আমাদের পূর্ব পুরুষদের শত্রু-মিত্র পর্ব ৩
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০১ মে, ২০১৬, ০২:৪২:৪৯ দুপুর
মুসলিম সেনাপতিদের দ্বারা এই অঞ্চল বিজয়ের মাধ্যমে:
বাংলার হিন্দু সেন রাজারা এসে ছিল দক্ষিণ ভারতের কর্ণাট থেকে। শক্তিশালী সেন রাজা বিজয় সেন পালদের থেকে ক্ষমতা নিয়ে পুরা বাংলাতে তার নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেন। এই জন্য পালদের সময়ে রাধাতে স্বাধীন ভাবে শাসন কারয পরিচালনা কারী রাজা হেমান্ত সেনকে, সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা না বলে অনেকে বিজয় সেনকে, সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা বলে থাকে। বিজয় সেন ছিল এক জন গোঁড়া হিন্দু এবং সে কঠোরভাবে হিন্দু বর্ণভেদ প্রথা অনুসরণ করত। সে বৌদ্ধ ধর্ম সহ অন্যান ধর্ম মতের প্রতি ছিল অসহিসনু এবং কঠোর ভাবে সনাতন ধর্মের অনুসরণ করত। তার সময়ে সংস্কৃত ভাষার প্রভুত উন্নতি সাধিত হয়। সে একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন
বাংলাতে সেনদের রাজত্ব কালে বুদ্ধার অনুসারীরা চরমভাবে অত্যাচার নিপীরন নির্যাতনের শিকার হন। তারা বুদ্ধের অনুসারীদের হত্যা করত অত্যান্ত বর্বর ভাবে। নালান্দা থেকে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা জায় যে, হিন্দু রাজারা শ্যামপুর বৌদ্ধ বিহারের কিছু অংশ পুরিয়ে দিয়ে ছিল। হিন্দু রাজা সেনদের রাজত্ব কালে বুদ্ধার অনুসারীদের উপর যে নির্যাতনের ষ্টীম রোল চালানো হয়ে ছিল তার একটি পরিস্কার চিত্র আমরা পাই তারানাথ নামক এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর বর্ণনা থেকে। এই তারানাথ মুসলিম জেনারেল ইখতার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ারের বংলা আক্রমনের সময় বাংলা ভ্রমণ করে ছিলেন, তার বর্ণনা থাকে জানা যায় যে, মুসলিম জেনারেল ইখতার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ারের বংলা আক্রমনের সময় বাংলের বৌদ্ধরা তাকে স্বাগত জানিয়ে ছিল এবং তাকে সাহায্য করে ছিল।
হিন্দুদের হাতে এই অঞ্চলের নিপীড়িত নিরযাতিত অধিবাসীরা, বিশেষ ভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও নিন্ম বর্ণের হিন্দুরা কোন দৃষ্টিতে বাহিরাগত শক্তি মুসলমানদের আগমনকে এবং তাদের বিজয়কে দেখেছিল এবং কেন তাদের স্বাগত জানিয়ে ছিল তার পরিষ্কার চিত্র পাই আমরা তৎকামীন সমসাময়িক সাহিত্যে। কবি রামাই পণ্ডিত তার রচিত কবিতা “নিরঞ্জনার রুকসামা” তে কিভাবে হিন্দুদের হাতে এই অঞ্চলের নিপীড়িত নিরযাতিত অধিবাসীরা বাহিরাগত শক্তি মুসলমানদের আগমনকে দেখেছিল এবং স্বাগত জানিয়ে ছিল তার একটি সুন্দর চিত্র এঁকেছেন। কবির মতে তাদের উপর দুষ্ট ব্রামনদের নিপীড়ন নির্যাতন সয্য করতে না পেরে তাদের দেবতারা মুসলিম যোদ্ধা, ওলেমা ও সূফী রূপ ধরে এই ধরাতে আসেছে, অশুভ শক্তিকে ধবংশ করে তাদের উদ্ধারের জন্য।
চলবে-----
বিষয়: বিবিধ
১৭৯৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের আদি অধিবাসিদের উত্তর ভারতিয় অার্যরা সবসময় শুদ্র হিসেবেই বিবেচনা করত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন