মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহিম ()-পর্ব ১
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১২ মার্চ, ২০১৬, ০৪:৫৮:০২ রাত
মুসলীম জাতির পিতা ইব্রাহিম (), হযরত ঈসা() জন্মের প্রায় ২০০০ বৎসর পূর্বে ইরাকের প্রাচীনতম শহর উর এ জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আযর, তিনি মূর্তি উপাসক ছিলেন। হযরত ইব্রাহিম () এমন এক সময়ে তাওহীদের বানী প্রচার (হকের দাওয়াত) শুরু করেন যখন দুনীয়ার বুকে আল্লাহ() নাম নেওয়ার মত কোন লোক ছিল না। মানব জাতির হেদায়াতের জন্য আল্লহ() তার পূর্বে যত নবী রসুল পাঠিয়েছিলেন তাদের শিক্ষা তখন বিকৃত হয়ে পরেছিল কিংবা মুছে গিয়ে ছিল। তার পর আল্লাহ() জমিনের উপর যত নবী-রসুল পাঠিয়েছিলেন ছিলেন তারা সকলেই মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম () প্রচারিত তাওহীদের বানীকে পুনরায় বুলন্দ করেছেন। হযরত ইব্রাহীম () বংশ পরস্পরায় বহু সংখ্যক নবী-রসুল আগমন করে ছিলেন এই জন্য তাকে নবীদের পিতা হিসাবে উল্লেখ করা হয়। মেরাজের রাত্রে যখন সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার মুক্তির অগ্রদূত (রহমতল্লিল আলামিন) সাদাকা রসুল(), তার বিস্ময়কর মহাকাশ ভ্রমণের এক পর্যায়ে সপ্তম আকাশে (According to Quran this is the height level of meta-physical world after that there are no more universe exist but Allah) প্রবেশ করেন এবং সেখানে হযরত ইব্রাহীমকে() দেখতে পান, তখন তার সঙ্গী জিবরীল () বললেন, ইনি আপনার পিতা ইব্রাহীম() তাকে সালাম করুন। তখন ইব্রাহীম() সালামের জবাবে নবী করিম () কে নেক্কার সন্তান বলে উল্লেখ্য করেন(হাদিস বুখারী)। ইব্রাহীম () নিজের জীবনকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে কোন ধরনের দল বা গ্রুপের সহায়তা ব্যাতীত অত্যন্ত নির্ভীক চিত্তে একা একা এক দেশ থেকে আরেক দেশে( ইরাক, প্যালেস্টাইন, মিশর) তাওহীদের বানী প্রচার করেন এবং আল্লাহ () দেও সকল পরীক্ষায় সাফ্যলের সাথে উত্তীন হয়ে ছিলেন। এই কারনে কুরাআনে তাকে মুসলিম জাতির পিতা হিসাবে উল্লেখ্য করা হয়েছে(২: ১২৪)। কুরআনে তাকে আল্লহ() এর বন্ধু “খলিল” বলা হয়েছে (নিসাঃ ১২৫)
ভৌগলিক ও ভাযা গত বৈচিত্রের কারনে মুসলীম জাতির লোক জন পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুসলমানদের মধ্যে ভাতৃত্যবোধ ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা এবং এক জাতি গঠনের লক্ষ্যে; তাদেরকে কোন একটি নিদৃস্ট কেন্দ্রে নিদৃস্ট সময়ে একত্রিত হওয়া জরুরী। আর ইব্রাহীম ()মুসলমানদের সেই মিলন কেন্দ্র কাবা গৃহের ভিত্তি পুঃ নির্মান করেন এবং সকলকে একত্রে আল্লাহ () উদ্দেশ্য এই গৃহে সমেবেত হওয়ার জন্য আল্লাহ() নির্দেশ হজ্জে আসার দাওয়াত দেন। তাই হজ্জের জন্য মুসলমানদের কেন্দ্র কাবাতে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে আগত হাজীরা, তার এই দাওয়াতকে কবুল করে বলে থাকে,”লাব্বাইকা আল্লাহুমা লাব্বাইক” হাজীর হে আল্লাহ হাজির; কুরআন এই কেন্দ্রকে মুসলমানদের সস্মিলন স্থান বা মিলন কেন্দ্র বলেছে (সুরা বাকারা, আয়াত ১২৫)।
চলবে
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Inshallah should be continue
Inshallah should be continue
মন্তব্য করতে লগইন করুন