ইভটিজিং শয়তানী শক্তির ভয়ংকর অস্ত্র এর ফাঁদ থেকে নিজেকে বাচান শেষ পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ০৬ মার্চ, ২০১৫, ০৭:৫৬:১৬ সকাল
আমরা আগেই বলে ছিলাম ইভটিজিং কোন সমস্যার কারন নয় বরং একটি সমস্যা মাত্র এবং ‘সমস্যা’ ও ‘সমস্যার কারন’ এর মধ্যে পাথক্য হ’ল বিরাট বিশাল। এজন্যই আমরা দেখি যে উন্নত দেশগুলতে যে সমস্যাটিকে প্রতিকারের জন্য স্কুলগুলতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে তা ইভটিজিং নয় বরং তা এই ইভটিজিং কারন, Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ”। শাররীক, মৌখিক আথবা মানসিকভাবে যে কোন ধরনের হয়রানী করাকে এই Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ” সংজ্ঞার অন্তভুক্ত করা হয়েছে। এই Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ” এর মুল উপাদান গুল হ’ল, এক পক্ষ (ষাড়) হবে অপর পক্ষ থেকে শক্তিশালী(victim), অপর পক্ষ(Victim) হবে দুর্বল এবং এই দুর্বল পক্ষ(victim) নিয়মিত হয়রানীর মুখামুখী হবে।
আমরা যদি স্কুল গুল থেকে Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ”কে নিয়ন্ত্রন করতে বার্থ হই তবে আমরা দেখবো, যে ছেলেটা বা মেয়েটা আজকে স্কুলের খেলার মাঠে Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ জড়িত হয়ে পরছে; পরর্বতিতে সেই ছেলেটা বা মেয়েটাই তাদের জীবনের সকল পর্যায়ে ইভটিজিং, মারামারি কাটাকাটি, পতিতাবৃত্তি, মদ জুয়া সহ বিভিন্ন ধরনের কার্যকালাপে জড়িত হয়ে পরছে। আজকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণে সেঞ্চরীর ঘটনা কিংবা ইডেন কলেজের মেয়েদের জোর করে পতিতা বানানোর ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং এর মুলে রয়েছে Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ।
কুরআন ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থাতাকে এমন একটি মান দন্ডের উপর দারা করিয়ে দিয়েছে, যে স্কুল এই মানদন্ডকে অনুসরণ করবে সেই স্কুল থেকে এই Bullying বা “ষাড় বা আবাল কার্যকালাপ আপনা আপনি চলে যাবে। (বাংলাদেশের ইসলামী স্কুল গুল কতটুকু কুরআন-সুন্নাহ অনুসরণ করছে সেই বিতর্কে না যেয়ে আমরা যদি তুলনা করি যে ইসলামী ও অন্যান্য স্কুল থেকে আসা ছেলে মেয়েদের মধ্যে আপরাধ প্রবণতা, তবে আমরা দেখবো যে খুব নগণ্য সংখ্যক ইসলামী স্কুলের ছেলে মেয়েরা ইভটিজিং, মারামারি কাটাকাটি, পতিতাবৃত্তি, মদ জুয়া ইত্যাদি অপরাধে জড়িত।
এই সত্যকে গোপণ করার জন্য প্রথম আলোসহ অন্যান্য আশুভ শক্তিগুল ইভটিজিংকে বিরাট সমস্যা হিশাবে চিনহিত করে আমাদেরকে উপদেশ দিছেছ যে, এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদেরকে নাকি স্কুলগুলতে সহ শিক্ষা চালু করা দরকার! আথচ তারা কেন আমাদের দেশের ইডেন কলেজ সহ অন্যন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলতে মেয়েরা হয়রানীর শীকার হছেছ তা নিয়ে টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না। প্রতিকারতো বহু দূরেরে বিষয়। বস্তুত প্রথম আলোর অন্যতম প্রধান একটি কাজ হল মেয়েদেরকে ছেলেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনভুলানো কথা বলে, খেপিয়ে দেওয়া এবং Freedom, Career ইত্যাদি মনভুলানো কথা বলে তদেরকে ছেলেদের নিরাপত্তা বলয় থকে বের করে এনে, অসহায় অবস্থার মাঝে ফেলে নিজেদের লালসা হাসিল করা। এই জন্যই তারা ইভটিজিং এর কথা বলে মেয়েদেরকে ছেলেদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছে। যেমন আজকের (০৬’/০৩/১৫) প্রথম আলোর মেয়েদের বিভাগের একটি দৃস্টিকারা লেখা ছিল। ছেলেরা নাকি ডিসএবেল বা অসুস্থ বউদের ফেলে নতুন বউ এর খোঁজে ছুটে!!!!
বাংলাদেশী মেয়েদের প্রতি আমার অনুরোধ, দয়া করে দুষ্ট লোকের মিস্ট কথায় কান দিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনবেন না।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন