আমাদের পূর্ব পুরুষদের শত্রু-মিত্র পর্ব ২২

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:০৯:০৭ সন্ধ্যা

সৃষ্ট এই পীর-দরবেশ-সুফী অর্থাৎ মঙ্গল কাব্যের সাহায্য নিয়ে তৎকালীন এক আল্লাহবাদী মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত ও গুমরা করার জন্য, পিছনে বসে কারা কলকাঠি নাড়ছিল তা আবিষ্কারের পূর্বে আমরা আলোকপাত করবো; মঙ্গল কাব্যকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করে এক আল্লাহবাদী মুসলিম সমাজকে বিভ্রান্ত ও গুমরা করার উদ্দেশ্য সাধনে ব্রাহ্মবাদীরা কতটুকু সাফল্য অর্জন করেছিল।

ব্রাহ্মবাদীরা মানুষকে বিভিন্ন বর্ন বা শ্রেনীতে বিভক্ত করে ধর্মকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যাবহার করে বীনা বাধায় যে সুযোগ সুভিধাগুল বংশ পরস্পরায় ভোগ করে আসছিল তার বিরুদ্ধে সর্ব প্রথম চ্যেলেঞ্জ আসে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবতক সিদ্ধার্থ গৌতমার কাছ থেকে। কিন্ত তারা সে চ্যেলেঞ্জকে সাফ্যলের সাথে অতিক্রম করে শক্তিশালী সেন রাজাদের সহায়তায়। এই বিষয়ে আমরা পূর্বেই বিস্তারিত বলেছি।

কিন্ত মুসলমানরা যখন ভারতের শাসন ক্ষমতায় আসে, তখন তদেরকে শাসন ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার মত পরিস্থিতি বর্তমান ছিল না। কেননা মুসলমানরা তখন সুপার পাওয়ার ছিল, তখন তাদের খেলাফত বর্তমান ছিল। উদাহরণ স্বরূপ বলা চলে রাজা গণেশ মুসলমানদের কাছ থেকে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতা কেরে নেওয়ার পর প্রবল বাধার মুখে প্রাথমিক অবস্থায় তার ছেলেকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে তার কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এর পিছনে যার বিশেষ অবদান ছিল সে হল একজন ইসলাম প্রচারক, নায়েবে রসূল হযরত নুরে কুতুবুল আলম।

মুসলমানরা শাসন ক্ষমতা পাওয়ার পূর্বেই ইসলাম প্রচারকদের হাতে দলে দলে নির্যাতিত আমাদের পূর্ব পুরুষেরা ইসলাম ধর্মকে আপন করে নেয় কিন্ত যখন শাসন ক্ষমতা মুসলমানদের করতল গত হয় তখন তা ব্যাপক আকার ধারন করে। ফলে ব্রাহ্মবাদীরা এত দিন ধরে বংশ পরস্পরা যে সুযোগ সুভিধাগুল ভোগ করছিল শুধু তা হারায় তাই নয় বরং যাদেরকে তারা এত দিন নিন্ম শ্রনীর বলে ঘৃনা করত ও দূরে সরিয়ে রাখত এবং যাদের সাথে দাশসুলভ ব্যাবহার করত তাদের সাফল্য তাদের মর্ম পীড়ার কারন হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় ক্ষোপ। কিন্ত এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার মত তাদের কাছে কোন সর্ট-কাট পথ খোলা ছিল না। কেননা তাদের সামনে বাস্তব উদাহরণ হয়ে দাড়িয়ে ছিল, একজন মুসলিম খলিফা বা রাজা কিংবা বাদশা নয় একজন সাধারন নায়েবে রসূল, ইসলাম প্রচারক নুরে কুতুবুল আলমের ক্ষমতা। ফলে তারা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য দীঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করতে ব্যাধ্য হয়, যার ফসল হল মহাপ্রভু শ্রী শ্রী চৈতন্য দেব এবং তাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট মঙ্গল কাব্য। মহাপ্রভু শ্রী শ্রী চৈতন্য দেবের জীবন চরিত ও মঙ্গল কাব্য নিয়ে নাড়াচাড়া করলে এর পিছনে যে উদ্দেশ্য গুল দেখতে পাব তা হল

(ক) নায়েবে রসূল, ইসলাম প্রচারক নুরে কুতুবুল আলমের ন্যায় যত প্রভাশালী ইসলাম প্রচারক ছিল তাদের পরিচয়কে মানুষের উদ্ধে তুলে ধরে তাদের শিক্ষা এবং কুরবানীকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।

(খ) আমাদের পূর্ব পুরুষদের দলে দলে ইসলাম গ্রহণের অন্যতম মুল কারন বর্নভেদ প্রেথার বিকল্প ব্যাবস্থা বা পথ সৃষ্টি করা।

(গ) ব্যাপক হারে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে যাওয়া হিন্দুদের, বুদ্ধার অনুসারীদের ন্যায় পুনরায় সনাতন ধর্মে ফরিয়ে আনার জন্য প্রাথমিক অবস্থায়, না হিন্দু না মুসলিম (অধেক- অধেক) জন গোষ্ঠি তৈরি করা

(ক) নায়েবে রসূল, ইসলাম প্রচারক নুরে কুতুবুল আলমের ন্যায় যত প্রভাশালী ইসলাম প্রচারক ছিল তাদেরকে পরিচয়কে মানুষের উদ্ধে তুলে ধরে তাদের শিক্ষা এবং কুরবানীকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা।

বাংলাদেশের কাউকে যদি কয়েক জন দায়ী ইল্লেল্ললা বা নায়েবে রসুলের নাম বলতে বলা হয়, যারা অতীতে এখানে ইসলাম প্রচার করে ছিল তবে আপনি বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করবেন যে, তারা তা বলতে পারছে না। তবে কী এই দেশে কোন দায়ী ইল্লেল্ললা বা নায়েবে রসুল ইসলাম প্রচারের জন্য আসেনি। যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তবে প্রশ্ন হ’ল তারা কোথায় ভেলকী বাজীর মত উধাও হয়ে গেল? তার উত্তর হ’ল না তারা কেউ উধাও হয়ে যায়নি। আপনার আসে পাসেই আছে কিন্ত আপনি তাদের চিনতে পারছেন না করন তাদের পরিচয়কে পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের আমরা চিনি সুফী নামে এবং তাদে---

চলবে -----

বিষয়: বিবিধ

৯৮৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

379791
১৮ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২০
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতাহু পরম শ্রদ্ধেয় ভাইয়া।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিখা মাশাআল্লাহ্‌!

জাযাকাল্লাহু খাইরান।
১৯ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:০৮
314390
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for visiting my blog and your inspiring comment
379833
১৯ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১০:২৯
স্বপন২ লিখেছেন :
ভালো লাগলো / অনেক ধন্যবাদ
২০ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:৫৮
314408
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for your comment
379843
২০ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ০৬:৪৬
মোঃ আনোয়ার হুসাইন লিখেছেন : ঠিক বলেছেন
২১ নভেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৪
314481
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Thanks for visiting my blog and your inspiring comment.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File