নির্বাচন ও মুক্তিযুদ্ধ
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০২:১৭:০৭ দুপুর
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম প্রধান কারন ছিল পাকিস্তানী সামরিক জান্তার ব্রাহ্মবাদীদের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া এবং একটি অবাধ ও ফেয়ার ভোটের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যার্থতা। গণতন্ত্র, বাগ স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচার হল আমাদের মুক্তি যুদ্ধের চেতনা। আজকের বাংলাদেশে ন্যায় বিচার হল সোনার হরিণ, ডিজিটাল আইন সহ বিভিন্ন কালা কানুনের মধ্য দিয়ে বাগ স্বাধীনতাকে কবরে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। আর গণতন্ত্রের জায়গা দখল করে নিয়েছে ফ্যেসিবাদ। ফলে বর্তমান সরকারে উন্নয়নের যে কোন প্রচেষ্টার সাথেই জরিয়ে যায় দুর্নীতি ও অব্যাবস্থাপনা। ন্যায় বিচারের অভাবে সর্বত্র বিরাজ করছে জুলুম, নির্যাতন ও অস্থিরতা এবং অবিশ্বাস। এই পরিস্থিতির থেকে উত্তরণ একা কোন দল বা জোটের পক্ষে সম্ভব নয়। কেননা সরকারী দলের সদস্যদের/ সরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রাতারাতি গত দশ বছরের কালচার থেকে বের হয়ে আসা যেভাবে অসম্ভব। সেরূপ ভাবে বিরোধী জোট বা দল বা আপামর জনতার পক্ষে মক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা করাও অসম্ভব। কিন্ত হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। এই মুহুত্রে একমাত্র বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনই পারে এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে। কেননা আইন তাদেরকে দিয়েছে এই সুভিদা। তারা যদি সাহসী হয় এবং মেরুদন্ড সোজা করে রাখতে পারে তবেই তাদের পক্ষে একটি কারচুপি মুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব আর একটি কারচুপি মুক্ত নির্বাচন হল গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত। একবার গণতন্ত্রকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা গেলে, বাগ স্বাধীনতা ও ন্যায় বিচারকে পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। নির্বাচন কমিশনে কর্মরতদের প্রতি অনুরোধ বাংলাদেশকে কিছু দেওয়ার এটাই প্রকৃত সময়। অসুভ শক্তি বা সিস্টেমের পক্ষ অবলম্বন না করে বাংলাদেশর পক্ষ অবলম্বন করুন। আজকের বাংলাদেশ আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে রাখবেন মন্দ কাজ যেভাবে পিছ ছাড়ে না সেরূপ ভাবে ভাল কাজের ফলাফল কখনও ব্যর্থ হয় না।
বিষয়: বিবিধ
৬৩৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন