সৌদির চেয়ে ইরান-তুরস্কের খাবার বেশি পছন্দ করছেন কাতারবাসী

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৩ জুন, ২০১৭, ০৪:৫৭:৫৯ বিকাল

সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের অবরোধের প্রেক্ষাপটে কাতারে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এতদিন কাতারের মোট খাদ্যসামগ্রীর ৪০ শতাংশ আমদানি করা হত সৌদি আরব থেকেই। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে কাতার-সৌদির সব সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।

কাতারকে পাঁচটি বিমান বোঝাই বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়েছে ইরান।

এমন প্রেক্ষাপটে কাতারের বাজারে প্রয়োজনীয় খাদ্য-পন্যের সরবরাহ কতটা আছে? তার দামই বা কতটা সহনীয় পর্যায়ে আছে?

কাতারের দোহায় একটি হোটেলে কর্মরত বাংলাদেশী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথম কয়েকদিন খাবারের দাম উর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন সেটি স্থিতিশীল হয়েছে।

ইরান এবং এবং তুরস্ক থেকে কাতারের জন্য খাদ্য পাঠানোর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, "প্রথম দুই দিন তো কেউ সাপ্লাই দিতে পারে নাই। ইরানও দিতে পারে নাই তুরস্কও দিতে পারে নাই। ওদের খাবারের গুণগত মানও সৌদি আরব থেকে ভালো। সবাই এখন এটাকে পছন্দ করছে।"

সৌদি আরবসহ আরো তিনটি উপসাগরীয় দেশ কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করায় ফল এবং সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তুরস্ক থেকে দুগ্ধজাত পণ্য আসছে কাতারে।

এ অবরোধের সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী খাদ্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কাতার সরকার হুশিয়ারি দিয়ে বলে খাদ্য মজুত করে দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আতিকুর বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘমেয়াদী হলে কম রোজগারের মানুষ সমস্যায় পড়তে পারে।

এক্ষেত্রে যাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম তাদের জন্য পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বরে তিনি আশঙ্কা করছেন।

"খাদ্য পণ্যের দাম বাড়ার কারণেই এর প্রভাব আসতে পারে, যেহেতু তাদের বেতন এক হাজার রিয়ালের কম। সাধারণত খাবারের জন্য প্রতিমাসে ৩০০ থেকে ৩৫০ রিয়াল খরচ করতে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৫০০ রিয়ালের উপরে চলে আসবে। এতে করে তাদের সমস্যা হতে পারে," বলছিলেন তিনি।

তবে যাদের রোজগার বেশি, তারা কোনো সঙ্কটে পরবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

কাতারের নাগরিকরা আশা করছেন দ্রুত এ সঙ্কটের সমাধান হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত সে ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এদিকে অবরোধের কারণে ওমান হয়ে পণ্য আমদানি শুরু করেছে কাতার।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেবার অভিযোগ এনে কাতারের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং আরো কয়েকটি দেশ।

যদিও সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগানোর অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে কাতার।

সূত্র : বিবিসি

100% copy past

নয়া দিগন্ত অনলাইন

১৩ জুন ২০১৭,মঙ্গলবার, ১২:২৫ | আপডেট: ১৩ জুন ২০১৭,মঙ্গলবার, ১২:৩৬

বিষয়: বিবিধ

৮৫৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383349
১৩ জুন ২০১৭ রাত ০৮:৪৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সৌদি আরব নিজেই খাদ্য আমদানি করে!!!
১৪ জুন ২০১৭ বিকাল ০৪:৫০
316531
আনিসুর রহমান লিখেছেন : সৌদি আরব খাদ্য আমদানী করে এটা কোন বড় বিষয় নয়। সৌদি আরবের বড় ঘাটতি রয়েছে ভাইয়ের প্রতি ঘৃনা করা আর তা এ জন্য যে তার ভাই (কাতার, ইরান----) তার সাথে সকল বিষয়ে একমত প্রসন করে না! সৌদি আরবের জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য নয় ভালবাসা আমদানী করা দরকার!!
383356
১৪ জুন ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৫২
হতভাগা লিখেছেন : কাতারকে ঈর্ষা করতেছে কারণ কাতার ২০২২ এ বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
২৩ জুন ২০১৭ দুপুর ০২:৪১
316565
আনিসুর রহমান লিখেছেন : কাতার সমস্যা সমাধানে নতুন সউদী ক্রাউন প্রিন্স ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান একমত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
>আনাদোলু নিউজ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File