হেজাব, নিকাব এবং বোরকা রহস্য উধঘাটন
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১০:৫২ রাত
হেজাব, নিকাব এবং বোরকা সম্পর্কে শুধু আমাদের সমাজে নয় সারা বিশ্বব্যাপী রয়েছে ভ্রন্ত ধরনা তার অন্যতম কারন হল অপপ্রচার। বিশেষভাবে নিকাব এবং বোরকা বিরুদ্ধে চালানো হচ্ছে ঘৃণা ও বিদেষ প্রসূত প্রচারনা। যেমন বলা হচ্ছে যারা নিকাব এবং বোরকা পড়ে তারা হচ্ছে অসামাজিক, পশ্চাৎপদ, উন্নয়ন বিরোধী এমন কী এক শ্রনির লোকদের দারা প্রচারনা চালানো হচ্ছে নিকাব এবং বোরকা ইসলামের ড্রস কোড বিরোধী বা এটা ইসলামের অংশ নয়।
আমাদের ব্লগে রয়েছে এমন এক ব্লগার যার লেখাতে এই বিষয়গুল প্রারাই উঠে আসে কিন্ত এ সম্পর্কে তার লেখাতে থাকে ভুল তথ্য ফেল সে যেমন বিভ্রান্ত হচ্ছে সাথে সাথে অন্যকেও বিভ্রান্ত করছে।
ইসলামের ড্রস কোড সম্পর্কিত কুরআনের আয়াতঃ
হে নবী আপনি আপনার স্ত্রীগনকে ও কন্যাগনকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগনকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনে সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। (৩৩:৫৯)
মহিলাদের জন সস্মুখ্যে প্রকাশে আশা বা কমিউনিকেট করার জন্য ইসলামী ড্রেস কোড তিন প্রকারেরঃ
হিজাবঃ এইটা হল সারা বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত একটি ইসলামী ড্রেস কোড, যা মহিলাদের সারা শরীরকে আবৃত করে রাখে, শুধু মাত্র মুখ ও হাত ছাড়া।
নিকাবঃ নিকাব হিজাবের মতই তবে নিকাব মুখের কিছু অংশকে আবৃত করে রাখে। শুধু মাত্র চোখ অনাবৃত থাকে।
বোরকাঃ সব চাইতে কম প্রচলিত ড্রেস হল বোরকা। এটা শুধু মাত্র মহিলাদের সারা শরীরকে আবৃত করে রাখে না, সাথে সাথে মাথাকেও জালের মত কাপড়ের সাহায়্যে আবৃত করে রাখে, ফলে বাহিরের থেকে চোখও দেখা যায় না।
উপরে বর্ণিত মহিলাদের জন্য ইসলামী এই ড্রেস কোড গুল প্রযোজ্য/ফরয নয় মাহরাম পুরুষ, নাবালক ছেলে ও অন্য মহিলাদের সাথে কমিউনিকেশের ক্ষেত্রে।
কুরআনের আয়াত এটা নিশ্চত করেছে যে হেজাব হল ফরয। নিকাব ও বোরকাও যে ইসলামী এই ড্রেস কোড এ বিষয়ে ইসলামী চিন্তাবিদগন এক মত এবং তার প্রমান পাওয়া যায় ইসলামের ইতিহাস থেকে। তবে এই তিন ধরনের ড্রেস থকে কে কী ধরনের ড্রেস নিজের জন্য পছন্দ করবে তা নির্ভর করে, তার দৃষ্টি ভঙ্গী, ঐ অঞ্চলের আবহাওয়া ও অন্যন্য বিষয়ের উপর।
যেমন নিকাব সম্পর্কে আমেরিকার এক স্মাট মহিলার দৃষ্টি ভঙ্গী হল।
কেউ আমার চেহারা দেখে আমাকে মুল্যায়ন করুক সেটা আমি পছন্দ করি না। আমাকে মুল্যায়ন করতে হবে আমার যোগ্যতার দারা। আর নেকাব আমার চেহারা দেখে আমাকে মুল্যায়ন পদ রুদ্ধ করে দেয়।
আমার মন্তব্যঃ যারা সুন্দরী দেখে, যোগ্যতা দেখে নয় বিশেষ উদ্দেশ্যে মহিলাদের মুল্যায়ন করতে চায় তাদের জন্য নিকাব হল “কাম-বিধ্বংসী” মিশাইলে মত বড় বাধা!!!!!
বিষয়: বিবিধ
১৬১৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরনারী, পরপুরুষের উদ্দেশ্যে সুন্দর কণ্ঠে গান শুনানোটাও যে পর্দার খেলাফ তিনি লিখতে বসেই সেই বৈপরীত্ব্যের কথা ভুলে যান কিংবা ইচ্ছা করেই ভুলটি লিখেছেন, মানুষদের কে আধুনিক ইসলামের ধারণা দেবার জন্য। অনেক ধন্যবাদ
এখানে শীতকালে প্রচণ্ড শীত পড়ায় আমাকে হেজাবী মহিলাদের চাইতেও শরীরের বেশী অংশকে ঢেকে রাখতে হয়। শুধু তাই নয় এই কাপরও অনেক ভারী অর্থাৎ সাথে সাথে কাপড়ের ওজনও বহন করতে হয়। কিন্তু আমি এই ধরনের কাপর ব্যাবহার করার জন্য কাজ-কর্ম করতে কোন অসুভিধা বোধ করি না।
নিকাব ও বোরকাঃ যেহেতু আমি মহিলা নই তাই আমার পক্ষে এর জবাব দেওয়া ঠিক হবে না। আমি মনে করি যারা নিকাব ও বোরকা ব্যাবহার করে তারা এর সঠিক জবাব দিতে পারবে। আমি আশা রাখী দূর ভবিষতে এই বিষয়ে কেউ গবেষণা করে তাদের বাস্তব ভিত্তিক উত্তর গুল প্রকাশ করে আমাদের জানার তৃষ্ণাকে মিটাবে।
উল্লেখ্য উম্মুল মুমেনিন হযরত আয়শা() বোরকা ব্যাবহার করতেন। তিনি জেহাদে (জঙ্গে জামাল) নেতৃত্র দিয়েছেন, মানুষের কাছে রসুললের শিক্ষাকে প্রচার করেছেন। হদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে তার অবস্থান ১-৪ এর মধ্যে( এখন মনে পড়ছে না)
মন্তব্য করতে লগইন করুন