মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহিম ()-পর্ব ২
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৫ মার্চ, ২০১৬, ০৪:০১:৪৮ বিকাল
এক নজরে ইব্রাহীম () শিক্ষাঃ
ইব্রাহীম () যিনি আল্লাহ() একত্ববাদের উপর প্রতিষ্ঠিত এই জাতির নামকে মুসলমান রেখেছেন(সুরা হজ্জঃ ৭৮)। বর্তমান ইসলাম বৈরী অবস্থা থকে মুসলিম জাতিকে সাফল্যের সাথে বের হয়ে আসতে হলে তার জীবন চরিত ও শিক্ষাকে বেশী বেশী করে জানতে ও বুঝতে হবে।
আল্লাহ () কুরআনে বলেছেন সব জুলুমের বড় জুলুম হ’ল ‘শিরক’ করা(সুরা লোকমান ঃ ১৩)। মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () তার সমগ্র জীবন ব্যাপী এই শিরক এর বিরুদ্ধে লড়েছেন এবং তাওহীদের বানী প্রচার করেছেন।
মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () তার এই তাওহীদের বানী প্রচার ও তাওহীদি জাতি (মুসলীম) গঠনের কাজ কোন একটি ভৌগলিক সীমায় সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি কোন দল বা গ্রুপের সহায়তা ব্যাতীত নিজে নিজে একা একা এই তাওহীদের বানী প্রচার করেছেন। এখানে উল্লেখ্য যে ইব্রাহীম () অন্যান্য নবী রাসুলদের ন্যায় কোন নিদৃস্ট “নৃতত্তিক জাতি” বা পুরাতত্তিক জাতি (যেমন বাঙ্গালী, চাকমা, মাউরী ইত্যাদি) কাছে তার প্রচার সিমাবদ্ধ রাখেননি এবং তিনি সারা বিশ্বের জন্য তওহেদী বা মুসলিম কৃস্টি-কালচার প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () কে অত্যান্ত সস্মানের চোখে দেখে ইহুদি ও নাসারারা।
মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহীম () শুধু একটি তাওহীদি জাতি ((মুসলীম) গঠন করেননি বরং এই জাতির ঐক্যের জন্যও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। আজকের এই ‘মুসলীম বৈরী সময়ে’ ইব্রাহীমের () বিভিন্ন দিক নির্দেশনা গুল জানা খুবই জরুরী হয়ে পরেছে।
মুসলমানদের দুটি বড় ধর্মীয় উৎসবের মাঝে বড় একটি উৎসব হল কুরবানীর ঈদ যা আমাদের দেশে গরুর ঈদ নামে পরিচিত। এই উৎসবের মাঝ দিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমানরা তাদের জাতির পিতার আত্নত্যাগকে স্মরন করে থাকে একই সাথে তাদেরকে মুসলিম জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং মানবতার কল্যাণের জন্য আত্নত্যাগকে উদ্ভুদ্ধ করে।
ইব্রাহীম () একটি সুন্নাহ হল “খাতত্না করা” তার এই সুন্নার অনুসরণ শুধু মুসলমানরাই করে না, ইহুদি ও খ্রস্টানরাও করে থাকে।
বিষয়: বিবিধ
১২৫২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন