আক্কেল আলী ও খেজুর আলী (রম্য রচনা) বিষয় পুলিশের চাকরী
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৪১:০৭ রাত
সংবিধিবদ্ধ সতরকরন এই রম্য রচনার চরিত্রগুল কাল্পনিক, তাই কারো সাথে মিলের কোন প্রশ্নই উঠে না।
একটি বিনীত অনুরোধ ঃ দয়া করে নাম করনের সার্থকতা নিয়ে গবেষণা করবেন না।
আগ্রহী পাঠকের জন্য ঃ যদি এই গল্পের চরিত্রগুল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তবে দয়া করে আমার আগের পোস্ট দেখবেন।
আক্কেল আলী, তার মা ও বাবা এবং তার মামা মুরগী শাহরিয়া বসে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। মুরগী শাহরিয়া বলল, দুলাভাই একটু সাবধানে থাকবেন, অহন আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল হইলো আপনার দল থাইকা নাম কাটাইইয়া বসায় বসে থাকা। আক্কেল আলীর বাবা বলল, কেন? মুরগী শাহরিয়াঃ আব্বার জিংগায়(জিজ্ঞাসা করে), কেন আপনি পেপরে পড়েন নাই। পেপারে দেখলাম, সরকারের এক এম পি, বলদ খান পুলিশ ও তার জঙ্গি বাহিনীরে কইছে(বলছে) সরকার বিরুধীদের বুকের মাঝে গুলী কইরা মারতে। আক্কেল, মামা আজানত করবার, বুকের মাঝ খান কোন জায়গাটা মামা। আক্কেলের মা সাথে সাথে সময় নষ্ট না করে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বুকের মাঝ খান কোন জায়গাটা, তার পর মুরগী শাহরিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল, কী মুরগী শাহরিয়া ঠিক কই নাই। মুরগী শাহরিয়া, বলল বুবু ৯৯% ই ঠিক হইছে, যদি তুমি আঙ্গুলটা আরেকটু উপরে তোল, তবে অইবো ১০০%। আক্কেলের বাবা বলল, বল কী? শুধু এইডা হুইনাই(শুনে) অবাক হইলেন। সিলেটের মহা -মানকী-সিন কী কইছে হেইডা তো হুনেন(শুনেন) নাই। হেতে (সে) কলেজের ছাত্রীদের কইছে, হেজাব পইরা আমগো হাম্বা লীগের পোলাগো থাইকা নিজের রূপ যৌবন লূকাইয়া রাখবা হেডা হইতো নানে। কেউ যদি এই কিছিমের চালাকি করার কথা মনে মনে চিন্তা কইরা থাক, তবে তা আইজ থাইকা বাদ দাও। নয়তো জঙ্গির তকমা সহ আরও অনেক খারাবী কপালে আছে। আর নার্সদেরকে কইছে, সেবা করবা তো ভালা ভাবেই করবা, এই জন্য পাছার কপরও যদি উপরে তুলতে হয় তবে তাই করবা। তোমাদের বুঝতে হইবো আমরা ও আমগোর হাম্বা লীগের পোলাপান কী চায়। এইতান(এইসব) যদি না বুঝ তবে চাকরী তো খামুই, আরও যে কী কিছিমের বিপদ আপদ তোমগোর(তোমাদের) কপালে আছে তা একমাত্র আল্লাহ্ মাবুদই জানে। কান্দারও সময় পাইবানানে, যা কাঁদার আগেই কিন্দা লউ। আর সংবাদিকদেরকে কইছে বুইঝা শুইনা সংবাদ পরিবেশন করবা। না বুঝবার পারলে আমরা তো আছিই, আমগোর থাইকা জাইনা নিবা, কোনডা লিখবা আর কোনডা লিখবা না। এত সুভিদা দেওয়ার পরও যদি কেউ কোন ভুল কইরা ফালান, তো আগেই নিজের জুতা নিজে খুইলা নিজের কপালে মারেন, না জানি কোন আযাব গযবের মাধ্যে যাইয়া পরবেন একমাত্র আল্লাহ্ মাবুদই জানে। শুধু এতটুকই কইবো, আফনেদের জন্য আমরা তৈল মালিশ করিয়া আইকাঅয়াল বাঁশ রেডি কইরা রাখছি আর কোন যায়গায় ঐ বাশ ঢুকামু তাতো বুঝবারই পারতাছেন । আর পতিতাদের কইছে,দেশের সব হালারপুতই ব্জজাত একমাত্র আপনাদেরকেই আমরা ভালা পাইতাছি, আপনারা দেশের জন্য দেশের জন্য যা করতাছেন তার কোনই তুলনা হয় না। এই জন্যই আপনাদের ভালা করার জন্য আমাদের যত চেষ্টা। আপনারাতো দেখেই পারতাছেন এই আঞ্চলে আফনাদের নেত্রী ভারতীয় অভিনেত্রীকে বাংলাদেশে আসার জন্য ভিসা দিলাম কিন্ত বিশ্বখ্যাত ইসলামী আলেমকে ভিসা দেই নাইকা। আফনাদের কথা আর কি কইবাম, কলকাতায় আমাকে নেংটা ----- আক্কেলের মা শাহ্রিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বলল, শাহরিয়া তুমি এই সব পলাপানের সামনে কী কইবার লাগছ।
চলবে----
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন