজিটাল ডাকাতির মাধ্যমে শেয়ার বাজারের ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে ডেসটিনি ইউনিপেটুইউ হলমার্ক পদ্মা সেতু রেলে নিয়োগ বাণিজ্য সহ অনেক গুলো খাত থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ কোটি টাকা । দূণীতির উৎকট গন্ধে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু ইস্যুতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দাতারা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমুখ। যখন সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে দেশের অর্থব্যাবস্তা দেওলিয়াত্বের পথে তখন আমদের রাবিশ অর্থমন্ত্রী হলমার্কের মত দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ৩৬ শত কোটি হাতিয়ে নেয়া কোম্পানীকে আবারও ঋণ দিয়ে পুরস্কিত করার উদ্দ্যেগ নিয়েছেন এতে প্রমানিত হয় তিনি নিজেও আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। শেয়ারবাজারের ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারী যখন সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে তখন মাল সাহেব তাদেরকে বললেন ফটকাবাজ। মাল সাহেবের দৃষ্টিতে তার কর্মকাণ্ডের সমালোচনাকারীরা রাবিশ ও বগাস । যেন একমাত্র তিনিই এই গ্রহের ভাল লোক। এই উন্মাদ লোকটির কর্মকাণ্ডে গুটা জাতী আজ লজ্জিত। মানুষ যখন অর্থনীতির যাঁতাকলে পড়ে কাদে তখন মাল সাহেব নির্লজ্জের মত হাসেন।
মানুষের মৌলিক অধিকার পদে পদে লঙ্গিত ঃ-
সারা দেশে বাড়ছে লাশের মিছিল। দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে গৃহযুদ্ধের দিকে! পুরো জাতী আজ স্তম্বিত, বিস্ময়ে হতবাক ! অজানা আতংকে আছে মানুষ । নিহতের স্বজনের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আছে। একদিনে পাখিরমত হাজার হাজার মানুষের প্রান কেড়ে নিয়ে রেকর্ড গড়ল শেখ হাছিনার পুলিশ বাহিনী। কি তাদের অপরাধ ? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের অনৈতিক কাজের বিরুধীতা করে রাজপথে মিছিল, সমাবেশ করার কি কোন অধিকার জনগনের নেই ? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণ মিছিল- মিটিং করার অধিকার সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত থাকলেও আওয়ামী সরকারের হাতে সেই অধিকার আজ ভুলন্ঠিত। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রের পুলিশ বাহীনিকে দলীয় কর্মীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে । শান্তিপূর্ণ মিছিল- মিটিংয়ে রাস্তায় নামলেই পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে বিরুধী দল দমনের নামে দেশের নিরিহ জনগনের উপর চলছে নির্মম গণহত্যা। এই গনহত্যার শিকার হয়ছেন হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ৬ মে গভীর রাতে শাপলা চত্বরে কমপক্ষে ২০০০-২৫০০ জন হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মী ও নিরীহ জনতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাম্ভীক উক্তি পুলিশ কি আঙ্গুল চুসবে ?! এই গনহত্যাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দৃষ্টিতে যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হাজার হাজার রাজাকারকে পুষেছেন রাজাকারদের সর্দার ছিলেন সেই মখা আলমগীর সাহেব আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে জণগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চালাচ্ছেন নির্বিচারে গণহত্যা। মাননীয় মন্ত্রী সাহেব হয়ত ভুলে গেছেন এই দিন দিন নয় আর দিন আছে।
নেই আইনের শাসন –
বিচার ব্যাবস্তা হয়ে পড়েছে দলীয় স্বার্থে শোষনে হাতিয়ার। হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় লাখ লাখ বিরুধীদলের নেতা কর্মী আজ বাড়ী ছাড়া , কারাগারে বন্দি হাজার হাজার নেতা কর্মী । ক্ষমতাসীন সরকার রাজনৈতিক হীণ স্বার্থে একের পর এক দেশের ক্লীন ইমেজের নেতৃবৃন্দ কে গ্রেফতার করে অন্যদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় ও জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। সরকার পুলিশ ও দলীয় কর্মীদেরকে দিয়ে বিরুধীদলের নেতা কর্মী ও নিরীহ জনতার উপর গনহত্যা চালিয়ে উল্টো মামলা দিয়েছে নিহতের স্বজনদের বিরুদ্ধে। বিচারের বানী আজ নীরবে নিবৃত্তে কাঁদে।
দেশের জনপ্রিয় আলেম দ্বীন ২ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত টাইব্যুনালের মাধ্যমে দেলু রাজাকারের অপকর্ম সুকৌশলে তার উপর চাপিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রমূলক যে রায় দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে সারা দেশের সাঈদী প্রেমিক লক্ষ লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমে আসলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ ও তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষের উপর যে নারকীয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালায় তা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সরকারের মদদে শাহবাগের নাস্তিকদের দিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এ দেশ থেকে আলেম উলামাকে নিঃশেষ করে ইসলাম নির্মূলের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা তৌহিদী জনতা জীবন দিয়ে প্রতিহত করবে তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। গুটিকয়েক নাস্তিক ছাড়া দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ চায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক রায় বাতিল করে তাকে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে ফিরিয়ে দাও। এক্ষেত্রে কোন দুরভিসন্ধীর আশ্রয় নিলে জনতার হৃদয়ে যে ক্রুদের আগুন জলছে তা দাবানল হয়ে ছরিয়ে পড়বে সবখানে যা নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা সরকারের থাকবে না।
মিডিয়াগুলোর একচোখা নীতি-
ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্টিং মিডিয়াগুলোর একচোখা নীতি আমাদের বর্তমান সঙ্কটকে আর ঘনীভূত করে তুলেছে। অনেকগুলো মিডিয়া সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে জনগনের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে একচোখা নীতিতে দলীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রচারপত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নির্লজ্জের মত সরকারের প্রচারপত্রের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা হিসেবে প্রচার করতে গিয়া গুটা জাতিকে আজ বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করে ফেলেছে। অনেকেই মনে করে আজকের এই সঙ্কটের জন্য কতিপয় হলুদ সাংবাদিক ও মিডিয়াই অনেকাংশে দায়ী। সৎ, দায়িত্ববান ও নির্ভীক সাংবাদিক ও সংবাদপত্র সরকারের রোষানলের শিকার। আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রাহমান জণগনের স্বার্থে সত্য প্রকাশ করায় যালিমের কারাগারে বন্দী , রিমান্ডের নামে চরম নির্যাতনে তার জীবন আজ বিপন্ন। মাহমুদুর রহমান যদি আজ রাজীবের সুরে কথা বলতেন থাবা বাবার গুণগান গাইতেন, তবে এ বিপদে কখনোই পড়তেন না। এ সহজ অংক বোঝার মতো বুদ্ধি বাংলাদেশের মানুষের নেই, সেটি মনে করার কোনো কারণ নেই। তাহলে অবশ্য বিরল সম্মানের অর্জনধারীও হতে পারতেন না। আজ সবাই শত মুখে বলছে তিনি বিজয়ী, যেখানে সরকার নীতি-নৈতিকতাসহ সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে চরমভাবে পরাজিত। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একজন সম্পাদককে গ্রেফতার এবং পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে সরকার প্রমান করেছে তার গণতন্ত্রকে নয় বরং গণতন্ত্রের আড়ালে তারা বাকশালী ফ্যাসিবাদকেই লালন করে।
শাহবাগের মেকী গণজাগরণ-
সরকারের জণগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তৈরি করলো শাহবাগের মেকী গণজাগরণ। জনগণ দেখলো এক অভূতপূর্ব দৃশ্য সরকারের পৃষ্টপোষকতায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাটক। কিন্তু সেই নাটকই যে তাদের জন্য কাল হবে তা হয়তো তারা আন্দাজ করতে পারেনি। নাস্তিকতা ও শাহবাগ চত্তর আজ মিলেমিশে একাকার। শাহবাগ চত্তরের নাম শুনলে আজ মানুষ আস্তাখফিরুল্লাহ পড়ে। যুগে যুগে এবাবেই আল্লাহ শয়তানের ষড়যন্ত্র ন্যাসাৎ করে দেন।
সরকারের বহু কাজ এবং প্রায় সব কথারই কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। যতই তারা জনসমর্থন হারাচ্ছে এবং দেশ যতই তাদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে, ততই তাদের আচরণ উন্মাদের মতো মনে হচ্ছে এবং আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাদের ধ্বংস করতে চান তাদের আগে উন্মাদ করে দেন। বাংলাদেশের মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে।
শুরু হয়েছে প্রকৃত গণজাগরণ।–
নাস্তিক মুরতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এবং ইসলাম ও গণতন্ত্র বিরুধী জালিম আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আজ গুটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ । ইসলাম , গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মত কিছু চাটুকার মোল্লা ছাড়া সকল আলীম সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির সমন্বয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এতাই প্রকৃত গণজাগরণ। এই গণজাগরণের স্রুতে বাকশালী মানসিকতার আওয়ামী সরকারের পতন সুনিশ্চিত। এই সত্যকে অনুধাবন করতে পারায় ৬ মে শাপলা চত্বরে গভীর রাতে চালাল ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা। নিরস্র নিরপরাধ হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীরা ১৩ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ঢাকা প্রবেশ পথের ৬ টি পয়েন্টে অবরুধ শেষে শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্তান করছিল এবং এক পর্যায়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে সেখানে গভীর রাতে অনেকেই ঘুমিয়ে পরেছিল কেউ কেউ জিকির করছিল এমতাবস্তায় সেখানকার সব বিদ্যুতের বাতি নিভিয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়াকে সরিয়া নিরপরাধ আলেম উলামা ও জনতার উপর চালানো হল ইতিহাসের জগন্যতম নিষ্টুর পৈশাচিক গণহত্যা। শিশু কিশোর আলেম উলামা ও নিরীহ জনতার খুনে লাল হল ঢাকার রাজপথ। ৬ মে এর গণহত্যার ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করার কারনে সত্য প্রকাশে নির্ভীক মিডিয়া দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচার গভীর রাতে বন্ধ করে দিয়ে সরকার মূলত সত্যকে আড়াল করতে চেয়েছে । দিনের আলো ফোঁটার আগেই সিটি কর্পোরেশন এর বিশ টি ময়লাফেলার গাড়ীতে করে হাজার হাজার লাশ গুম করা হল ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা হল রক্তের দাগ। এই নির্মম গণহত্যায় জনতার মনে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার দাগ মুছা যাবেনা কখনও ।
শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতিবাদ এখানেই থেমে যাবে, এমনটি ভাবা বোকামি। এর সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যোগ হলে আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হবে। আর প্রথম আলোর সাম্প্রতিক জনমত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে দেশের অবস্থা খারাপ। ৮১ শতাংশ মানুষ মনে করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ের পর পরিস্থিতি সামলাতে পারেনি সরকার। ইকোনমিস্ট বলছে, বাংলাদেশে আরো রক্তপাত হবে। বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধসে ১১২৭ জনের মৃত্যু যথেষ্ট নয়। দেশটিতে এখন রাজনৈতিক সহিংসতায় নতুন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ৬ মে ঢাকায় যা ঘটেছে তা গণহত্যার মতোই।
তাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, সামনে আমাদের জন্য আর কী অপেক্ষা করছে? হলমার্ক, শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, রেলওয়ে নিয়োগবাণিজ্য, রানা প্লাজা, ফেব্রুয়ারির শতাধিক বিক্ষোভকারী হত্যা, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের মতো এক-এক করে এমনই আরো কত তিলক যোগ হবে জাতির কপালে?
তবে ইতিহাস একদিন ঠিকই কথা বলবে । মানুষ জানতে পারবে আসল সত্য। কোন জালিম শাসক জনগণের উপর জুলুম করে ঠিকে থাকতে পারেনি । ফ্যাসিবাদী চরিত্রের হাসিনার সরকারও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না । এখন শুধু অপেক্ষার পালা কবে, কিভাবে, কার পরিনতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিবে আওয়ামী সরকার? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা দিন।
অজানা গন্তব্যে বাংলাদেশের যাত্রা
----এহতেশামুল আলম জাকারিয়া
বাংলাদেশের মানুষ আজ ভালো নেই । এক অজানা আতংকে দিন কাটাচ্ছে দেশের প্রতিটি নাগরিক । স্থলে জলে সমুদ্রে নেই কোথাও জীবনের নিরাপত্তা । সমুদ্রে জলদস্যুর আক্রমণ সীমান্তে বি এস এফ এর গুলি ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস বাসা বাড়িতে রাত বিরাতে পুলিশের হানায় গুটা দেশ পরিণত হয়েছে দানবীয় রাষ্ট্রে। বাসায় থাকলে খুন রাস্তায় বেরোলে গুম মিছিল- সমাবেশে গেলে গুলি টিয়ারসেল লাঠি পেটা খাওয়া গ্রেফতার হলে রিমান্ডের নামে অমানবিক নির্যাতন আজ নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা চরম বিপর্যস্ত । ডিজিটাল ডাকাতির মাধ্যমে শেয়ার বাজারের ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারীকে পথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে, লুটপাট করা হয়েছে ডেসটিনি ইউনিপেটুইউ হলমার্ক পদ্মা সেতু রেলে নিয়োগ বাণিজ্য সহ অনেক গুলো খাত থেকে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে লাখ লাখ কোটি টাকা । দূণীতির উৎকট গন্ধে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু ইস্যুতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দাতারা হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিমুখ। যখন সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে দেশের অর্থব্যাবস্তা দেওলিয়াত্বের পথে তখন আমদের রাবিশ অর্থমন্ত্রী হলমার্কের মত দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ৩৬ শত কোটি হাতিয়ে নেয়া কোম্পানীকে আবারও ঋণ দিয়ে পুরস্কিত করার উদ্দ্যেগ নিয়েছেন এতে প্রমানিত হয় তিনি নিজেও আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। শেয়ারবাজারের ৩৫ লাখ বিনিয়োগকারী যখন সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছে তখন মাল সাহেব তাদেরকে বললেন ফটকাবাজ। মাল সাহেবের দৃষ্টিতে তার কর্মকাণ্ডের সমালোচনাকারীরা রাবিশ ও বগাস । যেন একমাত্র তিনিই এই গ্রহের ভাল লোক। এই উন্মাদ লোকটির কর্মকাণ্ডে গুটা জাতী আজ লজ্জিত। মানুষ যখন অর্থনীতির যাঁতাকলে পড়ে কাদে তখন মাল সাহেব নির্লজ্জের মত হাসেন।
মানুষের মৌলিক অধিকার পদে পদে লঙ্গিত ঃ-
সারা দেশে বাড়ছে লাশের মিছিল। দেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে গৃহযুদ্ধের দিকে! পুরো জাতী আজ স্তম্বিত, বিস্ময়ে হতবাক ! অজানা আতংকে আছে মানুষ । নিহতের স্বজনের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে আছে। একদিনে পাখিরমত হাজার হাজার মানুষের প্রান কেড়ে নিয়ে রেকর্ড গড়ল শেখ হাছিনার পুলিশ বাহিনী। কি তাদের অপরাধ ? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের অনৈতিক কাজের বিরুধীতা করে রাজপথে মিছিল, সমাবেশ করার কি কোন অধিকার জনগনের নেই ? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণ মিছিল- মিটিং করার অধিকার সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত থাকলেও আওয়ামী সরকারের হাতে সেই অধিকার আজ ভুলন্ঠিত। জনগনের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রের পুলিশ বাহীনিকে দলীয় কর্মীর মত ব্যবহার করা হচ্ছে । শান্তিপূর্ণ মিছিল- মিটিংয়ে রাস্তায় নামলেই পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে বিরুধী দল দমনের নামে দেশের নিরিহ জনগনের উপর চলছে নির্মম গণহত্যা। এই গনহত্যার শিকার হয়ছেন হেফাজতের দাবি অনুযায়ী ৬ মে গভীর রাতে শাপলা চত্বরে কমপক্ষে ২০০০-২৫০০ জন হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মী ও নিরীহ জনতা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাম্ভীক উক্তি পুলিশ কি আঙ্গুল চুসবে ?! এই গনহত্যাকে আরও উস্কে দিচ্ছে। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর দৃষ্টিতে যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হাজার হাজার রাজাকারকে পুষেছেন রাজাকারদের সর্দার ছিলেন সেই মখা আলমগীর সাহেব আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে জণগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চালাচ্ছেন নির্বিচারে গণহত্যা। মাননীয় মন্ত্রী সাহেব হয়ত ভুলে গেছেন এই দিন দিন নয় আর দিন আছে।
নেই আইনের শাসন –
বিচার ব্যাবস্তা হয়ে পড়েছে দলীয় স্বার্থে শোষনে হাতিয়ার। হাজার হাজার মিথ্যা মামলায় লাখ লাখ বিরুধীদলের নেতা কর্মী আজ বাড়ী ছাড়া , কারাগারে বন্দি হাজার হাজার নেতা কর্মী । ক্ষমতাসীন সরকার রাজনৈতিক হীণ স্বার্থে একের পর এক দেশের ক্লীন ইমেজের নেতৃবৃন্দ কে গ্রেফতার করে অন্যদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় ও জেল থেকে ছেড়ে দিয়ে দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। সরকার পুলিশ ও দলীয় কর্মীদেরকে দিয়ে বিরুধীদলের নেতা কর্মী ও নিরীহ জনতার উপর গনহত্যা চালিয়ে উল্টো মামলা দিয়েছে নিহতের স্বজনদের বিরুদ্ধে। বিচারের বানী আজ নীরবে নিবৃত্তে কাঁদে।
দেশের জনপ্রিয় আলেম দ্বীন ২ বার নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত টাইব্যুনালের মাধ্যমে দেলু রাজাকারের অপকর্ম সুকৌশলে তার উপর চাপিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রমূলক যে রায় দেয়া হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে সারা দেশের সাঈদী প্রেমিক লক্ষ লক্ষ জনতা রাস্তায় নেমে আসলে সরকারের নির্দেশে পুলিশ ও তাদের দলীয় ক্যাডার বাহিনী নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষের উপর যে নারকীয় ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা চালায় তা ৭১ এর বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। সরকারের মদদে শাহবাগের নাস্তিকদের দিয়ে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এ দেশ থেকে আলেম উলামাকে নিঃশেষ করে ইসলাম নির্মূলের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তা তৌহিদী জনতা জীবন দিয়ে প্রতিহত করবে তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। গুটিকয়েক নাস্তিক ছাড়া দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষ চায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক রায় বাতিল করে তাকে তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে ফিরিয়ে দাও। এক্ষেত্রে কোন দুরভিসন্ধীর আশ্রয় নিলে জনতার হৃদয়ে যে ক্রুদের আগুন জলছে তা দাবানল হয়ে ছরিয়ে পড়বে সবখানে যা নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা সরকারের থাকবে না।
মিডিয়াগুলোর একচোখা নীতি-
ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্টিং মিডিয়াগুলোর একচোখা নীতি আমাদের বর্তমান সঙ্কটকে আর ঘনীভূত করে তুলেছে। অনেকগুলো মিডিয়া সাংবাদিকতার নীতিগুলোকে বিসর্জন দিয়ে জনগনের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে একচোখা নীতিতে দলীয় স্বার্থ রক্ষায় প্রচারপত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নির্লজ্জের মত সরকারের প্রচারপত্রের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা হিসেবে প্রচার করতে গিয়া গুটা জাতিকে আজ বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করে ফেলেছে। অনেকেই মনে করে আজকের এই সঙ্কটের জন্য কতিপয় হলুদ সাংবাদিক ও মিডিয়াই অনেকাংশে দায়ী। সৎ, দায়িত্ববান ও নির্ভীক সাংবাদিক ও সংবাদপত্র সরকারের রোষানলের শিকার। আমারদেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রাহমান জণগনের স্বার্থে সত্য প্রকাশ করায় যালিমের কারাগারে বন্দী , রিমান্ডের নামে চরম নির্যাতনে তার জীবন আজ বিপন্ন। মাহমুদুর রহমান যদি আজ রাজীবের সুরে কথা বলতেন থাবা বাবার গুণগান গাইতেন, তবে এ বিপদে কখনোই পড়তেন না। এ সহজ অংক বোঝার মতো বুদ্ধি বাংলাদেশের মানুষের নেই, সেটি মনে করার কোনো কারণ নেই। তাহলে অবশ্য বিরল সম্মানের অর্জনধারীও হতে পারতেন না। আজ সবাই শত মুখে বলছে তিনি বিজয়ী, যেখানে সরকার নীতি-নৈতিকতাসহ সব রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে চরমভাবে পরাজিত। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একজন সম্পাদককে গ্রেফতার এবং পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে সরকার প্রমান করেছে তার গণতন্ত্রকে নয় বরং গণতন্ত্রের আড়ালে তারা বাকশালী ফ্যাসিবাদকেই লালন করে।
শাহবাগের মেকী গণজাগরণ-
সরকারের জণগণের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তৈরি করলো শাহবাগের মেকী গণজাগরণ। জনগণ দেখলো এক অভূতপূর্ব দৃশ্য সরকারের পৃষ্টপোষকতায় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নাটক। কিন্তু সেই নাটকই যে তাদের জন্য কাল হবে তা হয়তো তারা আন্দাজ করতে পারেনি। নাস্তিকতা ও শাহবাগ চত্তর আজ মিলেমিশে একাকার। শাহবাগ চত্তরের নাম শুনলে আজ মানুষ আস্তাখফিরুল্লাহ পড়ে। যুগে যুগে এবাবেই আল্লাহ শয়তানের ষড়যন্ত্র ন্যাসাৎ করে দেন।
সরকারের বহু কাজ এবং প্রায় সব কথারই কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। যতই তারা জনসমর্থন হারাচ্ছে এবং দেশ যতই তাদের বিপক্ষে চলে যাচ্ছে, ততই তাদের আচরণ উন্মাদের মতো মনে হচ্ছে এবং আমাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিতে বলা হয়েছে, আল্লাহ যাদের ধ্বংস করতে চান তাদের আগে উন্মাদ করে দেন। বাংলাদেশের মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে।
শুরু হয়েছে প্রকৃত গণজাগরণ।–
নাস্তিক মুরতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এবং ইসলাম ও গণতন্ত্র বিরুধী জালিম আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আজ গুটা বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ । ইসলাম , গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ফরিদ উদ্দিন মাসুদের মত কিছু চাটুকার মোল্লা ছাড়া সকল আলীম সমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী শক্তির সমন্বয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এতাই প্রকৃত গণজাগরণ। এই গণজাগরণের স্রুতে বাকশালী মানসিকতার আওয়ামী সরকারের পতন সুনিশ্চিত। এই সত্যকে অনুধাবন করতে পারায় ৬ মে শাপলা চত্বরে গভীর রাতে চালাল ইতিহাসের নির্মম গণহত্যা। নিরস্র নিরপরাধ হেফাজতে ইসলামের নেতা কর্মীরা ১৩ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত ঢাকা প্রবেশ পথের ৬ টি পয়েন্টে অবরুধ শেষে শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্তান করছিল এবং এক পর্যায়ে অনেকেই ক্লান্ত হয়ে সেখানে গভীর রাতে অনেকেই ঘুমিয়ে পরেছিল কেউ কেউ জিকির করছিল এমতাবস্তায় সেখানকার সব বিদ্যুতের বাতি নিভিয়ে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টিং মিডিয়াকে সরিয়া নিরপরাধ আলেম উলামা ও জনতার উপর চালানো হল ইতিহাসের জগন্যতম নিষ্টুর পৈশাচিক গণহত্যা। শিশু কিশোর আলেম উলামা ও নিরীহ জনতার খুনে লাল হল ঢাকার রাজপথ। ৬ মে এর গণহত্যার ভিডিও ক্যামেরায় ধারন করার কারনে সত্য প্রকাশে নির্ভীক মিডিয়া দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশনের সম্প্রচার গভীর রাতে বন্ধ করে দিয়ে সরকার মূলত সত্যকে আড়াল করতে চেয়েছে । দিনের আলো ফোঁটার আগেই সিটি কর্পোরেশন এর বিশ টি ময়লাফেলার গাড়ীতে করে হাজার হাজার লাশ গুম করা হল ধুয়ে মুছে পরিস্কার করা হল রক্তের দাগ। এই নির্মম গণহত্যায় জনতার মনে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে তার দাগ মুছা যাবেনা কখনও ।
শাপলা চত্বরের ঘটনার প্রতিবাদ এখানেই থেমে যাবে, এমনটি ভাবা বোকামি। এর সাথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যোগ হলে আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হবে। আর প্রথম আলোর সাম্প্রতিক জনমত জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করে দেশের অবস্থা খারাপ। ৮১ শতাংশ মানুষ মনে করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের রায়ের পর পরিস্থিতি সামলাতে পারেনি সরকার। ইকোনমিস্ট বলছে, বাংলাদেশে আরো রক্তপাত হবে। বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধসে ১১২৭ জনের মৃত্যু যথেষ্ট নয়। দেশটিতে এখন রাজনৈতিক সহিংসতায় নতুন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ৬ মে ঢাকায় যা ঘটেছে তা গণহত্যার মতোই।
তাই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, সামনে আমাদের জন্য আর কী অপেক্ষা করছে? হলমার্ক, শেয়ারবাজার, পদ্মা সেতু, রেলওয়ে নিয়োগবাণিজ্য, রানা প্লাজা, ফেব্রুয়ারির শতাধিক বিক্ষোভকারী হত্যা, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডের মতো এক-এক করে এমনই আরো কত তিলক যোগ হবে জাতির কপালে?
তবে ইতিহাস একদিন ঠিকই কথা বলবে । মানুষ জানতে পারবে আসল সত্য। কোন জালিম শাসক জনগণের উপর জুলুম করে ঠিকে থাকতে পারেনি । ফ্যাসিবাদী চরিত্রের হাসিনার সরকারও ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না । এখন শুধু অপেক্ষার পালা কবে, কিভাবে, কার পরিনতির মধ্য দিয়ে বিদায় নিবে আওয়ামী সরকার? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুটা দিন।
বিষয়: রাজনীতি
১২২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন