ঈমান ও ইসলামবিধ্বংসী সিলেবাস বাতিল করুন : জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:২৪:০৬ সকাল

জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবন চরিত্র বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজন করা হয়েছে, যা ৯৫ শতাংশ মুসলমানের ঈমান ও আমলে চরম আঘাত। তিনি বলেন, গরুকে মা সম্বোধন করে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্ববাদ শিখানো হচ্ছে। দেবদেবীর নামে বলি দেয়া গরু বা পাঠা হালাল বলে শিখানো হচ্ছে। এভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময়ই বলে থাকেন আমি মুসলমান। আমি নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি এবং নাস্তিকদের ব্যাপারে বলেছেন ধর্মের ওপর আঘাত করলে আমারও গায়ে লাগে। কাজেই ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে কটুক্তি করলে ছাড় দেয়া হবে না। অপর দিকে শিা আইন, শিানীতির মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কার স্বার্থে। এসব অবিলম্বে বাতিল না করলে এবং কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের শেষ রা হবে না।

গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেস কাবের সামনে জাতীয় শিক ফোরাম ঢাকা জেলা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা: কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও মাওলানা নূর হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক ফোরামের সদস্যসচিব মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা বাছিরউদ্দিন মাহমুদ, মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, কওমি মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। সনদের স্বীকৃতি কারো দয়া নয়, বরং এটা তাদের অধিকার। তিনি নন-এমপিওভুক্ত শিকদের এমপিওভুক্তরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। বিজ্ঞপ্তি

100% copy past

বিষয়: বিবিধ

১১২১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

379666
১২ নভেম্বর ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৮
শফিউর রহমান লিখেছেন : সবারই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া দরকার। তা না হলে আমাদের পয়সায় আমাদের বাচ্চাদের জাহান্নামের রাস্তা প্রসন্ হবে। যার জন্য আমাদেরকেই দায়ী করবে ঐ সন্তানেরা বিচার দিনে আল্লাহর কাছে এই বলে যে, তারা আমাদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দেন নাই। কাজেই আমাদের অপরাধের জন্য তাদেরকেই আগে পাকড়াও করা হোক।
১৩ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৬
314328
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমি আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করার কোন কারন দেখছি না। বাংলাদেশের বর্তমান ইসলাম বিরোধী ফ্যাসিস্ট রেজীম কেন এবং কার ইশারায় আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা সেকুলার করনের নামে হিন্দুইজম শিক্ষা দিচ্ছে তা বুঝেতে মনে হয় না বেশী জ্ঞানের দরকার আছে। বিচ্ছিন্ন ভাবে আপনার আমার মত করে প্রতিবাদ হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। সস্মিলিত ভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গরে তোলার জন্য যোগ্যতা সম্পন্নদের আগাইয়া আসা দরকার বলে মনে করি।
379680
১৩ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১২:২০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : রামায়ন কি উপন্যাস হিসাবে পড়ান হবে না ইতিহাস!
১৩ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
314329
আনিসুর রহমান লিখেছেন : মঙ্গল কাব্যের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মবাদীরা মুসলমানদের মাঝে পৌত্তিলিকতার বীচ বপনের যে এজেন্ডা শুরু করে ছিল তা আজও বর্তমান আছে বাঙলী কৃষ্টি ও কালচারের নামে। এই চক্রান্তের জ্বালকে ছিন্ন করতে না পারলে, রামায়ন শুধু ইতিহাস ও সাহিত্য হিসাবেই থাকবে না বরং সময়ের সাথে সাথে বাংলার মুসলমানরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মুসলমানদের ন্যায় বিসমিল্লাহ্‌ নামে কোন কাজ শুরু না করে করবে হনুমান, রাম আর কৃষ্ণার নামে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File