ফ্যাসিস্ট বাসার ও তার দলকে হটাতে একজোট হচ্ছে সউদি-তুরস্ক

লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৪৭:৪০ বিকাল

|পরস্পর বিরোধের দীর্ঘ ইতিহাস পেছনে ফেলে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দুই শক্তিশালী দেশ সউদি আরব এবং তুরস্ক এখন সিরিয়া ইস্যুতে এক সাথে কাজ করার দিকে এগোচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একটি সামরিক জোট গঠনের লক্ষ্যে দেশ দুটির মধ্যে বর্তমানে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা চলছে। উপসাগরীয় দেশ কাতার এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে। আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই যৌথ উদ্যোগে তুরস্ক স্থল অভিযানের জন্য সৈন্য দেবে আর সউদি আরব অংশ নেবে বিমান হামলায়। অভিযানের লক্ষ্য হবে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশারকে হটাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া মধ্যপন্থী সিরিয়ান বিরোধীদের সহযোগিতা করা। গত ফেব্রয়ারিতে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি হোয়াইট হাউস সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে এ ব্যাপারে অবগত করেন। অবশ্য হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। মার্কিন প্রশাসন সাধারণভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি, বিশেষ করে সিরিয়া ইস্যুতে আরো সক্রিয় হয়ে নিজেদের উদ্যোগে কিছু করতে উপসাগরীয় দেশগুলোকে উৎসাহিত করছিল। কিন্তু এসব কথা আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল, বাস্তবে কিছু এগোয়নি। চলমান আলোচনা কি ওইসবের চেয়ে ভিন্ন হয় কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সম্প্রতি ইয়েমেনে সউদির হস্তক্ষেপ এই বার্তা দিচ্ছে যে, দেশটি বাইরের শক্তিগুলোর সহায়তার ওপর নির্ভর করার চেয়ে নিজের ক্ষমতার ওপর জোর দিছে। কাতারের আমিরের সাথে বৈঠকের পর ওবামা বলেছিলেন, আসাদকে সরানোর ক্ষেত্রে দুই নেতার চিন্তাভাবনা প্রায় একই রকম। ওবামা বলেন, আমার উভয়েই সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দেশটির মধ্যপন্থী বিরোধীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব এবং একই সাথে এটা বিশ্বাস করি যে, নিজের বৈধতা হারানো আসাদকে না সরানো পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত হবে না। তিনি আরো বলেন, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও কিভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে সে বিষয়ে আমরা (ওবামা ও শেখ তামিম) মতবিনিময় করেছি। এই মন্তব্যের পর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মধ্যপন্থী বিরোধীদের বাছাইকৃত সদস্যদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কিভাবে আসাদকে সরানো হবে তার কোনো কৌশল প্রকাশ্যে বলছে না দেশটি। একটি সূত্র জানিয়েছে, সউদি ও তুরস্কের মধ্যকার আলোচনা সফলভাবে এগোলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন মিলুক বা না মিলুক তারা সিরিয়ায় হস্তক্ষেপে যাবেই। হাফিংটন পোস্ট এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সউদি ও তুরস্কের পরর্রা মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করা হলে উভয় দেশই তাদের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। তুরস্কও আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির পক্ষে। তবে তারা নন-আরব হওয়ার কারণে সউদি আরবের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বড় ভূমিকা নিতে আগ্রহী নয়। সিরিয়ার ব্যাপারে যৌথ কোনো উদ্যোগ বিষয়ে যে আলোচনা চলছে তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল গত ২ মার্চ সউদি আরব সফরে বাদশাহ সালমানের সাথে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের বৈঠকের পরই। এর ফলে দেশ দুটি প্রয়োজনে যে কোনো সময় একটির সৈন্য অন্যটিতে মোতায়েন করতে পারবে। তুরস্কের বিরোধী দলীয় রাজনীতিকরাও ধারণা করছেন, শিগগিরই সিরিয়ায় তাদের দেশের সৈন্য পাঠানো হবে।

১০০ কপি-পেস্ট

আমরা সৌদি আরবের নেতৃতাধীন জোটের সাফল্য কমনা করছি। এই সাফল্য বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশ যেখানে মুসলিমরা বাসারের ন্যায় ফ্যাসিস্ট শাসকের হাতে বন্দী তাদের মুক্তির জন্য আশা।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315474
১৭ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : সৌদির মানষিকতা ভাল হলে আরো আগেই এই সিদ্ধান্ত নিত। শিয়া আসাদের হাতে ৩,০০,০০০ এর বেশি নিরীহ সুন্নী হত্যার পর এখন তারা এফএসএ(ফ্রি সিরিয়ান আর্মি) কে সাহায্য করতে চাইছে। যদিও সৌদি মন্দের ভাল কিন্তু তাদের হস্তক্ষেপ এখানে বিদ্রোহী সুন্নী গ্রুপগুলোর মাঝে সমস্যা আরো বাড়াবে। মধ্যপন্হী অর্থাৎ এফএসএ কে তারা সাহায্য করবে কিন্তু ধর্মভিত্তিক সুন্নী বিদ্রোহী গ্রুপ নুসরাহ, আইএসআইএস, ইসলামি ফ্রন্ট, খোরাসান,আহরার আশ শামের বিরুদ্ধেও সৌদি জোট যুদ্ধে নামবে কারণ এফএসএ যেখানে ব্যার্থ হয়েছে সেখানে এসব গ্রুপগুলো সফল হয়েছে এবং সিরিয়ার বড় অংশে যুদ্ধে জিতে তার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হাতে ইরান নেতৃত্বাধীন শিয়া জোট বাশার-হিজবুল্লাহ এর পতন হলে সিরিয়ার ক্ষমতা চলে যাবে গোড়া ইসলামিস্টদের হাতে। যারা হয়ে উঠবে সৌদির জন্য চিন্তার কারণ। নুসরাহ নেতৃত্বাধীন সুন্নী বিদ্রোহী জোট কর্তৃক ইদলিব দখলের পর সৌদি সেই ভয়টা আরো বেশি পাচ্ছে। এজন্যই আজ তারা যুদ্ধে আসতে চাইছে। তবুও যদি নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষগুলোকে মুসলিমখেকো আসাদ ও ইরান-হিজবুল্লাহ এর হাত থেকে তারা বাঁচাতে পারে তবে সেটাও মন্দের ভাল।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:০৫
256582
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ফ্যাসিস্ট বাসারকে হাটানো, বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দলকে হাঁটানোর মত এত সহজ ব্যাপার না। যেখানে শেখ হাসিনার পিছনে কোন শক্তিশালী পক্ষ নেই, কেননা বিভিন্ন কারনে ভারতের পক্ষে কোন ইসলামী জোটের বিপক্ষে যেয়ে বাংলাদেশের অবৈধ সরকারকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়। এমন কী বাংলাদেশের দেশ প্রমিক বাহিনীও হাসিনার পক্ষ হয়ে ইসলামী জোটের বিরুদ্ধে লড়বে না। আর আমজনতাতো এই ফ্যাসিস্ট রেজীমের হাত থেকে বের হওয়ার জন্য তৈরি হয়েই আছে, দরকার নির্দেশনা। কিন্ত সিরিয়ার ক্ষেত্রে সম্পুন এক ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শক্তিগুল হল, রাশিয়া ( রাশিয়ার একটি সমরিক ঘাটি আছে সিরিয়াতে যার কাজ হল বাসারকে রক্ষা করা), ইরানের নেতৃতাধীন শক্তিশালী শিয়া গ্রপ, আর এর বিপক্ষে রয়েছে, আমেরিকা, সৌদি আরবের নেতৃতাধীন জোট, আছে ইসলামী ব্রাদারহুড, আছে এই এস আই সহ পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন গ্রপ বা শক্তি। এই পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র সামরিক শক্তির উপর ভর করে ফ্যাসিস্ট বাসারকে হাঁটানো প্রায় অসম্ভব কাজ। আমি মনে করি সৌদি আরবের নেতৃতাধীন, জোট শুধু মাত্র তখনই বিজয়ের আশা করতে পারে, যখন তারা বল প্রয়োগের সাথে সাথে কুট কৌশলেও জয়ী হবে। যেমন এই ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নেতৃতাধীন জোট, অপেক্ষাকৃত দুর্বল পক্ষ, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হটাতে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট রেজীম বিরোধী শক্তিশালী জোটকে সহায়তা করে, তাদের এই সমরিক জোটের মনবলকে চাঙ্গা করতে পারে। কেননা সফল্য বয়ে এনে আরেক সাফল্য।
আর ইসলামপন্থ নেতা কামরুজ্জামানের জুডিশিয়াল কিলিং এর ফলে তুরুস্কসহ ইসলামী বিশ্বে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে তাকে কাজে লাগানর জন্য বাংলাদেশিদেরকেই আগাইয়া আসতে হবে।
315499
১৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:৩০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সিরিয়ার সমস্যার এটা কোন সমাধান দিবেনা। যেটা প্রয়োজন ছিল সেটা হলো সিরিয়াকে আগে থেকেই অর্থনৈতিক চাপে রাখা।
315543
১৮ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:০৫
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ফ্যাসিস্ট বাসারকে হাটানো, বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দলকে হাঁটানোর মত এত সহজ ব্যাপার না। যেখানে শেখ হাসিনার পিছনে কোন শক্তিশালী পক্ষ নেই, কেননা বিভিন্ন কারনে ভারতের পক্ষে কোন ইসলামী জোটের বিপক্ষে যেয়ে বাংলাদেশের অবৈধ সরকারকে সহায়তা দেওয়া সম্ভব নয়। এমন কী বাংলাদেশের দেশ প্রমিক বাহিনীও হাসিনার পক্ষ হয়ে ইসলামী জোটের বিরুদ্ধে লড়বে না। আর আমজনতাতো এই ফ্যাসিস্ট রেজীমের হাত থেকে বের হওয়ার জন্য তৈরি হয়েই আছে, দরকার নির্দেশনা। কিন্ত সিরিয়ার ক্ষেত্রে সম্পুন এক ভিন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন শক্তিগুল হল, রাশিয়া ( রাশিয়ার একটি সমরিক ঘাটি আছে সিরিয়াতে যার কাজ হল বাসারকে রক্ষা করা), ইরানের নেতৃতাধীন শক্তিশালী শিয়া গ্রপ, আর এর বিপক্ষে রয়েছে, আমেরিকা, সৌদি আরবের নেতৃতাধীন জোট, আছে ইসলামী ব্রাদারহুড, আছে এই এস আই সহ পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন গ্রপ বা শক্তি। এই পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র সামরিক শক্তির উপর ভর করে ফ্যাসিস্ট বাসারকে হাঁটানো প্রায় অসম্ভব কাজ। আমি মনে করি সৌদি আরবের নেতৃতাধীন, জোট শুধু মাত্র তখনই বিজয়ের আশা করতে পারে, যখন তারা বল প্রয়োগের সাথে সাথে কুট কৌশলেও জয়ী হবে। যেমন এই ক্ষেত্রে সৌদি আরবের নেতৃতাধীন জোট, অপেক্ষাকৃত দুর্বল পক্ষ, ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হটাতে বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট রেজীম বিরোধী শক্তিশালী জোটকে সহায়তা করে, তাদের এই সমরিক জোটের মনবলকে চাঙ্গা করতে পারে। কেননা সফল্য বয়ে এনে আরেক সাফল্য।
আর ইসলামপন্থ নেতা কামরুজ্জামানের জুডিশিয়াল কিলিং এর ফলে তুরুস্কসহ ইসলামী বিশ্বে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি হয়েছে তাকে কাজে লাগানর জন্য বাংলাদেশিদেরকেই আগাইয়া আসতে হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File