মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদিনের Adolescence psychology জ্ঞান এবং প্রথম আলোর জেহাদ ও জঙ্গিবাদকে এক করে দেখানোর হিন চেষ্টা
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৭:৫১:৩২ সকাল
আমাদের ছুটীর দিনগুলতে অস্ট্রেলিয়াতে আমরা বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা মিলে দাঈীর কাজ করি । তার অন্যতম দুটি উদ্দেশ্য হল আল্লাহর নির্দেশকে পালন ও আমুসলীমদের কাছে ইসলামের সৌন্দযকে তুলে ধরা এবং মিডিয়ার অপপ্রচারের ফলে মানুষের মনে ইসলাম ও মুসলিম সম্পকে যে ভুল ধারনার সৃষ্টি হয়েছে তা ভেঙ্গে দিয়ে দল মত ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সমাজ গঠনে সহায়তা করা।
ইসলাম বিরোধী মিডীয়া অপপ্রচারের ফলে অধিকাংশ মানুষের মনে ইসলামের জেহাদ (The defence policy of a Islamic country) সম্পকে রয়েছে ব্যাপক আকারের ভুল ধারনা। জেহাদ সম্পকে ভুল ধারনার কারনে অনেকে কুরআনকে পর্যন্ত সন্ত্রাসী বই বলে থাকে (!!!!!) এবং প্রতিবারই এই একই বিষয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে থাকি। আলহামদুল্লীল্লাহ, তাদেরকে যখন ইসলামের জেহাদ (The defence policy of a Islamic country) সম্পকে বুঝিয়ে বলি, তখন তাদের Feed back হল, Guys you do the right thing, carry on, have a good day.
আমরা যখন প্রবাসে বসে মানুষকে একটি ইসলামিক দেশের ডিফেন্স পলেশি অর্থাৎ জেহাদ সম্পকিত মিডিয়া অপপ্রচার সম্পকে সচেতন করছি ঠিক তখন আমরা দেখছি বাংলাদেশের একটি ইসলাম বিরোধী ও ব্রাহ্মবাদ সমর্থক মিডীয়া জেহাদ সম্পকে গভীর ভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত। নিন্মে তাদের তাদের একটি আপপ্রচারের নমুনা তুলে ধরা হল।
পাঠ্যবই ও গাইডে জঙ্গিবাদে উসকানি (প্রথম আলো, ৯/১২/২০১৬)
প্রথম আলো ঃ মাদ্রাসার কয়েকটি পাঠ্যপুস্তক ও এর সহায়ক হিসেবে লেখা পাঁচটি প্রকাশনীর গাইড বইয়ে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়ার এবং অপব্যাখ্যা করার মতো লেখা রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার কোনো কোনো বইয়েও জিহাদ সম্পর্কে এমনভাবে লেখা রয়েছে, যা সঠিক নয় বলে মনে করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
প্রতারনা ১ ঃ ( জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়ার দেওয়ার মত কী লেখা রয়েছে? কেন আপনি মনে করছেন এই লিখা জঙ্গিবাদ উসকে দেবে? কী জন্য সঠিক নয় সে সম্পকে নীরব, তার কারন হল মানুষকে ভুল বুঝানর জন্য মানসিক ভাবে তৈরী করা।
প্রথম আলো ঃ এনসিটিবির এক যাচাই প্রতিবেদনে এসব তথ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ওই যাচাই করা হয়। গত বুধবার প্রতিবেদনটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন এনসিটিবির সদস্য রতন সিদ্দিকী।
এনসিটিবির সূত্র বলেছে, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত যেসব পাঠ্যপুস্তকে জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট বিষয় থাকতে পারে বলে অনুমিত, তেমন ৩০টিরও বেশি পাঠ্যপুস্তক এনসিটিবি কমিটি গঠন করে যাচাই করেছে। যাচাইয়ে কয়েকটিতে উসকানিমূলক ও অপব্যাখ্যা করার মতো তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
প্রতারনা ২ঃ কিন্তু কী ধরনের উসকানিমূলক ও অপব্যাখ্যা করার মতো তথ্য পাওয়া গেছে তার উল্লেখ নেই। তার কারন হল, জনতাকে মিথ্যাকে সত্য বলে গ্রহণের জন্য মানসিক ভাবে তৈরি করার পর, দ্বিতিয়া ধাপে তাদেরকে ভুল বুঝানর জন্য “ কান নিয়েছে চিলে” জাতীয় পলিসি অনুসরণ করে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠার শয়তানি প্রচেষ্টা।
প্রথম আলো ঃ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার সভাপতি ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ প্রথম আলোকে বলেন, জিহাদ সম্পর্কে শিশুপর্যায়ের বইগুলোতে যেভাবে বলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই হওয়া উচিত নয়। শিশুর মানসিকতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে। এ জন্য তিনি এনসিটিবিসহ যাঁরা এসব পাঠ্যপুস্তক তৈরির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রতারনা ২ঃ এখানে মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদকে একজন শেখ হিসাবে তুলে ধরে তার মাধ্যমে মিথ্যাকে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা, এই কথিত শেখ বলেছেন, জিহাদ সম্পর্কে শিশুপর্যায়ের বইগুলোতে যেভাবে বলা হয়েছে, তা কোনোভাবেই হওয়া উচিত নয়(কেন উচিত নয়?)। শিশুর মানসিকতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণেই এমনটি হয়েছে(কোন জ্ঞান?)। দুঃখের বিষয় হ’ল শিশুর মানসিকতা সম্পর্কে বিভিন্ন থিওড়ী যেমন, Psychosocial stage theory – Erik Erikson, Cognitive Development theory- Jean Piaget প্রভুতি আমাদের যে তথ্য দিচ্ছে তা এই কথিত শেখ মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসঊদ যা বলছে তার বিপরীত!!!
প্রথম আলো ঃ এনসিটিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘আল আকায়েদ ওয়াল ফিকহ’-তে জঙ্গিবাদ ও জিহাদ-সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। পুস্তকের ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় সশস্ত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, যা থেকে অপব্যাখ্যার সুযোগ রয়েছে।
প্রতারনা ৪ঃ এই ধাপে বইতে “জেহাদ” উপস্থাপনে পুস্তকের ৩৯ নম্বর পৃষ্ঠায় কোন ভুল খুজে না পেয়ে, বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের লেংগুর লীগিয়ে বলছে, বিষয় উপস্থাপন ঠিক হলেও এতে অপব্যাখার সুযোগ রয়েছে!! আমারদের কথা হল বিশ্বে এমন কোন বিষয় আছে যার অপব্যাখার সুযোগ নেই, খুজে দেখুন পাবেন না।
প্রথম আলো ঃ মাদ্রাসার নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ’-এ একটি পৃষ্ঠায় জিহাদ নিয়ে যা বলা হয়েছে তা সঠিক কি না, তা যাচাই হওয়া প্রয়োজন।
মাদ্রাসার নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ’-এ একটি পৃষ্ঠায় ( প্রশ্ন হল কোন পৃষ্ঠায়? প্রতারনা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে জনাব আপনিতো বিয়ের পৃষ্ঠার নম্বর দিতে ভয় পাচ্ছেন, আর পৃষ্ঠার বিষয় বস্তু উল্লেখতো অনেক পরের কথা ) জিহাদ নিয়ে যা বলা হয়েছে তা সঠিক কি না ( জেহাদ নিয়ে কী বলা হয়েছে? আর কেনই বা তা সঠিক নয়), তা যাচাই হওয়া প্রয়োজন (আর কী ই বা যাচাই করবেন!!!)।
প্রথম আলো ঃ সাধারণ শিক্ষার নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ‘ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা’-তে ‘জিহাদ’ নামে পাঠ রয়েছে। তাতে জিহাদের সর্বোচ্চ স্তর নিয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতারন ৫ঃ একই সমস্যা কী ব্যাখা দেওয়া হয়েছে? কেন তা সঠিক নয়? কেন? কেন?
প্রথম আলো ঃ প্রতিবেদনে বলা হয়, এনসিটিবি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রণীত ও প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে থাকা জিহাদ-সংশ্লিষ্ট পাঠের ভিত্তিতে রচিত বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের গাইডগুলোতে এমন কিছু ‘উদ্দীপক’ বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যা থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হতে পারে। মাদ্রাসা বোর্ডের পাঠ্যপুস্তকের ভিত্তিতে গাইড লেখার কাজে জড়িত লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ থাকতে পারেন, যাঁরা নিজেরাই জঙ্গিবাদী মানসিকতা ধারণ করছেন।
প্রতারনা ৬ঃ “উদ্দীপক’ বা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে” কী উদ্দিপক ব্যাখা দেওয়া হয়েছে? কেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হতে পারে???? কেন? কেন? কেন? কেন আপনি মনে করছেন, মাদ্রাসা বোর্ডের পাঠ্যপুস্তকের ভিত্তিতে গাইড লেখার কাজে জড়িত লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ থাকতে পারেন, যাঁরা নিজেরাই জঙ্গিবাদী মানসিকতা ধারণ করছেন? কেন কেন? তবে কী আপ্নারা চাচ্ছেন ইসলাম পন্থী জামাত নেতাদের ফাঁসিতে ঝুলানো পর এখন অন্যান্য ইসলামী নেতাদের ফাসিয়ে দেওয়া জরুরী হয়ে পরেছে, দেশ থেকে ইসলামকে ঝাটিয়ে বিদায় করার জন্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আল ফাতাহ পাবলিকেশন, আল ফালাহ পাবলিকেশনস, ইসলামিয়া পাবলিকেশনস, ইসলামিয়া কুতুবখানা, আল ইসলাম প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত গাইড ও বইয়ে জিহাদ বিষয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে জঙ্গিবাদ উসকে যেতে পারে।
অবশ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফ উল্ল্যাহ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, মাদ্রাসার পাঠ্যবইয়ে জঙ্গিবাদ উসকে দেওয়ার মতো লেখা নেই। তিনি বলেন, এরপরও যাতে কোনো লেখার কারণে শিশুদের মনে উসকানির সৃষ্টি না হয়, সে জন্য বইগুলো পরিমার্জন করে সুপারিশ এনসিটিবির কাছে দেওয়া হচ্ছে; যাতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা পরিমার্জিত বই পায়। ২০১৭ সালের বই ছাপার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া কোন গাইডে কী লেখা হয়েছে তা দেখার দায়িত্ব মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নয়।
সুপারিশ: এনসিটিবির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে, কোনটি জিহাদ আর কোনটি জঙ্গিবাদ
বিষয়: বিবিধ
১১৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটা তো দিনের আলোর মত পরিষ্কার কাদের অন্তরে ইসলাম, কুরআন ও ইসলাম প্রচারক এবং ওলেমাদের ব্যাপারে কুটিলতা রয়েছে। কারা ইসলামেকে অপব্যাখা করে জঙ্গিবাদকে উসকে দিচ্ছে মুসলমানদের ধবংস করার জন্য।
আল্লাহ রাহমানুর রাহীম মানুষকে সঠিক বুঝ দিন। আমি। আমিন
দেশটা সুফিবাদের দিকে যাচ্ছে। খানকা, মাজারে ছেয়ে যাবে।ফরিদ উদ্দীনরা দেশের
বড় ইমাম হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন