প্রধান বিচারপতি সিনহা উপ্যথানে আমাদের জন্য আনেক শিক্ষণীয় উপদেশ রয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ০৪:২৬:২৮ রাত
আমরা যদি ভারত উপমহাদেশের ইতিহাসকে নিয়ে গবেষণা করি, তবে পরিষ্কার ভাবেই বুঝতে পারব যে, আজকের বাংলাদেশ ভারতের অন্যান প্রদেশের ন্যায় একটি প্রদেশ না হয়ে, গৌরবের সাথে স্বাধীন সর্বভৌব রাষ্ট্র হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে তার একমাত্র কারন “ইসলাম”। তাই ভারত প্রেমীদের চোখে ইসলাম প্রেমীরা যে তাদের চক্ষের শূল তা বুঝতে বেশী বুদ্ধির দরকার পড়ে না।
আমাদের সস্মানিত মাননীয় সিনহা বাবুও তার চক্ষের শূল ইসলাম প্রেমী জামাতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের একে একে ফাঁসীর দড়ীতে ঝুলিয়ে দিয়েছে মিথ্যা অভিযোগকে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করে। এক ষড়যন্ত্রে সাফল্য পেয়ে দ্বিগুন উৎসাহে তার সমর্থক সরকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদেরকে ছুরে ফেলে দিয়ে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ্ মক্কী টাইপের একটি সরকার গঠনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল বলে বিভিন্ন আলামত দেখে প্রতীয়মান হয়। যেমন পূর্বের (অবিভক্ত ভারত) ন্যায় সংখ্যা লঘু সংখ্যা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে; সংখ্যা লঘু ইসুকে উস্কে দেওয়ার জন্য কেউ কেউ বলছে বাংলাদেশে সংখ্যা লঘুরা সংখ্যায় দুই কোটী, তিন কোটী , এমনকি নয় কোটী! ইত্যাদি
কিন্ত ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হল যে ভাবে মিথ্যা অভিযোগ এনে সে তার চক্ষের শূল ইসলাম প্রেমী জামাতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের একে একে ফাঁসীর দড়ীতে ঝুলিয়ে দিয়ে ছিল আজকে তাকেও এক রাশ অভিযোগের পাহাড় মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সত্য মিথ্যা আল্লাহই ভাল জানে।
আজকের খবরের কাগজে প্রধান বিচারপতি সম্পর্কিত কিছু নিউজ হলঃ
দেশ ছাড়ার আগে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নিজের শঙ্কার কথাও জানান এস কে সিনহা। প্রধান বিচারপতির এই বিবৃতি প্রকাশের ১৮ ঘণ্টার মাথায় সুপ্রিম কোর্টের দেয়া পাল্টা বিবৃতি ঘিরে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। বিরল এ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অর্থপাচারসহ ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে না পারায় আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বিচারকার্যে বসতে চাননি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। (দৈনিক মানব জমিন, ১৫/১০/২০১৭)
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতি উপস্থিত হলে তাদের কাছে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে উঠা ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সংবলিত দালিলিক তথ্যাদি হস্তান্তর করেন প্রেসিডেন্ট। এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির অনুরূপ কার্যভার পালনের দায়িত্ব দিয়েছেন। (দৈনিক মানব জমিন, ১৫/১০/২০১৭)
অর্থ পাচার, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ব্যতীত আপিল বিভাগের ৫ জন বিচারপতিকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানান। বিচারপতি মো. ইমান আলী দেশের বাইরে থাকায় তিনি সেখানে উপস্থিত হতে পারেননি। অপর চারজন; বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এবং বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দীর্ঘ আলোচনার এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সংবলিত দালিলিক তথ্যাদি হস্তান্তর করেন। তন্মধ্যে বিদেশে অর্থ পাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিচারপতি ইমান আলী ঢাকায় আসার পর ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি বৈঠকে বসে ১১টি অভিযোগ (সংযুক্তিসহ) বিশদভাবে পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, ওইসব গুরুতর অভিযোগগুলো প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করবেন। তিনি ওইসব অভিযোগের ব্যাপারে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তার সঙ্গে বসে বিচারকার্য পরিচালনা সম্ভব হবে না। সে অনুযায়ী, একই দিন বেলা সাড়ে ১১টায় অনুমতি নিয়ে প্রধান বিচারপতির ১৯, হেয়ার রোডের বাসায় সাক্ষাৎ করে বিশদ আলোচনা করেন। দীর্ঘ আলোচনার পরেও তার কাছ থেকে কোনো প্রকার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বা সদুত্তর না পেয়ে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতি তাকে সুস্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই অভিযোগের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তার সঙ্গে একই বেঞ্চে বসে বিচারকার্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করবেন বলে জানান। (দৈনিক যুগান্তর, ১৫/১০/২০১৭)
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, তাকে সরানোর বা বেঞ্চে না বসার ব্যাপারে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। বরঞ্চ প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে যেসব অভিযোগ রাষ্ট্রপতির কাছে শুনেছেন, অন্য বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সাথে বসতে অনীহা প্রকাশ করেছেন, অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়েছেন উনি ছুটি নিতে। ফলে দেশে ফিরে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ সুদূর পরাহত। (দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১৫/১০/২০১৭)
বিষয়: বিবিধ
৭৯৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্ত এই ধরনের গুরুতর আভিযোগ প্রমানিত হলে(বর্তমান সরকারের সাথে সমঝথায় না এলে যা প্রমানিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র) ভারত ছাড়া কোন গণতান্ত্রিক দেশেই তার স্থান হবে না। ইন্টারপোলের মাধ্যমে বাংলাদেশের জেলখানাই হবে তার স্থান। আর সে তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য কোন ব্যাবস্থা রেখে যাবে না এটা ভাবাও বোকামি বলে মনে করি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন