আল্লাহ্‌ সম্পর্কে ভুল আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ - দুই

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:০৩:২৯ সকাল

সুফী ইবন আল আরাবী আন্দালুসির মারফতী ‘ওয়াহাতুল ওজুদ’ এবং সুফী হোসেন বিন মনসুর হাল্লাজের মারফতী ‘হুলুল’ মতবাদ ভারত উপমহাদেশে কিছু অজ্ঞ আলেম, মুনাফিক এবং ইসলামকে ভারত উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে সর্বদা ফন্দী ফিকিরে লিপ্ত একদল লোকের হাতে মোক্ষম অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহিত হয়। যার অনিবার্য ফলাফল হ’ল, নবী করিম দেখানো তরিকত থেকে দূরে সরে যেয়ে নতুন পথ মত তথা ভিন্ন তরিকতের। ফলে এই অঞ্চলের মুসলিমরা নবী করিম দেখানো তরিকত অর্থাৎ ‘সিরাতূল মুস্তাকিম’ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে জড়িয়ে পড়ে এই সকল নতুন সৃষ্ট তরিকত বা পথের সাথে। আর অতি সহজেই কুরআন সুন্নার জ্ঞান শুন্য মুসলিম সমাজের অভ্যন্তরে বানের পানির মত হু হু ঢুকে পড়তে থাকে পৌত্তলিক বিশ্বাস ও কালচার। মুসলিম সমাজ তলীয়ে যায় শিরকের অতল গহ্বরে। সুতরাং স্পষ্টতই বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ্‌ সুবহানা তায়ালার হুকুম আহকাম অর্থাৎ নামাজ, রোজা, যাকাত ---- ইত্যাদি বিষয়গুল সম্পকর্কে জানা যথেস্ট নয় শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজকে ও অন্যানদেরকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই আমাদের আল্লাহর মারফত সম্পকে জানতে হবে।

আল্লাহ্‌ সুবহানা তায়ালার মারফত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পূর্বে আমাদেরকে সর্ব প্রথমে যে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কথাটি খেয়ালে রাখতে হবে তা হ’ল, “তাকে জানা যায়না এটাই বড় জানা”। কিন্ত তার মারফত সম্পর্কে যতটুকু বুঝ না থাকলে শয়তানের ফাঁদে ধরা পড়ার সমূহ সম্ভবনা আছে সেই বুঝটুকু আব্যশই আমাদের অর্জন করতে হবে। আল্লাহ্‌র মারফত সম্পর্কে না জানার ফলেই খ্রীস্টনরা ঈশা বিন্তে মরিয়মকে (আঃ) বলে আল্লাহর ছেলে (আউযুবিল্লহ) আর ইহুদীরা বলে ওজাইর (আঃ)কে । তবে এই ক্ষেত্রে আল্লার মারফত সম্পর্কিত এই জ্ঞান হতে হবে কুরআন ও সুন্নার আলোকে কোন ভাবেই সুফী আরাবী আন্দালুসি বা অন্য কোন পীর, সুফী, আলেমদের দেওয়া বুঝ নয়।

আল্লাহর মারফত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাটা আমাদের জন্য কতটা জরুরী তা নিন্মের বুখারী শরীফের হাদিসটি পাঠ করলেই বুঝতে পারব।

হাদীসঃ হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন-------- আল্লাহ্‌ সেদিন সকল মানুষকে একত্রে জমায়েত করে বলবেন, ইহজগতে তোমরা যে যার ইবাদত করেছিলে সে তার সাথে চলে যাও। সুতরাং সূর্যের ইবাদতকারী সূর্যের সাথে, চন্দ্রের ইবাদতকারী চন্দ্রের সাথে এবং মূর্তি ইবাদতকারী মূর্তির সাথে চলে যাবে। বাকী থাকবে এই উম্মতের লোকেরা, তাদের সাথে মুনাফিকরাও থাকবে। তারা আল্লাহ্‌ তায়ালাকে যে ভাবে জানত আল্লাহ্‌ তায়ালা তখন সে ভাবে না এসে অন্য ভাবে আসবেন এবং বলবেন আমি তোমাদের প্রভু। তারা বলবে আমরা আল্লাহর পানাহ চাই। আমাদের প্রভু না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই থেকে যাব; আমাদের প্রভু যখন আমাদের কাছে আসবেন তখন আমরা তাকে চিনে নেব। আতপর যে পরিচয়ে তারা তাকে চিনত সেই পরিচয়েই তিনি হাযির হয়ে বলবেন, আমি তোমাদের প্রভু। তখন তারা বলবে হ্যাঁ আপনিই আমাদের প্রভু। তখন তারা আল্লার অনুসরণ করবে।----

এখানে প্রশ্ন হ’ল আমরা যদি আল্লহর পরিচয়কে না জানি, না বুঝি তবে তবে সেই কঠিন সময়ে তাকে কিভাবে চিনব এবং তার অনুসরণ করার সৌভাগ্য লাভ করব?? তখন আমাদের এত সালাত, যাকাত রোজা, হজ্জ, দান সাদাকা কি উপকারে আসবে?

চলবে---

বিষয়: বিবিধ

৭৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File