ইসলামের নারী নীতি (Woman Policy) এবং দাওয়া—পর্ব ২
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৫:৫১ সন্ধ্যা
আমরা আলোচনা করছিলাম যেখানে ইসলাম ব্যাতীত অন্যন্য ধর্মগুল ছেলেদের বিয়ের ব্যাপারে কোন বিধি নিষেধ আরপ করেনি সেখানে ইসলাম একটি মাত্র বিয়ে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে এবং মেয়েদের বিশেষ কল্যাণের কথা বিবেচনা করে চারটি পর্যন্ত বিয়ে করার জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে।
দুইঃ এটা এখন প্রমাণিত সত্য যে ‘সেক্স’ মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই Sexual Desire পুরনে ব্যার্থ হওয়ার কারনে অনেক ছেলে অবৈধ সম্পর্ক বা জেনাতে জরিয়ে পরে। সংসারে দেখা দেয় চরম অশান্তি যার প্রভাব পরে ছোট বড় সকলের উপর। অথচ ইসলামী সমাজ ও রাস্ট্রে জেনা-ব্যাভিচার অগ্রহন যোগ্য ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এই অবস্থায় এই সমস্যা থেকে বের হয়ে অসতে যে ইসলামী বিধি-বিধান (Law) গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে তা হল ছেলেদের বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় অথাৎ একের অধিক বিবাহের অনুমদন। এই নীতির ফলে শুধু পারিপারিক শান্তি ফিরে আসবে তাই নয় বরং রাস্ট্রের মঝে জেনা-ব্যাভিচার, ধর্ষণসহ অন্যান্য সেক্স রিলেটেট অপরাধগুল কমে যাবে।
এক্ষেত্রে একটি ঘটনা উল্লেখ না করলেই নয়। University of Waikato, New Zealand এ ছাত্র থাকাকালীন ঐ বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাসিক ম্যাগাজিনে একটি ফানি প্রবন্ধ পরে ছিলাম। প্রবন্ধটির হেডিং ছিল,”Sex is better than marriage” । এখানে প্রবন্ধকার ফানি ভাবে দেখিয়ে ছিল যে বোকার মত বিয়ে করে একটি মেয়ের দায়িত্ব নিয়ে সেক্স করার চেয়ে, বিয়ে না করে কোন দায়িত্ব না নিয়ে যত খুশী তত মেয়েদের সাথে সেক্স করা অনেক অনেক সুভিদাজনক।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একজন পুরুষ বিয়ের ফলে তার স্ত্রীর কাছ থেকে সেক্স ছাড়া আর কিই বা পেতে পারে ?
কিন্তু কুরআন বলে, < বস্তুত তোমরা পার্থিব জিবনকে অগ্রাধিকার দাও অথচ পরকালের জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী।> ( সুরা আলাঃ ১৬-১৭)
এই জীবন উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী অধিকারী হতে হলে, বিয়ে নামক প্রতিস্টানটি আপনাকে করবে অনেক অনেক সাহায্য। এমন কী নবী করিম() হাদিস অনুসারে কেউ তার বউয়ের সাথে যে সেক্স করে তাও নেকী বা সৎকাজ হিসাবে লিখা হয়! তাই বিশ্বাসী হলে দুনিয়াবী লাভ ক্ষতির হিসাব না করে, বিয়ে নামক প্রতিস্টানটির দায়িত্ব নিন ও পরকালে সাফল্য লাভ করুন। অর্থাৎ জাহান্নাম থেকে নিজে ও নিজের পরিবারকে বাচান এবং জন্নাতের অধকারী হন আর এটাই হ’ল সব সাফ্যলের বড় সাফল্য।
বা বিয়ের সময় যদি দেন মোহর ধার্য্য করেন মাত্র ১০০০ টাকা এবং এই রকম পারলৌলিক বানী তাকে শুনিয়ে কনভিন্স করার চেষ্টা করেন যে - ''দেন মোহর বেশী ধার্য্য করা যদি মঙ্গলের হত তাহলে রাসূল (সাঃ)ই সেটা আগে করতেন অথবা দুনিয়াতে কম দেন মোহরে ,কম টাকায় ভরন পোষনে যদি তুমি খুশী হও তাহলে পরকালে তুমি এর সওয়াব পাবে ''
এসব কথায় কি মনে করেন উনারা কনভিন্স হবে ?
এই ঝামেলা থেকে বাচার একটাই পথ বিয়ে না করে ও কোন দায়িত্ব না নিয়ে Living together করা । জান্নাতের পথ খুবই কঠিন।
চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বাইংডিন্স একজন চাকুরীজীবী নারী কি মেনে চলে না ? সেরকম কি সে মেনে চলে সংসার ও স্বামীর প্রতি তার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয়গুলো ?
স্বামীর সংসার যেখানে তার হেফাজত করা উচিত স্বামীর অবর্তমানে আল্লাহর হেফাজতের মাধ্যমে সে সময়ে সে থাকে অফিসে ! মানে স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষন পাচ্ছে বিনিময়ে সে স্বামীর কোন দ্বায়িত্ব পালন করছে না , করছে আরেকজনের !!
কোন চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান কি তার কোন চাকুরেকে তাদের প্রাইম টাইমের সময় এলাউ করবে আরেকটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ? অথচ একজন স্বামী তার শিক্ষিত স্ত্রীকে এই উদারতাটা দেখায় । বিনিময়ে সে কি কিছু পায় ? এই উদারতাটা দেখানো কি শরিয়ত সন্মত?
আর রিসপনসিবিলিটি সব ছেলেদের বলে খরচ তাদেরই করতে হয় । ফলে একজন চাকুরীজীবী বিবাহিত নারী যেখানে তার মাসোহারার প্রতিটা টাকা জমাতে পারে সেখানে একজন ছেলে তা পারে না ।
ফলে দান খয়রাত ও সদকাহ মেয়েরা যেমন দিতে পেরে ধুমায়া সওয়াব কামিয়ে নিচ্ছে দ্বায়িত্বের চাপে ছেলেরা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সেটা পারে না । ফলে সওয়াব হাসিলের রেসে কি ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে পিছিয়ে গেল না ?
আমার মতে বিয়ে হচ্ছে ছেলেদের জন্য সম্পূর্ন একটা লস খাত । শুধুমাত্র শরিয়তের বাধ্যবাধকতার কারণে এবং ধর্মীয় বিষয়গুলো আল্লাহ পুরুষদের মাধ্যমে পরিচালিত করেছেন বলে পুরুষেরা দ্বীনের কাজ করতে ,বিয়ে করতে এবং দ্বায়িত্বের বোঝা নেয় স্বতঃস্ফুর্তভাবেই । মেয়েদেরকে কখনই ধর্মীয় বিধি নিষেধ পালনে পুরুষদের মত উৎসাহী দেখা যায় না । তাদের নজর লাক্সারীর দিকে এবং বিধর্মীয় রীতি নীতির প্রতিই তারা বেশী ঝুঁকে থাকে ।
খারাপ সেন্সে বলতে হয় :
গোস্ত ও দুধ যদি দোকানেই কিনতে পাওয়া যায় তাহলে কষ্ট করে কে গরু পালতে যায় ? শরিয়ত তো শুধু এক-পাক্ষিক বিষয় না ,একজন না মেনে যদি টপ মুডে চলে তাহলে আরেকজনের মানার কি ঠেকা পড়ে গেছে ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন