বাংলাদেশের সার্ব বৃহৎ ইসলামী দলের নেতার বৈচারিক হত্যাকান্ড ও বিশ্বব্যাপী তার প্রতিক্রিয়া ও ইসলাম পন্থীদের করনীয়
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৪ মে, ২০১৬, ০৫:০৭:০৫ বিকাল
আজকের বাংলাদেশ ইসলাম পন্থী তথা মুমিনদের জন্য এক ভয়ংকর মৃত্যু কূপ () হয়ে আবির্ভূত হয়েছ। শাপলা চত্ররে ইবাদতরত ও ঘুমন্ত আলেমদের উপর ঝাপিয়ে পরে হত্য বা গনহত্যা থেকে শুরু করে, জেল জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন ক্রমে ক্রমে বেড়েই চলছে। বাংলাদেশের স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনীর বই গুল থেকে তারা ধাপে ধাপে মুসলিম কালচারকে ঝাটিয়ে বিদায় করে তার স্থানে নাস্তিক্যবাদ ও অন্য একটি বিশেষ ধর্মের কালচারকে প্রতিস্থাপন করছে। সেই এজেন্ডার ধারাবাহিকতায় তার বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সার্ব বৃহৎ ইসলামী দলের সামাজিক ভাবে প্রভাবশালী নেতাদেরকে বিচারের নামে একে একে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করছে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সার্ব বৃহৎ ইসলামী দলের প্রধানকে বিচারের নামে হত্যা করার পর বর্তমানে বিশ্বব্যাপি চলছে প্রতিবাদের ঝড়।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ও অন্যান্য দেশের কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি দাবি করেন, এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তিরও লঙ্ঘন। সিনেটের প্রধান রাজা জাফারুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আর কাউকে ফাঁসি দিতে না পারে, সে জন্য মুসলিম দেশগুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।’
তুরস্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতীয় ইচ্ছা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী এরদোগান বলেন, ‘এটা মনযোগ আকর্ষণ না করে পারে না যে এমন একটি দেশে একজন ইসলামি নেতাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে যে দেশটি মূলত মুসলিম অধ্যুষিত এবং (সেখানে) মুসলিমরাই নিপীড়িত।’
‘আমরা নিপীড়িতের কণ্ঠস্বর হতে চাই,’ বলেন এরদোগান।
বিদেশে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদ জানালেও এরদোগানই হচ্ছেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর কোনো নেতা যিনি এ নিয়ে সবর হলেন।
নিজামীর ফাঁসি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে নিপীড়িত সম্প্রদায়ের পাশে যেসব দেশ দাঁড়ায় না তাদের সাথে নেই তুরস্ক।
এর আগে গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেছিলেন, মাওলানা নিজামী কোনো অন্যায় করতে পারেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। এ ছারাও বিশ্ব খ্যাত ইসলামী স্কলার ইউসুফ কারজাই, তারেক রমদান সহ অন্যান্য ইসলামী স্কলার এই হত্যার তীব্র প্রতীবাদ জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশীরা ব্যপক হারে তার গায়েবী জানাজায় অংশ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে এই হত্যার বিষয়ে তাদের মনভাব তুলে ধরে। বস্তুত মুসলিম দেশ গুলর সমস্যা সমাধানের জন্য অন্য মুসলিম দেশগুলকে অন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে, এক্ষেত্রে সৌদী-তুরস্কের নেতৃীতাধীন জোট একটি উল্লখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে এবং বাংলাদেশের ইসলাম পন্থীদেরও একটি উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা থাকতে হবে এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য। অবশ্য একমাত্র দেশ ভারত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসিকে সমর্থন দিয়েছে । আর ভারতের উগ্রবাদী হিন্দুরা মুসলমানদের ধ্বংসের বাসনায় আমেরিকার প্রসিডেন্ট পদপ্রাথি ট্রম্পের জন্য পূজা অর্চনা করার সংবাদ পাওয়া গেছে।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধিক্কার দেই ফাসেক সৌদি বাদশাহদের যারা বোবা হয়ে আছে l
বোবা বললে ভুল হবে, ওরা তেরো নাম্বার বিয়ের জন্য কনে খুজতে ব্যস্ত l
নতুন বিবির খেদমত নিতে ব্যস্ত l
ওদের কি আর কার কোথায় ফাসি হচ্ছে তার খবর নেবার সময় আছে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন