২০১৪ সনের ন্যায় পুনঃরায় যেনতেন ভাবে নির্বাচন জয়ের যত চেষ্টা পর্ব ১
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৪:৪৫:৩৩ বিকাল
৩০শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সনের নির্বাচনে জয়ের জন্য যে ধরনের “ইবলিশী পরিকল্পনার” দরকার ছিল তার সবগুলই তৈরি এবং বাস্তবায়ন করে ছিল বর্তমান রেজিম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, এরশাদের জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক দর্শন আওয়ামী লীগের থেকে ভিন্ন হওয়া সত্বেও তাকে অর্থাৎ তার পার্টিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাদের পকেটে ভরতে সমর্থ হয় মূলত আইন আদালত ও বিচারের ভয় এবং ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে। একটি বিশেষ দেশ বাংলাদেশর প্রভাবশালী সব রাজনৈতিক সংগঠনের ভিতরে তাদের চর অনু প্রবেশ করিয়ে দিতে সমর্থ হলেও একটি মাত্র দলের মাঝে তাদের চরদের প্রবেশ করাতে ব্যার্থ হয় এবং সংগঠনিক ভাবে বাংলাদশে যারা সব চেয়ে শক্তিশালী । হ্যাঁ আমি আলোচনা করছিলাম বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সম্পর্কে। এই জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে থাকলে, বর্তমান সরকারের পক্ষে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থাৎ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ফিরে আসা যে অসম্ভব তা বুঝতে পেরে তারা তাদের প্লানের (Evil Plan) অংশ হিসাবে তাদের প্রভুদের পরামর্শে, আইন-আদালদ, প্রশাসন এবং পুলিশ ও তাদের দলের অস্ত্রধারী ম্যাসেলম্যানদের দ্বারা এই সংগঠনটিকে কার্যত নিস্কৃয় করে দিতে সমর্থ হয়।
বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বি এন পি কেও কার্যত নিস্কৃয় করে দিতে সমর্থ হয় বর্তমান রেজিম ঐ একই পদ্ধতি অনুসরণ করে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দুই প্রধান ব্যক্তিত্বকে নিস্কৃয় করে দেওয়ার মধ্যদিয়ে। খালেদা জিয়াকে পাঠানো হয় জেলে আর তারেক রহমানকে দেশ থেকে বিতারন করার মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রেও তারা জামাতে ইসলামীকে যে ভাবে নিস্কৃয় করে ছিল অর্থাৎ আইন আদালদ, প্রশাসন এবং পুলিশ ও তাদের দলের অস্ত্রধারী ম্যাসেলম্যানদের সাহায্যে; ঐ একই পদ্ধতি অবলম্বন করে।
যার ফলে নির্বাচন ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্ত মানুষ প্লান করে এক আর আল্লাহ প্লান করে আরেক, আর আল্লহর প্লানই হ’ল সর্ব শ্রেষ্ঠ প্লান। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও আমরা দেখি তাই ঘটেছে। আল্লাহ মজলুমের দোয়া কবুল করে একদল শক্তিশালী নেতার দ্বারা কার্যত “ইবলিশী পরিকল্পনার” দ্বারা নিস্কৃয় হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীকে পুনরায় সক্রিয় করে দেয়। ফলে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃষ্টি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবং তাদের সাহায্যকারী ঐ বিশেষ দেশটিতে। দিক বিদিক জ্ঞান হাড়িয়ে নির্বাচনে যেন তেন ভাবে জয়ী হওয়ার জন্য বিভিন্ন অনৈতিক এবং আইনের নামে বিভিন্ন আইন বহির্ভূত কার্যকালপ শুরু করে দেয়।
বিষয়: বিবিধ
৫৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন