বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও চাণক্যবাদীদের ষড়যন্ত্র
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৮:২১ বিকাল
বিভিন্ন তথ্য ঘেটে যা বুঝা যাচ্ছে তা হ’ল বাংলাদেশে সত্যকারের একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হল সবচেয়ে যে দেশ ব্যাপক ক্ষতির সস্মুখীন হবে –হ্যাঁ ভারত। কারন তারা বাংলাদেশের একটি অগণতান্ত্রিক সরকারকে চাপের উপর রেখে যে ফায়দা হাসিল করতে পারবে কিন্ত একটি গণতান্ত্রিক সরকার থেকে তার শত ভাগের এক ভাগও পারবে না। তার এই অংশ হিসাবে গত নির্বাচনের আগে চাণক্যনীতি অবলম্বন করে বাংলাদেশে যতে করে একটি জবাব দিহিতামূলক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হয়; কোন রাখ ঢাক না করে তারা প্রকাশ্যে জোরাল ভূমিকা পালন করে।
আসন্ন নির্বাচন ২০১৮, প্রকাশ্যে তাদের কোন ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তার অন্যতম কারন সম্ভবত বিজ্ঞ ডঃ কামাল সাফ্যলের সাথে বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী শক্তি (যথা ইসলাম পন্থী, বাম পন্থী এবং ডান পন্থী) কে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র উদ্ধারের স্বার্থ এক মঞ্চে নিয়ে আশা! বুঝাই যাচ্ছে এই পরিস্থিতির জন্য চাণক্যবাদী শক্তি মোটেই প্রস্তুত ছিল না। বলা চলে ডঃ কামাল তাদের বারা ভাতে ছাই ফেলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তারা উদীয়মান এই গণতান্ত্রিক শক্তির বিরোদ্ধে গোপনে গোপনে যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা ক্রমশ ইস্পট হয়ে উঠছে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় নিন্মের সংবাদটির কথা। “মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত এক প্রস্তাবে জামায়াতে ইসলামী (উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশে জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ বলতে কোন নিবন্ধিত দল নেই।) , ইসলামী ছাত্রশিবির ও হেফাজতে ইসলামকে বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা ও অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব গোষ্ঠীকে থামাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে (উল্লেখ্য এই মুহূর্তে বাংলাদেশে যে সরকার আছে তা নির্বাচনকালীন সরকার)। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধিসভায় গত ২০ নভেম্বর প্রস্তাবটি এনেছেন ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি জিম ব্যাঙ্কস। প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তা পাঠানো হয়েছে প্রতিনিধিসভার পররাষ্ট্র-বিষয়ক কমিটিতে।” সুত্র প্রথম আলো, ১লা ডিসেম্বর ২০১৮, অন লাইন সংস্করণ।
কেন জামাতে ইসলামীকে চাণক্যবাদীরা তাদের এক নম্বর আপদ মনে করে? তাদেরকে তাদের প্রধান আপদ মনে করার বহুবিধ কারন রয়েছে। যেমন, বাংলাদেশে অন্যান্য ইসলামী দলসহ ডান বাম সকল দলে তাদের চরদের অনুপ্রবেশ ঘটাতে সক্ষম হলেও জামাতে ইসলামীর ক্ষেত্রে ব্যার্থ। জামাতে ইসলামী সংগঠনিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী দল। বি এন পির আছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। হিসাব সহজ জামাতে ইসলামীর সহায়তায় বি এন পি সহজেই তার জনপ্রিয়তাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবে। কোনভাবে এই সহযোগিতা বন্ধ করা গেলে কেল্লা ফাতে, বিজয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই জন্যই তারা জামাতকে শেষ করে দেওয়ার জন্য বহু বিধ চেস্ট করে ছিল এবং সফলও হয়ে গিয়ে ছিল কিন্ত বিধিবাম ডঃ কামালের কুট চালে তাদের নিশ্চিত বিজয় আটকে গেছে!
আরেকটা উদাহরণ দেওয়া যাক। আতি সম্প্রতি বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্থানী এমব্যাসি থেকে একটি কম্পিউটার চুরি গেছে বলে খবর এসেছে। ভবিসতে এই চুরি যাওয়া কম্পিউটার উপর ভিত্তি করে জামাতে ইসলাম ও বি এন পিকে নিশানা করে জঙ্গিবাদ, সাম্প্রাদায়িকতা এবং পাকিস্থানকে জরিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ফেক নিউজ যে প্রচার করবে না তারই বা ভরসা কী? কৌশলী হওয়া ছাড়া নির্বাচনে বিজয় সুদূর পরাহত।
বিষয়: বিবিধ
৬৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন