আদর্শ বিচার ব্যাবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০২:৫৫ দুপুর
আমাদের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আমাদের বিচার ব্যাবস্থা হবে সারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল(Role Model)।
একটি দেশের বিচার বিভাগ সারা বিশ্বের জন্য রোল মডেল তখনেই হবে—
১। যখন ঐ বিচার বিভাগের সাথে জড়িত সকল বিচারক সকল প্রকার অপরাধ মুক্ত থাকবে। কিন্ত দুঃখের বিষয় হ’ল অন্য বিচারকতো দূর আমাদের প্রধান বিচারক স্বয়ং স্কাইপ কেলেংকারীতে যুক্ত।
২। বিচারক রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের শক্তির কাছে মাথা নত করবে না। তার বস্তব উদাহরণ হল পাক স্বৈর শাসক পারভেজ মোসারফের প্রধান বিচারপতি রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বৈর শাসকে কাছে মাথানত না করে তার চাকরি হারায়। কিন্ত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার রায়ে বর্তমান সরকারের ইছছার প্রতিফলন ঘটায় বলে দেশে-বিদেশে অভিযোগ উঠেছে! এই বিষয়ে দলিলসহ আমার একটি পোস্ট আছে।
৩। স্বাক্ষী সুরক্ষা আইন করলেও, কেউ নির্ভয়ে স্বাক্ষী দিতে পারছে না। আল্লামা সাইদির স্বাক্ষী সুখ রঞ্জন বালীকে কোট থেকে সরকারের লোক ধরে নিয়ে গেছে, অথচ বিচারকরা বলছে আমরা কিছু দেখিনি, জনিনা!!! কানা-আন্ধা-
৪।
৫। ----------
এই বিচার ব্যাবস্থাকে আদর্শ বিচার ব্যাবস্থা বললে আমাদেরকে উলটা করে(i.e. the Truth is upside down) বুঝতে হবে অর্থাৎ এটা হবে সব চেয়ে খারাপ বা শয়তানের আদর্শ বিচার ব্যাবস্থার বাস্তব উদাহরণ।
আদর্শ বিচার ব্যাবস্থার কিছু উদাহরণ।
১। ইমাম আবু হানিফাকে তৎকালীন বাদশা তার প্রধান বিচারপতির পদ অফার করলে এই ইমাম তা প্রত্যাখ্যান করেন, কেননা তিনি বুঝতে পেড়েছিলেন তার পক্ষে হয়তো প্রভার মুক্ত হয়ে রায় দেওয়া সম্ভব হবে না। আর এর ফলে সে কারাগারসহ প্রচুর নিপিরন-নিরযাতনের শিকার হন।
২। হযরত আলী() এর নিয়োগ কৃত বিচারক একবার স্বয়ং হযরত আলী() বিপক্ষে এবং এক ইহুদির পক্ষে রায় দেন, কেননা হযরত আলী() পক্ষে স্বাক্ষী ছিল তার সন্তান হযরত হাসান এবং হুসেন()। এই রায় দেখে ঐ ইহুদি ততখনাত মুসলমান হয়ে যায়।
বিষয়: বিবিধ
১০১৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন