ছাত্র লীগে যোগদানের বেনিফিট লেখাপড়া না করে সাটিফিকেট
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৯ নভেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৭:১৫ রাত
ভাইয়েরা ও বোনেরা ছাত্র লীগে যোগদিন এবং লেখাপড়া ছাড়া ডাক্তারী(ডকাইত) সহ সকল বিষয়ের সাটিফিকেট নিন। দেশ ও জনতার সেবা করার এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না। খবরে প্রকা------
রংপুর: পরীক্ষায় অকৃতকার্য নেতা-কর্মীদের কৃতকার্য দেখানোর দাবিতে রংপুর মেডিকেল কলেজে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ সময় কলেজে ব্যাপক ভাংচুর চালায় তারা। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনিয়ে ক্যম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, কলেজের চতুর্থ বর্ষের মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলোজি ও ফরেনসিক বিভাগের পরীক্ষায় প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এদের বেশিরভাগই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এতে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরবর্তিতে বিক্ষুব্ধ নেতৃবৃন্দ সকাল ১০টায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে পরীক্ষায় অকৃতকার্য নেতা-কর্মীদের কৃতকার্য দেখানোর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় কয়েকজন সাধারন শিক্ষার্থী কলেজে ক্লাশ করতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষোভ কারীরা। হামলায় ছয়জন সাধারন ছাত্র আহত হয়। এদের মধ্যে জিয়া ও আনিস নামের দুই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলাকারীরা কলেজের প্রধান ফটক ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতিরোধের মুখে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
পরে বিক্ষোভকারীরা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.পরিমল চন্দ্র সরকার, অধ্যাপক ডা. মজিবর রহমান, প্যাথলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সামসুজ্জামান ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম এর কক্ষে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে।
এ সময় কক্ষের সব আসবাবপত্র ও কম্পিউটারসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলার সময় তারা মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মজিবর রহমান ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলামকে জামায়াতপন্থী শিক্ষক আখ্যায়িত করে তাদের অপসারণ দাবী করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি অধিকতর উত্তপ্ত হয়ে ওঠলে শিক্ষকদের হস্থক্ষেপে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার পর জরুরী ভিত্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকেন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবু তালেব। সভায় এ ঘটনা তদন্তের জন্য মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. অমরেশ সাহাকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
দৈনিক আমার দেশ ১৯/১১/১৫
বিষয়: বিবিধ
১০৮৮ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বই খুলে পরীক্ষা দেওয়া (ওপেন বুক এক্সাম) পাশ করার জন্য যথেষ্ট না, মনে হয় বঙ্গবন্ধু তখন এই সহজ ব্যাপারটা বুঝতে পারেনি, তাই তারা একান্ত ব্যাধ্য হয়ে ফেল করার পর পাশ হওয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছে।
বিয়া না কইরা বাচ্চার বাপ।
কাজ না কইরা বেতন।
এটা কোন বিষয়ই না। কেননা ডাক্তারী পাশ না করেও তো হাতুড়ে ডাক্তার আছে এবং তারা প্রতন্ত গ্রামের জনতাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এখন ডিজিটাল শিক্ষা ব্যাবস্থার কল্যাণে শহরের জনতাও হাতুড়ে ডাক্তারের নব সংস্করণ ‘লীগুরে’ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা পাবে।
আমার মনে হয় ‘লীগুরে’ ডাক্তারা অত বোকা না যে তারা সার্জারির মত কোন কাজ নিজ হাতে করতে যাবে বরং জামাত শিবির ডাক্তার দ্বারা তারা এ কাজটি করিয়ে নিবে। যদি তার বোকা হত তবেতো তার ভর্তি পরীখার প্রশ্নপ্ত্র আউট করে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারতো না। বাস্তব ঘটনাতো তাই বলছে। চিন্তা করার কোন কারন দেখছি না। ভাল থাকুন এবং ডাক্তারের উপদেশ মেনে চলুন। মনে রাখবেন হায়াত-মউত আল্লাহ্() হাতে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন