সত্য ধর্ম ইসলাম/ইসলাম শান্তির ধর্ম

লিখেছেন লিখেছেন শাহিন আলম ২০ মে, ২০১৩, ০৭:২৭:০৪ সকাল

সম্প্রতি মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা.

অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞহিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম, আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে। মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না, আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই না। আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ

অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন, সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি।

আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময় নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই, যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার আবেদনে সাড়া দিলাম। বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও সান্ত্বনা দিতে এলাম। পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন।

এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের নিরিখে। অথচ আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস

নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে। এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম।

তাহলে আমাদের এত গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল

আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁছলাম! আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের

উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান

কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য

ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক

থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই

সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ

কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই

জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার

করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ

শিক্ষা পেয়ে এসেছে!

ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত

নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য

আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার

অন্য শহরে চলে গেলাম,

যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে।

সেখানে আমি অধিকাংশ সময়

নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের

মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক

মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায়

আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।সম্প্রতি মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা.

অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার

একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

হিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম

নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের

পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম,

আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার

বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ

করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে।

মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও

শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না,

আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই

না।

আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ

অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন,

সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের

আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক

হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন

বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ

ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি।

আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময়

নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক

নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই,

যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার

আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও

সান্ত্বনা দিতে এলাম।

পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর

সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন

আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ

সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত

জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক

স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন।

এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক

পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও

তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম

আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের

নিরিখে।

অথচ আমাকে হতভম্ব

করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ

কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন

পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস

নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও

রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।

বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম।

তাহলে আমাদের এত

গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল

আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম!

আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন

নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের

উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান

কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য

ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক

থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই

সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ

কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই

জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার

করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ

শিক্ষা পেয়ে এসেছে!

ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত

নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য

আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার

অন্য শহরে চলে গেলাম,

যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে।

সেখানে আমি অধিকাংশ সময়

নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের

মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক

মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায়

আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।সম্প্রতি মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা.

অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার

একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

হিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম

নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের

পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম,

আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার

বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ

করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে।

মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও

শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না,

আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই

না।

আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ

অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন,

সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের

আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক

হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন

বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ

ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি।

আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময়

নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক

নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই,

যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার

আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও

সান্ত্বনা দিতে এলাম।

পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর

সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন

আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ

সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত

জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক

স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন।

এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক

পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও

তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম

আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের

নিরিখে।

অথচ আমাকে হতভম্ব

করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ

কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন

পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস

নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও

রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।

বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম।

তাহলে আমাদের এত

গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল

আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম!

আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন

নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের

উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান

কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য

ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক

থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই

সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ

কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই

জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার

করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ

শিক্ষা পেয়ে এসেছে!

ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত

নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য

আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার

অন্য শহরে চলে গেলাম,

যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে।

সেখানে আমি অধিকাংশ সময়

নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের

মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক

মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায়

আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।সম্প্রতি মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা.

অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার

একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

হিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম

নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের

পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম,

আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার

বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ

করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে।

মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও

শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না,

আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই

না।

আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ

অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন,

সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের

আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক

হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন

বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ

ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি।

আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময়

নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক

নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই,

যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার

আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও

সান্ত্বনা দিতে এলাম।

পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর

সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন

আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ

সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত

জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক

স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন।

এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক

পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও

তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম

আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের

নিরিখে।

অথচ আমাকে হতভম্ব

করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ

কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন

পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস

নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও

রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।

বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম।

তাহলে আমাদের এত

গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল

আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম!

আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন

নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের

উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান

কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য

ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক

থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই

সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ

কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই

জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার

করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ

শিক্ষা পেয়ে এসেছে!

ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত

নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য

আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার

অন্য শহরে চলে গেলাম,

যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে।

সেখানে আমি অধিকাংশ সময়

নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের

মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক

মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায়

আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।সম্প্রতি মার্কিন গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

ডা. ইউএস অরিভিয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

করেন। নিজের ইসলাম গ্রহণ প্রসঙ্গে ডা.

অরিভিয়া বলেন, আমি আমেরিকার

একটি হাসপাতালে গাইনী ও অবস বিশেষজ্ঞ

হিসেবে কাজ করি।

একদিন হাসপাতালে এক আরব মুসলিম

নারী এলেন বাচ্চা প্রসবের জন্য। প্রসবের

পূর্বমুহূর্তে তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন।

প্রসব মুহূর্ত ঘনিয়ে এলে তাকে জানালাম,

আমি বাসায় যাচ্ছি, আর আপনার

বাচ্চা প্রসবের দায়িত্ব অর্পণ

করে যাচ্ছি অন্য এক ডাক্তারের হাতে।

মহিলা হঠাত্ কাঁদতে লাগলেন, দ্বিধা ও

শঙ্কায় চিত্কার জুড়ে দিলেন, ‘না না,

আমি কোনো পুরুষ ডাক্তারের সাহায্য চাই

না।

আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম। এ

অবস্থায় তার স্বামী আমাকে জানালেন,

সে চাইছে তার কাছে যেন কোনো পুরুষের

আগমন না ঘটে। কারণ সে সাবালক

হওয়া থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত তার আপন

বাপ, ভাই ও মামা প্রভৃতি মাহরাম পুরুষ

ছাড়া অন্য কেউ তার চেহারা দেখেনি।

আমি হেসে উঠলাম, তারপর চরম বিস্ময়

নিয়ে তাকে বললাম, অথচ আমি কিনা এমন এক

নারী আমেরিকান এমন কোনো পুরুষ নেই,

যা তার চেহারা দেখিনি। অতঃপর আমি তার

আবেদনে সাড়া দিলাম।

বাচ্চা প্রসবের পরদিন আমি তাকে সাহস ও

সান্ত্বনা দিতে এলাম।

পাশে বসে তাকে জানালাম, প্রসব-উত্তর

সময়ে দাম্পত্যমিলন অব্যাহত রাখার দরুন

আমেরিকায় অনেক মহিলা অভ্যন্তরীণ

সংক্রমণ এবং সন্তান প্রসবঘটিত

জ্বরে ভোগেন। অতএব আপনি এ সম্পর্ক

স্থাপন থেকে কমপক্ষে ৪০ দিন বিরত রাখবেন।

এ ৪০ দিন পুষ্টকর খাদ্য গ্রহণ ও শারীরিক

পরিশ্রম থেকে দূরে থাকার গুরুত্ব ও

তুলে ধরলাম তার সামনে। এটা করলাম

আমি সর্বশেষ ডাক্তারি গবেষণার ফলাফলের

নিরিখে।

অথচ আমাকে হতভম্ব

করে দিয়ে তিনি জানালেন, ইসলাম এ

কথা বলে দিয়েছে। প্রসব-উত্তর ৪০দিন

পবিত্র হওয়া অবধি ইসলাম স্ত্রী সহবাস

নিষিদ্ধ করেছে। তেমনি এ সময় তাকে নামাজ ও

রোজা থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে।

এ কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম।

বিস্ময়ে বিমূঢ় হলাম।

তাহলে আমাদের এত

গবেষণা আর এত পরিশ্রমের পর কেবল

আমরা ইসলামের শিক্ষা পর্যন্ত পৌঁঁছলাম!

আরেকদিন এক শিশু বিশেষজ্ঞ এলেন

নবজাতককে দেখতে। তিনি শিশুর মায়ের

উদ্দেশে বললেন, বাচ্চাকে যদি ডান

কাতে শোয়ান তবে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য

ভালো। এতে করে তার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক

থাকে।

শিশুর বাবা তখন বলে উঠলেন, আমরা সবাই

সর্বদাই ডান পাশ হয়ে ঘুমাই। এটা আমাদের

নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু

আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এ

কথাশুনে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম! এই

জ্ঞান লাভ করতে আমাদের জীবনটাই পার

করলাম আর সে কি-না তার ধর্ম থেকেই এ

শিক্ষা পেয়ে এসেছে!

ফলে আমি এ ধর্ম সম্পর্কে জানার সিদ্ধান্ত

নিলাম। ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনার জন্য

আমি এক মাসের ছুটি নিলাম এবং আমেরিকার

অন্য শহরে চলে গেলাম,

যেখানে একটি ইসলামিক সেন্টার আছে।

সেখানে আমি অধিকাংশ সময়

নানা জিজ্ঞাসা আর প্রশ্নোত্তরের

মধ্যে কাটালাম। আরব ও আমেরিকার অনেক

মুসলমানের সঙ্গে ওঠাবসা করলাম।

আলহামদুলিল্লাহ এর কয়েক মাসের মাথায়

আমি ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দিলাম।

বিষয়: বিবিধ

১৮৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File