বার্মাতে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কেন দরকার?
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০৫:০৪:৫৫ বিকাল
বার্মা বা মিয়ানমার এমন একটি দেশ যা কাগজে কলমে গণতান্ত্রিক দেশ বলা হলেও, এখনও মুলত দেশটির শাসন কার্য পরিচালনা করছে সামরিক জান্তা। এই জান্তা ঐতিহাসিক সত্যকে গ্রহণ করতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। এই জন্তাই বার্মার নাম পরিবর্তন করে রেখেছে মিয়ানমার, আরাকানের নাম পরিবর্তন করে রেখেছে রাখাইন।
জাতিসংঘ থেকে বার্মাকে প্রাচীন নৃগোষ্ঠী রোহিঙ্গা নির্মূলের জন্য অভিযুক্ত করলেও এই জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইয়াং বলেছেন, ‘তারা রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করছে অথচ তারা কখনো মিয়ানমারের নৃগোষ্ঠী ছিল না। এটি ‘‘বাঙালি’’ ইস্যু। আর এই সত্য প্রতিষ্ঠায় আমাদের একতাবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সরকারি পেজে গতকাল শনিবার দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। (প্রথম আলো ১৭/০৯/২০১৭) । স্পস্টতই বুঝা যাচ্ছে তার এই গণহত্যার জন্য মোটেও অনুতপ্ত নয় বরং গর্বিতক!
এই জান্তা নির্মমভাবে রোহিঙ্গাদেরকে হত্যা করছে। তাদের বর্বরতা থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না।
তারা গনহত্যা চালানোর পর বধ্যভুমিতে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না, এমন কী মানবধীকার কর্মীদেরকেও না। ফলে তারা মিথ্যাচার করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতি নিয়ত মিথ্যা বলে যাচ্ছে।
তাই বার্মার প্রাচীন নৃগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নির্মূলের হাত থেকে রক্ষা করে তাদেরকে সকল ধরনের মানবিক ও নাগরিক অধীকারকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মিয়ারমার আভ্যন্তরে একটি ‘নিরাপত্তা জোন’ তৈরি কারা জরুরী। কেননা এই ‘নিরাপত্তা জোন’ শুধু যে রোহিঙ্গাদেরকে জীবন রক্ষা করবে তাই নয় বরং এটার মাধ্যমে মিয়ারমারের জান্তার উপর চাপ প্রয়োগ করে বার্মার প্রাচীন নৃগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের মানবিক ও নাগরিক অধীকারগুল হাসিল করা যাবে বলে আশা করা যায়।
এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে যে একমাত্র যুদ্ধ ছাড়া রাতারাতি এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান আশা করা বোকামি। আবার জান্তার উপর চাপ প্রয়োগ ছাড়াও দাবী আদায় করা যাবে না; আর মিয়ারমার আভ্যন্তরে একটি ‘নিরাপত্তা জোন’ কাজ করবে চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসাবে। অন্যথায় সময়ের সাথে সাথে আমরা রোহিঙ্গা নির্মূল ইস্যু পূর্বের ন্যায় আবার আমরা ভুলে যাব। ফলে অদূর ভবিসৎতে রোহিঙ্গারা আবারো গণহত্যার শীকার হবে তাতে কোন ভুল নেই।
বিষয়: বিবিধ
৬৬৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হাসুবুর নেতৃত্বে সমুদ্র বিজয়ের পর আমরা এবার ভূ বিজয় করবো।
মন্তব্য করতে লগইন করুন