জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৭:০১:২৮ সকাল
জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
নিউ ইয়র্কে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব জন কেরির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে সোমবার তিনি এ দাবি জানান।
জন কেরির সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে ওবামা প্রশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
একই সঙ্গে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন নওয়াজ শরিফ বলেন, কাশ্মীরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১২৭ জন মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
[u]এ সময় সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সংগ্রামে পাকিস্তানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন জন কেরি।[/u]
বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ ছাড়াও ছিলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত পাক দূত মালিহা লোধি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের ৭১তম সাধারণ সভায় শরণার্থী এবং উদ্বাস্তু নিয়ে বক্তব্য রাখবেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বুধবার আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে সরব হবেন তিনি।
উল্লেখ্য ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ব্রাম্যবাদী শক্তির নিপীড়ন নির্যাতনের ফলে কাশ্মীর আজ পরিণত হইয়েছে ভু-নরকে (জাহান্নামে)। কারফিউ, হত্যা খুন, গুম ধর্ষণ আজকের ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে পরিণত হয়েছে নিত্য নৈমিতিক ঘটনায়। মানবতা আজ সেখানে মাথা ঠুকে বার বার বিশ্ব বিবেকের কাছে বলছে, হে বিশ্ববাসী তোমরা আজ এই ব্রাম্যবাদী দানবকে ঠেকাও। আমরা মনে করি শুধু পাকিস্থানই নয় বা মুসলমানরা নয় বরং সকল বিবেগবান মানুষের এর বিরুদ্ধে সেচ্চার হওয়া উচিত।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাকিপ্রেমীদের এতে বুক ধক্ ধক্ করে উঠছে ।
হাসুবু ভারতের সাথে আছেন । বিশ্বে ভারতের প্রভাব পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশী।
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, আমি (আল্লাহ) তাদেরকে (ফেরাউন) নেতা করেছিলাম। তারা জাহান্নামের দিকে আহব্বান করত। (২৮:৪১)।
If somebody else love darkness, what can we do?? Yes we can do one thging that we love Allah and his messanger, we love light.
০ পাকিস্তান যদি সচেতনতা সৃষ্টি করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো তাহলে তো কথাই ছিল না । ঘটনা তো মোড় নিয়েছে ১৭ জন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্য মারা যাবার পর।
আপনি মনে হয় এই ঘটনাটা জানেন না ।
http://epaper.prothom-alo.com/view/dhaka/2016-09-19/1
গত ১৮ তারিখের ঘটনা এটা , যার ফলে পাকিস্তান এখন এই মার খায় তো সেই মার খায়।
আমার মনে হয় এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে অন্যকে বোকা বানানো অত সহজ বিষয় না। ভারত যত নোংরা চাল চালুক না কেন, আমার মনে হয় না তারা সফল হবে। কেননা সবাই বুঝে কারা প্রকৃত জুলুমকারী। এ ক্ষেত্রে হয়ত ভারত অন্য দেশ থেকে যে সমর্থনটুকু পাছছে তা শুধুই রাজনৈতিক কারনে। ভারতের অবস্থান বুঝার জন্য নীচের তথ্যগুলই যথেস্ট।
পাকিস্থান একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ভারতের এই অভিযগের বিষয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রী লী কেকিয়াং বলেন, “পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদের শিকার। কাশ্মীরে পাকিস্তানের ভালো অবস্থান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বুঝতে হবে।’ লি কেকিয়াং আরও বলেন, পাকিস্থানের পাশে রয়েছে চীন। যে কোন মঞ্চেই পাকিস্থান আর কাউকে পাশে না পান, চীনকে পাশে পাবেন সব সময়।’ সময়ই বলে দেবে কে মার খাবে তার জুলুমের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন