সৌদি আরবের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন কারজাভি
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৪:০৫:২৬ রাত
মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যত্মিক নেতা ও বিশ্ববরেণ্য আলেম শেখ ইউসেফ আল-কারজাভি সৌদি আরবের জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাতারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
এটাকে ব্রাদারহুডের সাথে সৌদি আরবের উত্তেজনা প্রশমনের উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কাতারে অবস্থানরত কারজাভির জ্বালাময়ী বক্তব্যে সৌদি আরব এবং তার মিত্র উপসাগরীয় দেশগুলো নাখোশ। কিন্তু আলজাজিরায় তার অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়।
রয়টার্স জানায়, সৌদি আরবের জাতীয় দিবসে শুক্রবার কাতারে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কাতারি প্রধানমন্ত্রী এবং সোদি রাষ্ট্রদূতের পাশেই বসেছিলেন কারজাভি।
গত জানুয়ারিতে সৌদি সিংহাসনে বসা বাদশা সালমানকে মনে করা হয় তার পূর্বসূরী বাদশা আবদুল্লাহর চেয়ে ধর্মীয় রক্ষণশীলদের প্রতি অধিক সহানভূতিশীল।
কাতারে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুড নেতারা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তা তাদের অনুকূলে আসছে। এতে তারা আরো বেশি কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বাদশা সালমান ব্রাদারহুডের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে না তুললেও দলটির মিত্রদের সাথে উত্তেজনা হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছেন। রিয়াদ তুরস্ক ও কাতার এবং ইয়েমেনে ব্রাদারহুডের শাখা ইসলাহের সাথে সম্পর্ক মজবুত করছে।
‘আমরা এখন আশাবাদী,’ বলছিলেন কাতারে বসবাসরত এক ব্রাদারহুড নেতা। তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।
‘সৌদির নতুন নেতৃত্ব মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে যেখানে ইসলামপন্থীদের শয়তান হিসেবে না দেখে মিত্র হিসেবে দেখা যায়।’
ইন্টারন্যাশনাল মুসিলম স্কলার্সের চেয়ারম্যান কারজাভি, যিনি মিশরীয় বংশোদ্ভূত, তার ওয়াজের মাধ্যমে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হয়েছেন।
এ দেশ দুটি মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামী সংগঠন মুসলিস ব্রাদারহুডকে নিজেদের রাজতান্ত্রিক শাসনের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে থাকে।
মিশর, আমিরাত এবং অন্যান্য আরব দেশে জোরালো উপস্থিতি রয়েছে ব্রাদারহুডের।
২০১১ সালে জেলে ভেঙে পালানোর অভিযোগে গত মে মাসে মিশরের একটি ক্যাঙ্গারু আদালত কারজাভির বিরুদ্ধে তার অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮২ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ ভাই, আমার ব্লগ বাড়ীতে আসা ও মন্তব্য করার জন্য। এই পোস্টটি আবারও আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ইমাম আবু হানিফা(রহম), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহম), শাইখুল ইসলাম ইমাম তাহমিয়া (রহম) কিংবা এযুগের স্যাইয়দ কুতুব (রহম) কিংবা বাংলাদেশের বিশ্ব বরেণ্য নেতা গোলাম আজম (রহম) কিংবা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ইসলামী স্কলার কারজাভি ইসলাম বিরোধী জালীম শাহির নির্যাতনের স্বীকার শুধু মাত্র বাতিলের (জুলুমের) বিপক্ষে ও হকের (সত্য ও ন্যায়ের) পক্ষে কথা বলার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই, আমার ব্লগ বাড়ীতে আসা ও মন্তব্য করার জন্য। এই পোস্টটি আবারও আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ইমাম আবু হানিফা(রহম), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহম), শাইখুল ইসলাম ইমাম তাহমিয়া (রহম) কিংবা এযুগের স্যাইয়দ কুতুব (রহম) কিংবা বাংলাদেশের বিশ্ব বরেণ্য নেতা গোলাম আজম (রহম) কিংবা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ইসলামী স্কলার কারজাভি ইসলাম বিরোধী জালীম শাহির নির্যাতনের স্বীকার শুধু মাত্র বাতিলের (জুলুমের) বিপক্ষে ও হকের (সত্য ও ন্যায়ের) পক্ষে কথা বলার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই, আমার ব্লগ বাড়ীতে আসা ও মন্তব্য করার জন্য। এই পোস্টটি আবারও আমাদের চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, ইমাম আবু হানিফা(রহম), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহম), শাইখুল ইসলাম ইমাম তাহমিয়া (রহম) কিংবা এযুগের স্যাইয়দ কুতুব (রহম) কিংবা বাংলাদেশের বিশ্ব বরেণ্য নেতা গোলাম আজম (রহম) কিংবা বর্তমান বিশ্বের অন্যতম প্রধান ইসলামী স্কলার কারজাভি ইসলাম বিরোধী জালীম শাহির নির্যাতনের স্বীকার শুধু মাত্র বাতিলের (জুলুমের) বিপক্ষে ও হকের (সত্য ও ন্যায়ের) পক্ষে কথা বলার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন