ইসলামের নারী নীতি (Woman Policy) এবং দাওয়া
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৯:২২ দুপুর
ইসলামের নারীনীতি সম্পকে কখনও গভীরভাবে ভেবে দেখিনি যতক্ষণ না এই প্রবাসে বসে ইসলামী দাওয়া কাজে নিজেকে জড়িত করেছি। দাওয়া দিতে যেয়ে অস্টেলিয়ান মহিলাদের কাছ থেকে প্রথমে যে, প্রশ্নগুলর সস্মুখিন হই তার মধ্যে কমন একটি প্রশ্ন হল, ইসলাম কেন একজন ছেলেকে চারজন মেয়েকে বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছে? তাই বাধ্য হয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে যেয়ে যে কারনগুল খুঁজে পেলাম তাতে আমি এতটাই মুগ্ধ হলাম যে তা লিখে বুঝাতে পারব না। তবে এক কথায় বলব, Islamic woman policy are the best woman policy around the world.
প্রথমত তৎকালে আরবে যে যত খুশী ইছছা বিয়ে করতে পারত কন্তু ইসলামই প্রথম এই প্রথাকে রহিত করে বিয়ের ব্যাপারে লিমিট আরোপ করে।
দ্বিতীয়ত বর্তমান পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে, কোন ছেলে যদি সেই ধর্মগুলর অনুশাসন মেনে নিয়ে বিয়ে করতে চায় তবে সে যতজন ইচ্ছা ততজন মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে, এক্ষেত্রে কোন বাধা নেই। কিন্ত ইসলাম হল এক মাত্র ধর্ম যেখানে ছেলেদেরকে বিয়ে করার এক্ষেত্রেও বাধা আরোপ করা হয়েছে এবং একটি মাত্র বিয়ে করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছে। তবে মেয়েদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে, চারটি পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে করার জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে!!!
এখন প্রশ্ন হল মেয়েদের জন্য সেই কল্যাণগুল কী ? তার উত্তর হল এই কল্যাণ অনেক অনেক। একঃ ধরুন অস্টেলিয়াতে কারো একটি বউ আছে এবং সেই ব্যাক্তি তার বউ ও সন্তানদের ভালবাসে। কিন্ত ধরেন সেই ব্যাক্তির বউ কোন কারনে এমনভাবে অসুস্থ হয়ে পরল যে, তার পক্ষে তার স্বামী ও সন্তানদের দেখা-শুনা করা সম্ভব না। এক্ষেত্র অস্টেলিয়ার আইন অনুসারে ঐ ব্যাক্তির জন্য একটাই অপশন আছে আর তা হল সে তার অসহায় অসুস্থ বউকে তালাক দিয়ে(Kick off) অন্য আরেকটা মেয়েকে বিয়ে করা এবং তার জীবনকে সহজ করা ও বিশেষ ভাবে তার সন্তানদের ভবিষৎকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। কিন্ত এর ফলে ঐ ব্যাক্তির অসুস্থ বউ এর জীবনটা হয়ে যাবে এক যন্তনাময় জীবন। কিন্ত ইসলাম দিয়েছে এর এক সুন্দর সমাধান অথাৎ ঐ মহিলাকে রেখে আরেকটা বিয়ে করার সুযোগ। এর ফলে ঐ অসুস্থ মহিলা পাবে তার সন্তানদের নিজের কাছে রাখার সুযোগ, বাচ্চাগুল পাবে তার বাবা মায়ের আদর, এর থেকে সুন্দর নীতি আর কী হতে পারে।
চলব---------
বিষয়: বিবিধ
১০৭৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দার উপর অসীম রহমশীল, এমনকি বান্দার নিজের চেয়েও- কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা বোঝেনা! আসলে মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ!!
স্মরণ করিয়ে দিলেন,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
জী এ ব্যাপারে দ্বিমতের কোন সুযোগ নেই। বস্তুত আল্লাহ্ () আমাদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন বিধি-বিধান দিয়েছেন কিন্তু আমরা আমাদের জ্ঞানের সল্পতা হেতু তা বুঝতে না পেরে কল্যানের মাঝে অকল্যানকে দেখি!!
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
রাস্ট হিসাবে অস্টেলিয়া একটি কল্যাণ রাস্ট। এখানে শুধু শিশু নয় বরং নারী পুরুষ সহ সকল নাগরিকের কল্যাণকে নিশ্চিত করা হয়। এমন কী কোন শিশুকে পিতা-মাতা সঠিক ভাবে লালনপালনে ব্যার্থ হলে রাস্ট তার থেকে এই দায়িত্ব কেড়ে নেয়। এই ব্যাবস্থা অনেটা ইসলামী কল্যাণ রাস্টের কাছাকাছি।
সমাজঃ অস্টেলিয়া একটি ম্যাটেরিয়ালিস্ট সমাজ, তাই এখানে ‘ভোগবাদ’ প্রধান্য লাভ করেছে। এখানে বিয়ে নামক প্রথাটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। এখানে ছেলে হউক বা মেয়ে হউক,একের অধিক বিবাহ নিষিদ্ধ। যেহেতু ম্যাটেরিয়ালিস্ট সমাজ তাই তারা বাচ্চাদের পিতা-মাতার স্নেহ-ভালবাসা নিয়ে ততটা মাথা ঘমায় না(যেটা ইসলামী সমাজ ব্যাবস্থায় কল্পনাই করা যায় না। বস্তুত ইসলামী সমাজ ব্যাবস্থার শুরুই হয় এই স্থেহ, যত্ন আদর ভালবাসা থেকে। ) কিন্তু শিশুটির কল্যাণ নিশ্চিত রাস্ট।
বস্তুত ইসলামী সমাজ ব্যাবস্থা এবং ম্যাটেরিয়ালিস্ট সমাজ ব্যাবস্থার মাঝে এই প্রার্থক্যগুল বৈশিষ্টপূর্ণ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন