ইতিহাসের দায়বদ্ধতার শেষ হল না শুরু হল- এই বিচার/অবিচার ও গায়েবী ক্ষমা প্রার্থনা কী আরেকটি বিচারের(Fair Trial) রাস্তা খুলে দিবে????
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২২ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫২:০৬ রাত
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি শনিবার রাতেই কার্যকর করা হয়। ইতিহাসের দায় শোধের জন্য ফাঁসি কার্যকর করা হলেও তাদের ফাঁসিতে রচিত হয় আরেক ইতিহাস।
মাত্র কয়েক বছর আগে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দুই রাজনীতিককে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়।
বাংলাদেশে এটা প্রথম। আর সমসাময়িক বিশ্বে শুধু ইরাক ছাড়া অন্য কোনো দেশেও এমনটা দেখা যায়নি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদ ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
স্ব স্ব দলেও তারা ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী। বাংলাদেশের প্রধান ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বা দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ছিলেন মুজাহিদ। আর চট্টগ্রাম থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী দেশের অন্যতম বৃহত্তম দল বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য।
এই দুই রাজনীতিকেরই ছিল দীর্ঘ ও বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক ক্যারিয়ার।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও এ নিয়ে বিতর্ক সম্ভবত আরো ৪৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে চলতে থাকবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ‘ভয়াবহ ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে জনমতও কার্যত বিভক্ত। আওয়ামী লীগ ও নাস্তিক-মুরতাদরা এই ফাসি/জুডিশিয়াল কিলিং এবং গায়েবী ক্ষমা প্রার্থনাকে জনতার (নাকী তাদের?) বিজয় হিসাবে দেখছে। অন্যদিকে সারা বিশ্বের সচেতন ও মানবতাবাদীরা এই বিচার ত্রুটিপুন বলে প্রত্যাখান করেছে। বি এন পি ও জামাতে ইসলাম এবং অন্যান সমমনা দলগুল এই বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনিত বিচার বলে প্রত্যাখান করেছে।
এই মেরুকরণ রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে এখন সমাজজীবনের গভীরে প্রোথিত হচ্ছে, যার ফলে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের কাজ ভবিষ্যতে দুরূহ হতে পারে।
রাজনৈতিক পটপরিক্রমায় এই বিচার আরেক বিচারের পথ উন্মুক্ত করে দেয় কিনা সেটা নিয়েই উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
৮০% কপি-পেস্ট
বিষয়: বিবিধ
১০৩৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং বলছে - আর একটি বিচার এর পথ খোলার কোন সুযোগ নেই।
তবে আমার বিচার বিবেচনা ও যুক্তি বলছে বিচারহীন মৃত্যুদন্ডের একটা পথ অবশেষে বাংলাদেশে খুললো।
According to Newton thrid law of motion, " Every action has equal opposite reaction". Thanks for your comment
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ‘ভয়াবহ ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করছে।
সারা বিশ্বের সচেতন ও মানবতাবাদীরা এই বিচার ত্রুটিপুন বলে প্রত্যাখান করেছে। বি এন পি ও জামাতে ইসলাম এবং অন্যান সমমনা দলগুল এই বিচারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনিত বিচার বলে প্রত্যাখান করেছে।
জালিমের জুলুমেরও অবসান হবে।
Every things of the world has a begining and end but we do not know when. our main obligation are to do the right thing in right time according to our capability.
আপন হাতেই নেয় ক্ষমতা,
সময় এবার হলো বুঝি
প্রতিরোধ তাই সোজাসুজি।
************************
ধৈর্য্য সীমার বাঁধ ভেঙ্গেছে
আম জনতা আজ জেগেছে,
কেড়ে নিবে সব ক্ষমতা
নওকো তুমি দেও দেবতা।
***********************
পাপীর পাপ দেয়না ক্ষমা
সময় মতো পাইবে জমা,
আর্তনাদের দীর্ঘ্যশ্বাসে
ধ্বংস হবে অবশেষে।
**********************
হিসেব নিকেষ নিবে এবার-
মজলুমেরা এক হয়েছে,
আর কতকাল ধৈর্য্য ধারন
সহ্য সীমার বাঁধ ভেঙ্গেছে....জনগন অপেক্ষা করেন নিশ্চয়ই আল্লাহ বিনোদন দেখাবেন...ওয়েট এন্ড ছি..., অনেক ধন্যবাদ ভাই।
Every things of the world has a begining and end but we do not know when. our main obligation are to do the right thing in right time according to our capability.
যতদিন না দালালদের ফাসি না হয়।
ফেরাউন দুনিয়াতে টিকে নাই হাছিনা ও টিকবেনা।দেখুন বার্মার দিকে।
Your comment represent nothing new but the recorded voice of আওয়ামী লীগ ও নাস্তিক-মুরতাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন