মুসলিম বিশ্বের সঙ্কটে অন্যদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না দিয়ে নিজেদেরই হস্তক্ষেপ করা উচিত--তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:১৪:০৭ দুপুর
ন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ইসলামি সম্মেলনে সংস্থার (ওআইসি) অধীনে একটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওআইসির ত্রয়োদশ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ প্রস্তাব দেন।
‘আরো একবার আমি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি পর্যালোচনার আহ্বান জানাই। মাঠে যেমন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই প্রয়োজন তেমনি এসব সংগঠনের আর্থিক ও জনশক্তিকেও টার্গেট করে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’
‘সেজন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য। ওআইসির অধীনে একটি সংস্থা গড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সহযোগিতা মজবুত এবং প্রাতিষ্ঠানিক করা হবে একটি সঠিক পদক্ষেপ।’
১৯৬৯ সালে ওআইসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এবারই প্রথম তুরস্কে সংস্থাটির শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে তুরস্ক।
এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।
এরদোগান বলেন, মুসলিম বিশ্ব এখন সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি তা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। তিনি আফগানিস্তানে আল কায়েদার হাতে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর নিন্দা জানান।
‘এখন দায়েশ (ইসলামিক স্টেট) ইরাক ও সিরিয়ার কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে এবং লিবিয়ায় নিয়ন্ত্রণ পেতে একই নোংরা পদ্ধতি অনুসরণ করছে। আমরা দেখছি বোকো হারাম এবং আল শাবাব আফ্রিকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাচ্ছে। কিছু হামলা বাদ দিলে এসব সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো মুসলিমদেরই ক্ষতি এবং নিপীড়ন করছে।’
এরদোগান বলেন, এসব সংগঠন ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না।‘আমাদের ধর্ম হচ্ছে শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম।’
এরদোগান বলেন, মুসলিম বিশ্বের সঙ্কটে অন্যদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না দিয়ে নিজেদেরই হস্তক্ষেপ করা উচিত।
তিনি সাম্প্রদায়িতাকে পরিহার করার আহ্বান জানান।
আমার ধর্ম সুন্নীও নয়, শিয়াও নয়। আমার ধর্ম ইসলাম,’ বলেন এরদোগান।
100% Copy Past
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমেরিকা ও সৌদীর অবৈধ সম্পর্কের ডিসিপটিভ সন্তান ওআইসি - যার দায়িত্ব নিয়ে এরদোগান মুসলিম ল্যান্ডে অকোপাইড ফোর্সকে বিনা বিচারে হত্যা ও তাদের সম্পত্তি লুন্ঠন করার নতুন লাইসেন্স দেবার আহ্বান জানালো।
এরদোগান এর আজকের কথা - সচেতন মুসলমানের কানে বুঝিবা ১৪০০ বছর আগে ওহুদের যুদ্ধে যাবার আগে মসজিদ এ নববীতে আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর দেওয়া পরামর্শের সমার্থক যেন।
যেমনঃ এরদোগান বলেন, এসব সংগঠন ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না।‘আমাদের ধর্ম হচ্ছে শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম।’
ঠিক। ওনাদের ধর্ম আর আমেরিকার ধর্ম হল শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম।
মুসলমানের ধর্ম হল অন্যায়কে অন্যায় বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট করা, ন্যায়ের জন্য জীবন দেওয়া। যারা অন্যের দেশ ও সম্পদ লুন্ঠন করে, যারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে ইরাক, লিবিয়াকে ধ্বংশ করে - তাদের বিরুদ্ধে ফাইট করা ইসলাম। ওয়াশিংটন আর তেলআবিবের পা চাটা এরদোগানের ধর্ম হতে পারে, মুসলমানের না।
শুধু ইসরাইল, আমেরিকা কেন বরং সকল অমুসলীমরা ইসলামের শত্রু। প্রধান এই দুই দলকে কুরআনে হিজবুর রহমান (মুসলিম) এবং হিজবুর শয়তান(অমুসলিম) বলে উল্লেখ করেছে। আপনি এমন কোন মুসলিম নেতাকে পাবেন না যার বিরুদ্ধে লোকেরা সমালচনা করে নাই। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় হযরত উসমান () যাকে তার জীবন দশায় নবী করীম () জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছে তার বিরুদ্ধেও তার শ্ত্রুরা বিভিন্ন অভিযোগ এনে তাকে খলিফার পদ ছেরে দিতে বলেছে এমন কী তাকে হত্যা পর্যন্ত করেছে। যারা তার বিরুদ্ধ অভিযোগ এনেছিল তারা অমুসলিম ছিল না। সেখানে এরদোগানতো কোন ব্যাপার না। মনে রাখবেন রাজনীতি কোন সাদা-কাল বিষয় না। যে এরদোগান ইসরাইলের বিরোধিতা করেছে, ত্রান নিয়ে তার লোকেরা ইসরাইলে গিয়েছে, ইসরাইলীদের হাতে তার লোকেরা গুলী খেয়ে মারা গেছে, এমন কি এরদোগান নিজে স্বয়ং সেখানে যেতে চেয়েছে, সেই এরদোগানের টার্কি আজ ইসরাইলের সাথে কুটনৈতিক সম্পক স্থাপন করেছ!! এটাই রাজনীতি। এর পছে নিশ্চয় কোন মুসলমানদের জন্য কল্যাণ কর উদ্দেশ্য সে মনে করছে। তাই আমি মনে করি রাজনৈতিক কারনে কোন ইসলামী নেতর বিভিন্ন কাজের বা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করা ঠিক কারন সে এক জন মানুষ সুতরাং সে ভুলও করতে পারে কিন্ত কিন্ত তাকে মুনাফিক বলা বা শত্রু মনে করা ঠিক না।
এরদোগান শত প্রতিকুলতার মাঝেও তার দেশকে ধীরে ধীরে ইসলামীকরন করছে। এটা প্রমান করে সে ইসলামের জন্য কাজ করছে। এর বিপরীতে আপনি শেখ হাসিনাকে দেখেন, তুলনা করেন, আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পারবেন পার্থক্যটা কত বিরাট বিশাল।
এখানে এরদোগান সন্ত্রাসী গুষ্টি গুলর সাথে ইসলামের কোন সম্পক নেই বলেছ। এর মাঝে আপনি কী খারাপ দেখলেন বুঝতে পাড়লাম না!
ওনাদের ধর্ম আর আমেরিকার ধর্ম হল শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম!!! এই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা বুঝতে পাড়লাম না।
আপনার এই কথার সাথে দ্বিমত হওয়ার কোন কারন দেখছি না। কিন্ত এই সমস্যার সমাধান আপনি যত সহজ ভেবেছেন আসলে কী ততটা সহজ? আজকে মুসলমানদের বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান একটি কারন হল আপনার মত করে সহজ ভাবে সমস্যার সমাধান খোঁজা।
এই ধরনের সমস্যার সমাধান নবী করীম () কিভাবে করেছে তা নিয়ে আমরা চিন্তা গবেষণা করলে, অবশ্যই আমরা নিজেদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটাতে পরব বলে মনে করি। দয়া কর নবী () দীঘ ১৩ বছর মক্কা জীবন দেখুন। আপনাকে আবার ধন্যবাদ জানাই ইসলাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য, যদিও আপনার সাথে একমত নই। এই মতভিন্নতা সব সময় ছিল, আছে থাকে। আলোচনা ও সমালোচনা এর মধ্যদিয়েই আমরা সঠিক পথ খুজে পাবো বলে আমি মনে করি।
আমি দুঃখিত এই জন্য যে আপনি আপনার এ লিখায় এরদোগানের রাজনীতিকে - এ্যাজ ইফ ইসলামে গ্রহনযোগ্য - এমন একটি ইম্প্রেশান হতে উপস্থাপন করেছেন সেখানে আমি অনুভব করছি ভদ্রলোক পুরো কাজটিই করছেন অনৈসলামিক একটি পদ্ধতিতে উম্মাহকে বিভক্ত ও দূর্বল করার নিমিত্তে। আমি অধুনা রাজনীতির যে প্রাকটিস ইস্ট ওয়েস্ট এ দেখছি ও তার যে সংজ্ঞা পড়ছি তাতে ঐ রাজনীতিকে ইসলামের দৃষ্টিকোন ও জাজমেন্ট এ হারাম বা অবৈধ বলেই অনুভব করছি।
Full Definition of politics
1
a : the art or science of government
b : the art or science concerned with guiding or influencing governmental policy
c : the art or science concerned with winning and holding control over a government
2
: political actions, practices, or policies
3
a : political affairs or business; especially : competition between competing interest groups or individuals for power and leadership (as in a government)
b : political life especially as a principal activity or profession
c : political activities characterized by artful and often dishonest practices
4
: the political opinions or sympathies of a person
5
a : the total complex of relations between people living in society
b : relations or conduct in a particular area of experience especially as seen or dealt with from a political point of view
আপনি জাজমেন্ট করুন।
আপনি লিখেছেন, 'এর পছে নিশ্চয় কোন মুসলমানদের জন্য কল্যাণ কর উদ্দেশ্য সে মনে করছে। -------এরদোগান শত প্রতিকুলতার মাঝেও তার দেশকে ধীরে ধীরে ইসলামীকরন করছে। এটা প্রমান করে সে ইসলামের জন্য কাজ করছে'।
>>>>> আপনি অনুমান করছেন যে তিনি হয়তো এর মাধ্যমে মুসলমানের জন্য কল্যানকর কিছু করছেন। অথচ আপনি দেখতে পাচ্ছেন না যে, তিনি সিরিয়ায় আল নুসরা সহ অসংখ্য প্রক্সি বাহিনী তৈরীতে - ইউ এস ও ন্যাটোকে সহযোগীতা করছেন, তথাকথিত আই এস কে সহযোগীতা করছেন এবং এর মাধ্যমে গত ৫ বছরে অনাহুদ লক্ষ লক্ষ নিরাপরাধ মুসলমানকে হত্যা করছে, তাদের সহায় সম্পদ ধ্বংশ করছে?
আপনি ভদ্রলোকের অনুসৃত নীতি ও নৈতিকতার সীমা অতিক্রমকে দেখতে পাচ্ছেন না। ভদ্রলোকের স্টেইটমেন্ট ও এ্যাকশান এর কারনে তুরস্কের দূর্বল অবস্থান ও ওয়েস্ট কর্তৃক এ্যানস্লেইভমেন্ট দেখতে পাচ্ছেন না? একজন শাসক যখন অনৈতিকতার চুড়ান্ত হয় - তখন তিনি দূর্বল হন। ফলাফল হল তখন তিনি তার দেশের মানুষকে মারতে বাধ্য হন - যা আমরা দেখছি কূর্দীদের উপর কার্ফিউ জারী করে হত্যার সচিত্র নিউজ ও ভিউজ সমূহ হতে।
ব্যাক্তিগতভাবে ইসলাম এর আলোকে শেখ হাসিনাদের তুলনা করতে আমার রুচিতে বাঁধে। আমি মনে করি তিনি কমপ্লিটলী অনৈসলামি একটি স্বত্তা - ইসলামে এর কোন অবস্থান নেই।
এখানে এরদোগান সন্ত্রাসী গুষ্টি গুলর সাথে ইসলামের কোন সম্পক নেই বলেছ। এর মাঝে আপনি কী খারাপ দেখলেন বুঝতে পাড়লাম না!
>>>>>>>>> যে আমেরিকান এ্যাডমিনিস্ট্রেশান শতভাগ ভূয়া ৯/১১ মূলতঃ ১০/১১/২০০১ এর দোহাই দিয়ে আফগান ধুলিস্যাৎ করলো, ডব্লিউ এমডি নাম দিয়ে ইরাক ধুলিস্যাৎ করলো, আরব স্প্রীং নাম দিয়ে লিবিয়া ও মিশরকে ধুলিস্যাৎ করলো - সেই আমেরিকার সাথে সুর মিলিয়ে আমেরিকান সার্টিফাইড সন্ত্রাসীকে এরদোগান সন্ত্রাসী বলবে - আর আপনি বলছেন - আমাদের তা কোন রকমের বাছ বিচার না করে মেনে নিতে?
আমাদের কবে চোখ খুলবে, কবে আমরা এ্যানালিটিক্যাল হতে পারবো?
আপনি বললেন, ‘আমাদের ধর্ম (ইসলাম) হচ্ছে শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম।’ এই বিষয়ে সকল ইসলামী চিন্তাবিদ একমত। এর মাঝে আপনি কী খারাপ দেখলেন বুঝতে পাড়লাম না!
>>>>> আমি খারাপ দেখছি এই ফ্যাক্টস সমূহের আলোকেঃ
১। আমেরিকা, ন্যাটো, ইসরাইলী ও ভারতীয় ভীনদেশীয় ফোর্স যখন সিস্টেমেটিক্যালী অন্যদেশে প্রবেশ করে কিংবা ড্রোন দিয়ে সাধারন নারী পুরুষ ও শিশুদের হত্যা, ধর্ষন করে, তাদের সহায় সম্পদকে ধ্বংশ করে, তাদেরকে উচ্ছেদ করে, নিজেদের টেইলর মেইড আইন এর দ্বারা আল্লাহ পূজারী নেতৃবৃন্দকে তথাকথিত বিচারের নামে হত্যা করে - তখন এই সব স্কলার রা কোরান ও হাদীসের আদেশকে অমান্য করে কিংবা লুকিয়ে রেখে - নিজে ও নিজের অনুসারী-দেরকে - সে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানায় না, আল্লাহ অপেক্ষা এ সব জালেম দের অধিক ভয় পায়, এবং এ সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট করা ক্ষেত্র বিশেষে ফরজ / ওয়াজেব হওয়া স্বত্তেও - আল্লাহর শত্রউ বৃটিশদের, মাহাত্মা গান্ধি, মার্টিন লুথার কিং কিংবা নেলসন ম্যান্ডেলার সুন্নাহ অনুযায়ী পন্য বয়কট, বিক্ষোভ মিছিল, ধর্মঘট ইত্যাদি করতে আহ্বান জানায়। এ জন্য ফাইট করে প্রত্যেক মুসলিমকে জান্নাত নিশ্চিত করতে আহ্বান না জানিয়ে - যারা তাদের মা বোনের ইজ্জত রক্ষার জন্য, যারা তাদের বসতভিটা ও ফসলাদি রক্ষার জন্য, যারা তাদের শরীয়াহর জন্য ফাইট করে তাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিচ্ছে।
২। তারা তাদের বিবেক ও বুদ্ধিকে সিএনএন, আল জাজিরা বিবিসির কাছে বন্ধক দিয়ে জায়োনিস্ট জিয়ুস-খৃষ্টান-হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-এ্যাথিস্টদের সাথে সুর মিলিয়ে সিআইএ, এম আই সিক্স, মোসাদ পরিচালিত, হলিউড ও ভলিউড ইত্যাকার দ্বারা তৈরী করা ইসলামিক টেররিজম, আলকায়েদা, বোকো হারাম, আই এস ইত্যাদি প্রক্সি ও ভূয়া সন্ত্রাসী সংগঠন নামক মূভিকে কোরান ও হাদীসের মত ফ্যাক্টস শিরধার্য করে মুসলিমদের লেজিটিমেট রেসিসটেন্সকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম আখ্যা দিচ্ছে।
৩। যে চিন্তাবিদ ঝড়ের মুখে ছাতা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কথা বলেন - সে চিন্তাবিদ আর যাই হোক ইসলামী চিন্তাবিদ নন। আপনি দেখুন মক্কার কোরাইশরা রাসুলুল্লাহ সঃ কে শান্তি ও সমঝোতার নিমিত্তে একের পর এক কত গুলো প্রস্তাব দেয়? স্যেকুলার আন্ডারস্ট্যান্ডিং এ তার একটা ও ফেলে দেবার মত ছিল না। আর স্যেকুলার সেন্স এ রাসুলুল্লাহ সঃ শান্তি ও সমঝোতার নিমিত্তে মেনে নিলে ওনার সাহাবীদের অত অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করতে হত না। ওনার সাহাবীদের সম্পদ হানী হত না। ওনাদেরকে মাইগ্রেট করতে হত না।
কিন্তু আল্লাহ ক্লিয়ার করে বলেছেন সূরা কাফিরুন এ। আবার অন্যত্র রাসুল সঃ ইয়াহুদীদের সাথে ও সমরূপ সমঝোতা করতে পারতেন শান্তির নিমিত্তে তাদের মধ্য হতে আসা চৌকস আর্মিকে এ্যালি হিসাবে ওহুদের যুদ্ধে নিতে পারতেন - কিন্তু তিনি নেন নি।
তিনি শান্তি ও সমঝোতার নিমিত্তে মক্কার ক্যারাভান হান্ট না করেও থাকতে পারতেন মদীনাতে। কিন্তু তিনি তা করেন নি। বরং আল্লাহ ওনাকে আদেশ দিয়েছেন সূরা তওবাতে ফাইট করতে - তাদের বিরুদ্ধে যারা বাড়ী হতে উচ্ছেদ করেছে ইত্যাদি।
4. সো যে প্রেক্ষিতের আলোকে, যে শক্তির সাথে সুর মিলিয়ে আজকের যুগের ভোগ বিলাসে লিপ্ত মাল্টি মিলিয়নিয়র, স্টার জনপ্রিয়তায়, সিএনএন আলজাজিরা দ্বারা লালিত ও পালিত - আলেম ওলামা ইসলামকে শান্তি ও সমঝোতার ধর্ম বলছে তার সাথে আমি মোহাম্মদ সঃ এর উপর নাযিলকৃত কোরান ও তার সুন্নাহ র কোন সম্পর্ক দেখছি না। আমি বরং ক্লিয়ারলী দেখছি যে ইসলাম টেন ডাউনিং স্ট্রিট কিংবা হোয়াইট হাউজ প্রমোট করতে চাইছে সে ইসলামের ক্লিয়ার মিল।
''' মুসলমানের ধর্ম হল অন্যায়কে অন্যায় বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফাইট করা, ন্যায়ের জন্য জীবন দেওয়া। যারা অন্যের দেশ ও সম্পদ লুন্ঠন করে, যারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে ইরাক, লিবিয়াকে ধ্বংশ করে - তাদের বিরুদ্ধে ফাইট করা ইসলাম। ওয়াশিংটন আর তেলআবিবের পা চাটা এরদোগানের ধর্ম হতে পারে, মুসলমানের না।
আপনার এই কথার সাথে দ্বিমত হওয়ার কোন কারন দেখছি না।****
আর তারপর বললেন, ''কিন্ত এই সমস্যার সমাধান আপনি যত সহজ ভেবেছেন আসলে কী ততটা সহজ? আজকে মুসলমানদের বিপর্যয়ের অন্যতম প্রধান একটি কারন হল আপনার মত করে সহজ ভাবে সমস্যার সমাধান খোঁজা।****
কিন্ত ভাই আমি তো কোন সহজ সমাধান খুঁজি নি। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছি, ইংগিত করেছি বা করতে চেয়েছি - আল্লাহ তার কোরান ও তার রাসুলের হাদীসে এ জাতীয় সমস্যার কি সমাধান দিয়েছেন। আর সে সমাধান এর দিকে দৌড়ালে, সে সমাধান পাবার নিমিত্তে কাজ করলে - আপনার আমার আমাদের লিডারশীপ এর আমাদের আলেম ও ওলামাদের জন্য কি কি প্রতিদান তার দিকে ইংগিত করেছি। আর না করলে কি কি পরিনাম হবে তার দিকে ইংগিত করেছি।
আমরা কোরান ও হাদীসের বাহিরে এসে তথাকথিত নন ভায়োলেন্স মুভমেন্ট, শান্তিপূর্ন প্রতিবাদ সমাবেশ, গনতন্ত্র ও মেজরিটির শাসন, জনগনের মতামত ও ইচ্ছা, সার্বভৌম সংসদ, মাননীয় আদালত ইত্যাকার শাস্ত্রের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তা এ্যাপ্লাই করলে - তা আর যাই হোক - ইসলাম হয় না। এটাই আমার বক্তব্য।
কোরান ও হাদীসে যে গাইডলাইন্স - তা কঠিন হোক আর সোজা হোক - আমি তা বাস্তবায়ন করার পক্ষে - এই জন্য না যে আমি দুনিয়ায় সাকসেস চাই - শুধু মাত্র এই জন্য যে আমার ক্রিয়েটর আমাকে তা করতে বলেছেন। আমাকে আমার স্যেকুলার শাস্ত্রের জ্ঞান প্রয়োগ করতে বলেন নি - বিশেষ করে যেখানে, যে সমস্ত বিষয়ে ক্লিয়ার নির্দেশনা কোরান ও হাদীসে আছে।
আপনি বলেছেন, ''দয়া কর নবী () দীঘ ১৩ বছর মক্কা জীবন দেখুন''।
আমি দেখেছি। কিন্ত কোথাও পাইনি নবী কিংবা ওনার সাহাবারা শির্ক এ জড়িয়েছেন, হালালকে হারাম মনে করেছেন, হারামকে এক্সেপ্ট করেছেন। কোথাও দেখিনি কোরাইশদের সাথে সুর মিলিয়ে বেলাল, খাব্বাব, সুমাইয়া রাঃ কে কম্প্রোমাইজ করতে বলেছেন। বরং দেখছি এক্সট্রিমিস্ট বেলাল রাঃ আহাদুন আহাদুন ই করছেন যত মার পিট কিংবা নির্যাতন ই হোক না কেন। দেখছি ওনারা ওনাদের ল্যান্ড ছেড়ে মাইগ্রেট করছেন অজানা অচেনা দেশে। দেখছি ত্যাগ করতে, দেখছি প্রতিবাদ করতে। কিন্ত এরদোগানকে দেখছি যারা কোরান ও হাদীসের ও সিরাহ র জ্ঞান কাজে লাগাচ্ছে তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে আর নিজে ইয়েমেনী মানুষকে হত্যা করাকে জায়েজ করছেন, কূর্দী মারাকে জায়েজ করছেন, আর তার বাহিরে যারা নিরিহ, নিরাপরাধ, নিরস্ত্র নারী শিশু ও বৃদ্ধকে খুন করছেন গুম করছেন ড্রোন দিয়ে মারছেন - তার সাথে বন্ধউত্ব করতে। এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী, তার চাওয়া পাওয়া অনুযায়ী পলিসি গ্রহন করতে।
ব্যাক্তিগতভাবে আমি আপনার নিজের মতামতের সাথে একমতঃ
আলোচনা ও সমালোচনা এর মধ্যদিয়েই আমরা সঠিক পথ খুজে পাবো বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন