সত্য অনুসন্ধানে বাধা- অস্ত্র ইমোশনাল হ্যাইজাক, অপব্যাখা ও ইলেকক্টনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৪:০৮ দুপুর
এটা বলা হয়ে থাকে (বিভন্ন কারনে) ঐতিহাসিক যে কোন বড় ঘটানার ‘সত্য’ প্রতিষ্ঠা পেতে সময় নেয় প্রায় ১০০ বৎসর। এই সময় নেওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান কারনগুল হল ঐ ঐতিহাসিক সত্য কোন না কোন ভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তি, গুষ্টি, দল যারা ঐ ঘটনার সাথে প্রতেক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত বা মতবাদের বিরুদ্ধে যাওয়া। এমন কী “ঐতিহাসিক সত্যটা” প্রতিস্টিত হল কোন কোন ক্ষেত্রে কোন ভ্রান্ত মতবাদকে একেবারে জন সমর্থহীন একটি দুর্বল মতবাদে পরিণত করে ক্রমে ক্রমে তা বিলুপ্ত করে দিতে পারে। আর এই জন্য তারা ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠা ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাড়ায়। সত্য যাতে কোন ভাবে প্রতিষ্ঠা না পায় তার জন্য প্রান পণ চেষ্টা। এমনেই একটি চেষ্টা সম্পর্ক এই পোস্টে অলোচনা করবো। চেষ্টাটি করেছে নাস্তিক-মুরতাদ সমর্থনকারী প্রিন্ট মিডিয়া প্রথম আলো।
আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধে কত লাখ সহীদ হয়েছে তানিয়ে দেশ- বিদেশে রয়েছে নানা ধরনের তথ্য। বাস্তবতার নিরিখও এই তথ্যগুলর মধ্যে পার্থক্য হল অবিশ্বাস ধরনের বিরাট বিশাল। কিন্তু কেন? কারন হল এই গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যাটি রিসাস গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেলে অনেকেরই অনেক ধরনের স্বার্থহানী হতে পরে যা অমি উপরে উল্লেখ করেছি। অথচ এই ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটনে বাধা সৃষ্টি করা অনৈতিক ও অন্যায় কাজ, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অত্নত্যাগ করেছে তাদের সেই অত্নত্যাগকে নিয়ে মস্করা করা, অসসম্মান করা।
প্রথম আলো এই ধরনের সত্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা সম্পকে বলতে যেয়ে বলেছে, ‘ইতিহাস বিকৃত করতে তাঁরা মেতে ওঠেন ‘!!!
রাজনৈতিক রং লাগিয়ে ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটনে বাধা সৃষ্টি করতে যেয়ে বলেছেন, “আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপির নেত্রী আওয়ামী লীগের ওপর তাঁর “রাগ(!)” একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ পরিবারের ওপর ঝাড়লেন কেন? “
ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটনে বাধা এবং ফানি লজিকঃ
একাত্তরকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা কিংবা বাস্তববোধের প্রতিফলন হতে পারে না।
সত্যকে উল্ট করে বলা এবং ইমোশনাল হ্যাইজাক
খালেদা জিয়ার মন্তব্য কেবল আমাদের শহীদ পরিবারগুলোকে অপমান করেনি, গোটা জাতিকেও অসম্মান করেছে !!!! অথচ এই ঐতিহাসিক সত্য উদ্ঘাটনে বাধা সৃষ্টি করা অনৈতিক ও অন্যায় কাজ, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অত্নত্যাগ করেছে তাদের সেই অত্নত্যাগকে মস্করা করা, অসসম্মান করা।
অবস্থাটা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে,
সাহেব বলে, ৭১ রে আমি বাংলাদেশের ১৫ কোটি লোকের প্রান রক্ষা করেছি!
মোসাহেব বলে, সেতো হোতেই হবে হুযুরের মতে অমত কার!
দয়া করে জন সংখ্যা ৭.৫ কোটি কিভাবে ১৫ কোটি হল সেই প্রশ্ন করে আমার হুজুরকে থুরী মুক্তিযুদ্ধে যারা অত্নত্যাগ করেছে তদেরকে প্লাস(+) গোটা জাতিকে অসম্মান করবেন না।
বিষয়: বিবিধ
১০৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন