বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার হুমকি দেখছে অস্ট্রেলিয়া

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০৪ নভেম্বর, ২০১৭, ০৫:২২:২৪ বিকাল

বাংলাদেশ বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভ্রমণ সতর্কতায় এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। ওই ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়, অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে থাকা নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। এজন্য, বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের সাবধানে চলাফেরা করতে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সতর্ক থাকুন ও আপনার আশপাশে কী ঘটছে সে বিষয়ে সজাগ থাকুন। বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার উচ্চ ঝুঁকি ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে

আপনার বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি পুনরায় চিন্তা করুন।

আমাদের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে যে, জঙ্গিরা বাংলাদেশে অবস্থানরত পশ্চিমা দেশের নাগরিকদের ওপর হামলা চালাতে পারে। বাংলাদেশে আপনাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন কোন অঞ্চল সন্ত্রাসী হামলার জন্য পরিচিত ও সেখানে কি ধরনের নিরাপত্তা সরবরাহ করা হয় সে সম্বন্ধে জেনে নিন।

প্রকাশিত ওই ভ্রমণ সতর্কতায়, ব্যবসায়িক এলাকা, আবাসিক এলাকা- আদালত, পররাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরকারি ভবন, সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বিভিন্ন কর্মস্থল, দূতাবাস, হোটেল, ক্লাব, রেস্তরাঁ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, ব্যাংক, প্রার্থনার জায়গা, রাজনৈতিক সমাবেশ, সিনেমা হল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাসটার্মিনাল, রেল স্টেশন, ঐতিহাসিক গুরুত্বসমপন্ন জায়গা ও পর্যটনকারীদের কাছে জনপ্রিয় এমন জায়গাগুলোকে সম্ভাব্য হামলাস্থল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, যদি আপনি বাইরে ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তাহলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বিষয়ক সাবধানতা অবলম্বন করুন। স্মার্ট ট্র্যাভেলারে (অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সেবা) আপনার ভ্রমণ রেজিস্টার করুন, গণমাধ্যমের ওপর নজর রাখুন ও অন্যান্য সম্ভাব্য নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি সম্বন্ধে সচেতন থাকুন। ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্থানীয় কর্তৃপক্ষরা উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে ও অভিযুক্ত সম্ভাব্য হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করছে। সাবধানে থাকুন ও সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংগঠিত কিছু সন্ত্রাসী হামলার বিবরণও দেয়া হয়েছে- তার মধ্যে, এ বছরের ২৪শে মার্চ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী একটি চেকপয়েন্টে চালানো আত্মঘাতী হামলা ও হলি আর্টিজান হামলার কথা তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যায়। আইএস ও আল-কায়েদা এদেশে ও ভারতীয় উপমহাদেশে চালানো বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে। এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী, সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী, মানবাধিকার- সমাকামী অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মী ও ব্লগার।

১০০% কপি-পেসট

বিষয়: বিবিধ

৭৭৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384379
০৪ নভেম্বর ২০১৭ বিকাল ০৫:৪৮
হতভাগা লিখেছেন : উনারা কি আমেরিকাতে এরকম কিছু পান না ? সেখানে তো প্রায় প্রতিদিনই কাহিনী চলতেছে ।
০৫ নভেম্বর ২০১৭ বিকাল ০৫:২২
317057
আনিসুর রহমান লিখেছেন : obviously they know that but both story are not same. The safety of their citizen are number one priority that is why they alert their citizen.
০৫ নভেম্বর ২০১৭ রাত ০৯:২৮
317060
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের চেয়ে আমেরিকা কি কম ঝুঁকিপূর্ণ ? অস্ট্রেলিয়ার কাছে আমেরিকা কি সেফটিপূর্ণ দেশ এত কাহিনী ঘটা সত্ত্বেও ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File